হায়দরাবাদ, 19 নভেম্বর: পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত যখন সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মতো স্বাভাবিক ছন্দে দিন কাটাচ্ছে তখন একটা দেশ রক্তের হোলি খেলা দেখছে ৷ একের পর এক ক্ষেপনাস্ত্র হামলা এবং তাতে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুও যেন স্বাভাবিক ঘটনার মতো দাঁড়িয়েছে ৷ মৃতদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা আলাদা করে উল্লেখ করার মতো। প্যালেস্তাইনের শিশু মৃত্যু আবারও চিৎকার করে জানান দেয়, এ পৃথিবী শিশুর বাসযোগ্য কেউ করে যেতে পারেননি ৷ এর দায় ভার কার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান ও পরিচালক সুমন ঘোষ ৷
সোশাল মিডিয়ায় একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মৃত মেয়েকে কোলে নিয়ে যাচ্ছেন বাবা ৷ সেই ছবি শেয়ার করে রবিবার জয়া লিখেছেন, " প্যালেস্তাইনের ছবি দেখছি অন লাইনে,খবরের কাগজে এবং টেলিভিশনের পর্দায়। বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের উপর। আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও। একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন একজন মাত্র বেঁচে যাওয়া মানুষ। এ পর্যন্ত 11 হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশু মারা গেছে ৪ হাজারেরও বেশি।"
তিনি আরও বলেন, "এসব দেখেশুনে মনটা ভেঙে যায়। আবার মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি। যোগ দিচ্ছি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে। গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–বোধ কাজ করে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুজে আসে। এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক।" তারপরেই প্রশ্ন তোলেন, "ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?"
অন্যদিকে, পরিচালক সুমন ঘোষ ইন্সটাস্টোরিতে দুটি ছবি শেয়ার করেছেন ৷ তার একটিতে টরেন্টোতে আমেরিকার দূতাবাসের বাইরে হাজারো মানুষকে প্যালেস্তাইনের সমর্থনে মিছিল করতে দেখা যায় ৷ তিনি লিখেছেন, "এই যুদ্ধ গাজায় শিশুদের কবরখানা গড়ে তুলেছে ৷"
আরও পড়ুন:
1. বিশ্বকাপ থাক ভারতেই, প্রার্থনা দেশবাসীর; দেশজুড়ে চলছে পুজো-বিশেষ আরতি
2. ক্রিকেট জ্বরে কাঁপছে দেশ, বিশ্বকাপ ফাইনাল ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ; আঁচ পড়েছে টলিপাড়াতেও
3. ভারতের 'এক্স-ফ্যাক্টর' বিরাটের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা