ETV Bharat / international

ছ’ফুট পর্যন্ত অতি সক্রিয় বাতাসে ভাসমান কোভিড ভাইরাস - US Centers for Disease Control and Prevention

তিন থেকে ছ’ফুট দূরত্বের মধ্যে সবথেকে ক্ষতিকর করোনার ভাইরাস ৷ এই ভাইরাস অত্যন্ত সূক্ষ ৷ ফলে অনায়াসেই বাতাসে ভেসে অন্য জনের শরীরে ঢোকে ৷ ‘ইউএস সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল অ্য়ান্ড প্রিভেনশন’-এর সাম্প্রতিক গবেষণায় সামনে এসেছে এমনই তথ্য ৷

Airborne Covid virus highly active within six feet, said Top US Medical Body
ছ’ফুট পর্যন্ত অতি সক্রিয় বাতাসে ভাসমান কোভিড ভাইরাস
author img

By

Published : May 9, 2021, 5:26 PM IST

নয়াদিল্লি, 9 মে : করোনা নিয়ে যত গবেষণা হচ্ছে, ততই সামনে আসছে একের পর এক ভয়ঙ্কর তথ্য ৷ গত শুক্রবার এমনই এক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে ‘ইউএস সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল অ্য়ান্ড প্রিভেনশন’ ৷ তাদের দাবি, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় অতি সূক্ষভাবে বাতাসে পরিবাহিত হয়ে শরীরে প্রবেশ করছে সার্স-কোভ-2 ভাইরাস ৷ যার জেরে কোভিড-19-এ আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ ৷ উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে এমন একটা বার্তাই দিয়েছিল বিশ্ববিখ্যাত মেডিক্য়াল জার্নাল ‘দ্য় ল্য়ানসেট’ ৷ তাদের দাবি ছিল, করোনার ভাইরাস বাতাসে পরিবাহিত হতে সক্ষম ৷ যা উদ্বেগ বাড়িয়ে ছিল গোটা পৃথিবীর ৷ আর এবার তা আরও বাড়িয়ে দিল মার্কিন চিকিৎসা সংস্থা ৷

ইউএস সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল অ্য়ান্ড প্রিভেনশন তাদের গবেষণায় জানতে পেরেছে, তিন থেকে ছয় ফুটের মধ্যেই বায়ুবাহিত করোনা ভাইরাস সবথেকে শক্তিশালী থাকে ৷ কারণ এই দূরত্বের মধ্যে আক্রান্ত ব্য়ক্তির ড্রপলেট অন্য জনের শরীরে অনায়াসে ঢুকে গিয়ে ভাইরাসে বংশবিস্তারে সক্ষম হয় ৷ তবে এই ড্রপলেটের আকার অত্যন্ত সূক্ষ ৷ তাই বাতাসে ভেসে বেড়াতে কোনও সমস্য়াই হয় না ৷

বিজ্ঞানীরা এখন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকেও বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছেন ৷ তাঁরা বলছেন, আক্রান্ত ব্য়ক্তি লালা বা শ্লেষ্মা থেকে তাঁর সংস্পর্শে আসা অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারেন ৷ দেহের কোনও অংশে আক্রান্তের লালা বা শ্লেষ্মা লেগে গেলে, তা কোনও ভাবে মুখ, চোখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে ৷ অথবা স্রেফ শ্বাস-প্রশ্বাস চালানোর সময়েই ভাইরাস ঢুকতে পারে নতুন কারও শরীরে ৷

মার্কিন চিকিৎসা সংস্থার দাবি, কথা বলা বা গান গাওয়ার সময়, শরীরচর্চা করার সময়, হাঁচি কিংবা কাশির সময় কিংবা চুপচাপ নিঃশ্বাস নেওয়ার সময়েও অত্যন্ত সূক্ষ ড্রপলেট শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে ৷ যা তিন থেকে ছয় ফুটের মধ্যে থাকা ব্য়ক্তিতে সংক্রামিত করার জন্য যথেষ্ট ৷

আরও পড়ুন : মোদির কর্মকাণ্ড ক্ষমার অযোগ্য, কোভিড ভুলগুলি মেনে নিক কেন্দ্র: ল্যানসেট

এই তথ্য স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়াচ্ছে গবেষক ও চিকিৎসকদের ৷ করোনাকে আটকানো যে কতটা কঠিন, তা উপলব্ধি করতে পারছেন তাঁরা ৷ ভারতের মতো জনবহুল দেশে ভয়টা আরও বেশি ৷ আমাদের দেশে গণপরিবহণে যেভাবে ভিড়ে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হয়, দোকান-বাজারে যেভাবে এখনও ভিড় উপচে পড়ে, তাতে কতক্ষণ নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব, সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন ৷

নয়াদিল্লি, 9 মে : করোনা নিয়ে যত গবেষণা হচ্ছে, ততই সামনে আসছে একের পর এক ভয়ঙ্কর তথ্য ৷ গত শুক্রবার এমনই এক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে ‘ইউএস সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল অ্য়ান্ড প্রিভেনশন’ ৷ তাদের দাবি, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় অতি সূক্ষভাবে বাতাসে পরিবাহিত হয়ে শরীরে প্রবেশ করছে সার্স-কোভ-2 ভাইরাস ৷ যার জেরে কোভিড-19-এ আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ ৷ উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে এমন একটা বার্তাই দিয়েছিল বিশ্ববিখ্যাত মেডিক্য়াল জার্নাল ‘দ্য় ল্য়ানসেট’ ৷ তাদের দাবি ছিল, করোনার ভাইরাস বাতাসে পরিবাহিত হতে সক্ষম ৷ যা উদ্বেগ বাড়িয়ে ছিল গোটা পৃথিবীর ৷ আর এবার তা আরও বাড়িয়ে দিল মার্কিন চিকিৎসা সংস্থা ৷

ইউএস সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল অ্য়ান্ড প্রিভেনশন তাদের গবেষণায় জানতে পেরেছে, তিন থেকে ছয় ফুটের মধ্যেই বায়ুবাহিত করোনা ভাইরাস সবথেকে শক্তিশালী থাকে ৷ কারণ এই দূরত্বের মধ্যে আক্রান্ত ব্য়ক্তির ড্রপলেট অন্য জনের শরীরে অনায়াসে ঢুকে গিয়ে ভাইরাসে বংশবিস্তারে সক্ষম হয় ৷ তবে এই ড্রপলেটের আকার অত্যন্ত সূক্ষ ৷ তাই বাতাসে ভেসে বেড়াতে কোনও সমস্য়াই হয় না ৷

বিজ্ঞানীরা এখন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকেও বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছেন ৷ তাঁরা বলছেন, আক্রান্ত ব্য়ক্তি লালা বা শ্লেষ্মা থেকে তাঁর সংস্পর্শে আসা অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারেন ৷ দেহের কোনও অংশে আক্রান্তের লালা বা শ্লেষ্মা লেগে গেলে, তা কোনও ভাবে মুখ, চোখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে ৷ অথবা স্রেফ শ্বাস-প্রশ্বাস চালানোর সময়েই ভাইরাস ঢুকতে পারে নতুন কারও শরীরে ৷

মার্কিন চিকিৎসা সংস্থার দাবি, কথা বলা বা গান গাওয়ার সময়, শরীরচর্চা করার সময়, হাঁচি কিংবা কাশির সময় কিংবা চুপচাপ নিঃশ্বাস নেওয়ার সময়েও অত্যন্ত সূক্ষ ড্রপলেট শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে ৷ যা তিন থেকে ছয় ফুটের মধ্যে থাকা ব্য়ক্তিতে সংক্রামিত করার জন্য যথেষ্ট ৷

আরও পড়ুন : মোদির কর্মকাণ্ড ক্ষমার অযোগ্য, কোভিড ভুলগুলি মেনে নিক কেন্দ্র: ল্যানসেট

এই তথ্য স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়াচ্ছে গবেষক ও চিকিৎসকদের ৷ করোনাকে আটকানো যে কতটা কঠিন, তা উপলব্ধি করতে পারছেন তাঁরা ৷ ভারতের মতো জনবহুল দেশে ভয়টা আরও বেশি ৷ আমাদের দেশে গণপরিবহণে যেভাবে ভিড়ে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হয়, দোকান-বাজারে যেভাবে এখনও ভিড় উপচে পড়ে, তাতে কতক্ষণ নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব, সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.