কুইটো, 24 ফেব্রুয়ারি: গোষ্ঠী সংঘর্ষে প্রাণ গেল 75 জন জেলবন্দির ৷ ঘটনাগুলি ঘটে ইকুয়েডরের তিনটি শহরে ৷ মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জেল ভেঙে পালানো চেষ্টা করছিল কিছু আবাসিক ৷ সেই সময়েই অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় তাদের ৷ তার জেরেই এই পরিণতি ৷
সংশোধনাগার নির্দেশক এমুন্দো মনক্য়ায়ো সাংবাদিক বৈঠকে জানান, পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক করতে 800 জন পুলিশকর্মীর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ৷ সোমবার গভীর রাতের ওই সংঘর্ষের পরই কৌশলী বিভাগের কয়েকশো আধিকারিককে সংশ্লিষ্ট জেলগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে ৷
মনক্য়ায়ো জানান, জেলের ভিতর নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া ছিল ওই গোষ্ঠীগুলি ৷ তাদের কাছ থেকে লুকোনো আগ্নেয়াস্ত্র খুঁজে বের করতেই সোমবার রাতে তল্লাশি চালায় পুলিশ ৷ তখনই গন্ডগোল শুরু হয় ৷
সোশাল মিডিয়ায় যে ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তা ভয়াবহ ৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, ধারাল অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আঘাত করছে জেলবন্দিরা ৷ রক্তে ভেসে গেলও সংঘর্ষ থামছে না ৷
প্রসঙ্গত, ইকুয়েডরে জেলগুলিতে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ নতুন কিছু নয় ৷ এই দেশে যতগুলি জেল রয়েছে, তাতে সব মিলিয়ে 27 হাজার আবাসিকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে ৷ অথচ জেলবন্দির সংখ্যা প্রায় 38 হাজার ৷
আরও পড়ুন: স্কুলে বর্ণবৈষম্যের শিকার ওবামা, ভেঙে দিয়েছিলেন বন্ধুর নাক
এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো টুইট করে জানান, ‘‘জেলের অন্দরে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও বিস্ফোরকের উপর রাশ টানতে গিয়েই এই সংঘর্ষ ঘটে গিয়েছে ৷’’
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ ইকুয়েডরের কুয়েনকা জেলে 33 জনের মৃত্য়ু হয়েছে ৷ গুয়াইয়াকুইলে প্রাণ গিয়েছে 21 জনের এবং ল্য়াটাকুঙ্গায় মারা যায় আটজন ৷