শুধ বেড়াল না, ঠেলায় পড়লে ছাগলেও গাছে চড়ে ! তরতর করে সরু-মোটা ডাল বেয়ে উঠে যায় ! এডাল ওডাল করে ! মনের সুখে ফল খায় আর সিং চুলকায় ! এই ছাগল মরোক্কোর ৷ ঠিক করে বললে মরোক্কোর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ৷ এমনিতে খাড়াই পাহাড় চড়া ছাগলের কথা অনেকের জানা ৷ তাই বলে গাছবাওয়া ! তাহলে কি এই ছাগল আলাদা ? বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ?
তা মোটেই না ৷ আমাদের চেনা ছাগল ৷ সত্যিটা হল, আক্ষরিক অর্থেই এরা ঠেলায় পড়েই গাছে চড়া শিখেছে ৷ মরোক্কোর এই অঞ্চলে ছাগলের যে খাদ্য, সেই সবুজ ঘাস-পাতা সহজে পাওয়া যায় না ৷ শুষ্ক জলবায়ুর দেশে ঘাসের অস্তিত্বই নেই ৷ এই অবস্থায় স্থানীয় আরগান গাছগুলিতে চড়া ছাড়া অন্য রাস্তা ছিল না গৃহপালিত চতুষ্পদ প্রাণীটির ৷ আরগান ফল সুস্বাদু হলেও তার সারা গায়ে কাঁটা ৷ তবু খুড়ের ব্যবহারে দিব্য গাছে চড়ে ছাগল ৷
তবে, এরা কিন্তু গাছে ওঠার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় না ৷ বরং স্থানীয় শিশুদের দেখে গাছে ওঠা শিখে নেয় ৷ গাছে চড়া শিখতে সাহায্য করে ছাগলের মালিকও ৷ তারা শিশু ও ছাগলদের গাছে চড়ার সুবিধার্থে মাঝেমাঝেই গাছের ডাল ছেটে দেয় ৷ আর এতেই দিব্য শিশুদের নকল করে ছাগলেও শিখে গেছে গাছে ওঠা ৷ সুবিধাও হয়েছে ৷ মরোক্কোর শরৎকালে মাঠে-ময়দানে যখন খাবার প্রায় নেই হয়ে যায়, তখন এখানকার ছাগলগুলি আরগান গাছে চড়ে ফল-পাতা খেয়েই বেশি সময় ব্যয় করে ৷ এতে গাছ ও স্থানীয় মানুষ উপকৃতও হয় ৷
কারণ ছাগলগুলি বীজ সমেত ফল খেয়ে মলত্যাগের মাধ্যমে তা অন্যত্র ছড়িয়ে দেয় ৷ এতে বংশবৃদ্ধি হয় গাছের ৷ কিছুটা হলেও সবুজ হয় শুষ্ক ধূলি ধূসর দক্ষিণ-পশ্চিম মরোক্কো ৷