ওয়াশিংটন, 29 সেপ্টেম্বর : তালিবানের শাসনে থাকা আফগানিস্তানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক ৷ এমনই চায় রিপাবলিকান সেনেটাররা ৷ তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 22 জন রিপাবলিকান সেনেটর এই নিয়ে সেনেটে একটি বিল পেশ করেছেন ৷ সেই বিলে আরও দাবি করা হয়েছে, যে সমস্ত দেশ কাবুলের তালিবান শাসনকে সমর্থন করছে, তাদের উপরও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে হবে ৷
আরও পড়ুন : Fumio Kishida : জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ফুমিও কিশিদা
মঙ্গলবার সেনেটে ওই বিল পেশ করেন সেনেটর জিন রিসচ ৷ তিনি সেনেটের বিদেশ সম্পর্ক কমিটির সদস্য ৷ সেখানে বলা হয়েছে যে 2001 সাল থেকে 2020 সাল পর্যন্ত তালিবানকে সমর্থনে পাকিস্তানের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়েও একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ্যে আনা হোক ৷ আর সেই বিশ্লেষণ করুন মার্কিন বিদেশ সচিব ৷ সেখানে আফগানিস্তানে সরকার ফেলতে এবং তালিবানের পঞ্জশির দখলে পাকিস্তানের কী ভূমিকা সেটাও স্পষ্ট করা হোক ৷
আরও পড়ুন : Joe Biden : কোভিডের বুস্টার ডোজ় নিলেন বাইডেন
তাছাড়া ওই রিপাবলিকান সেনেটরদের আরও দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকেও একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হোক ৷ যে রিপোর্টে চিন, রাশিয়া ও তালিবানকে ঠেকাতে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কী কী বিষয়ে জোর দেওয়া উচিত, তা সকলকে জানানো হোক ৷ একই সঙ্গে বিশ্লেষণ করে দেখা হোক আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর ভারতের নিরাপত্তায় কী কী আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷ আর এর জন্য ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে কী কী পরিবর্তন হতে পারে ৷
আরও পড়ুন : India-US : ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতিতে সীমান্তপারের সন্ত্রাসের সমালোচনা
বিল পেশ করে সেনেটে জিম রিসচ জানিয়েছেন যে তালিবানের হুমকির মুখে আফগানিস্তানে এখনও অনেক আমেরিকান ও সহযোগী দেশের নাগরিক রয়ে গিয়েছেন ৷ তাঁদের সংখ্যা এখনও অজানা ৷ আফগানিস্তানের জন্য এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷ তালিবান সেখানে মহিলাদের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে ৷ রাষ্ট্রসংঘের অনুমোদন চাইছে ৷ রিপাবলিকানদের দাবি, তালিবানের কোনও সদস্যকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বা রাষ্ট্রসংঘে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে না মানা হয় ৷
আরও পড়ুন : US Quad Summit : ওয়াশিংটনে প্রথম কোয়াড সম্মেলনকে ‘দলবাজি’ বলে সমালোচনা চিনের
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে 2001 সালে আফগানিস্তানে আল কায়দা ও তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ সঙ্গে ছিল ন্যাটো ৷ তালিবানকে আফগানিস্তান থেকে উচ্ছেদ করার পর কাবুলে গণতান্ত্রিক সরকার তৈরি হয় ৷ কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন ৷
সেই সময়সীমা যত এগিয়েছে, ততই একটু একটু করে আফগানিস্তানের দখল নিতে শুরু করে তালিবান ৷ গত 15 অগস্ট কাবুল দখল করে নেয় আফগানিস্তান ৷ তার পর থেকেই সেই দেশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Narendra Modi : ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করার বার্তা দিয়ে ওয়াশিংটনের পথে মোদি