নিউ ইয়র্ক, 28 সেপ্টেম্বর : রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মন্তব্য "উস্কানিমূলক এবং ঘৃণা পূর্ণ" বলে অভিযোগ করল ভারত । গতকাল ইমরান খান অধিবেশনে বলেছিলেন, "যুদ্ধ শুরু হলে যে কোনও কিছু হতে পারে । কিন্তু যখন একটি দেশ তার সাতগুণ বড় কোনও দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যায়, তখন দুটো জিনিস হতে পারে । আমরা আত্মসমর্পণ করব । নয়ত আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব । এবং একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ যখন শেষ পর্যন্ত লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন এর প্রভাব সীমান্তপার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে ।"
গতরাতে ইমরান খানের এই মন্তব্য প্রসঙ্গেই কড়া জবাব দিল দিল্লি । এই বিষয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের প্রথম সচিব বিদিশা মৈত্র বলেন, "পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের এই মঞ্চের অপব্যবহার করেছে । পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি খুবই খারাপ এবং তাদের যথেষ্ট অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে । 1947 সালের তুলনায়, আজ পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের পরিমাণ কয়েক শতাংশ হ্রাস পেয়েছে । পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয় । পাকিস্তান প্রকাশ্যে লাদেনকে রক্ষা করেছে । মানবাধিকার নিয়ে তাদের ভাষণ শুনতে চাই না ।"
রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ইমরানের জন্য 15 মিনিট নির্ধারিত থাকলেও তিনি প্রায় 50 মিনিটের বক্তৃতা দেন । সেই সময় ইমরান খান পারমাণবিক যুদ্ধের নিন্দা করতে গিয়ে আসলে অর্ধেকের বেশি সময় ধরে কাশ্মীর ও ভারত নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছেন । সেই বক্তৃতায় ইমরানের আনা সব অভিযোগের জবাব দিয়েছে ভারত । ইমরান খানের বক্তব্যের জবাবে ভারত তার 'রাইট টু রিপ্লাই' ব্যবহার করেছে ।
বিদিশা মৈত্র বলেছিলেন, "রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ইমরানের বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক এবং যাঁরা নিজেরাই সন্ত্রাসের কারখানা চালাচ্ছে তাঁদের থেকে কোনও পরামর্শের দরকার নেই । রাষ্ট্রসংঘের তালিকাভুক্ত 155 জঙ্গি পাকিস্তানেই লুকিয়ে আছে । আর সেই পাকিস্তান মানবাধিকারের কথা বলছে ।" ইমরান খান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিদিশা বলেন, "তিনি একসময় ক্রিকেটার ছিলেন এবং ভদ্রলোকের খেলায় বিশ্বাস রাখতেন । অথচ আজ তাঁর বক্তব্য অশ্লীলতার শিখরে পৌঁছেছে, যা শুধু বন্দুকের কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ।"