কলকাতা, 5 ডিসেম্বর: করোনার সময়ে বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা । আর তাঁর সঙ্গী ছিলেন সব্যসাচী । আমফান এবং কোভিডের দ্বৈত দাপটে মানুষের কাছে খাবার থেকে শুরু করে ওষুধ পৌঁছে ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তাঁরা । একইভাবে নিজের পোষ্য বোজো আর তোজোর পাশাপাশি ঐন্দ্রিলা সমান ভালোবাসতেন রাস্তার কুকুরদেরও । তাদের জন্য বিস্কুট সবসময় থাকত ঐন্দ্রিলার কাছে । বোজো, তোজো আজও কলিং বেল বাজলেই ভাবে তাদের 'মা' এসেছে । বেল বাজলে এক ছুট্টে চলে যায় দরজার কাছে।
ঐন্দ্রিলার স্মরণে 'ঐন্দ্রিlife' নামের একটি অনুষ্ঠানে এসে অশ্রুভেজা চোখে এমনটাই জানালেন অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা (Actress Mother Says She Will Fulfil The Dream of Aindrila)। পাশাপাশি আরও অনেক কাজ করার ছিল অভিনেত্রীর ৷ বিশেষত ইচ্ছা ছিল একটি অনাথ আশ্রম এবং একটি বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলার ৷ তাই শিখা শর্মা এদিন আরও বলেন,"মেয়েটার আরও অনেক কাজ করার বাকি ছিল। অনেককিছু দেওয়ার ছিল ওর । কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিল ৷ পাশাপাশি চলছিল অভিনয়ও । মেয়েটার ইচ্ছা ছিল বহরমপুরে একটা অনাথ আশ্রম আর বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তুলবে । কিছুই আর হল না(Death of Aindrila Sharma ) । মাত্র 24 বছর বয়সেই সব শেষ। সব ইতিহাস হয়ে গেল (Actress Mother on Aindrila)।"
তবে মেয়ের অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করতে চান মা ৷ এদিন তিনি বলেন, "একটু সামলে উঠে আমরা ওর স্বপ্নপূরণ করব । আমি, ওর বাবা, দিদি, সব্যসাচী সবাই মিলে ওর স্বপ্নপূরণ করব । মানুষের যাতে উপকার হয় ঐন্দ্রিলা সবসময় সেই কথাই ভাবত । কখনও বাজে খরচ করত না । স্বপ্নপূরণের জন্য টাকাও জমাতে শুরু করেছিল । টালিগঞ্জে একটা ক্যাফে খুলতে চেয়েছিল সব্যর সঙ্গে । কিছুই তো আর হল না । আমরা চেষ্টা করব ওর স্বপ্নপূরণ করার ।"
আরও পড়ুন: 'আনন্দে'র সঙ্গে সাত বছর, বিশেষ দিনে সোশাল মিডিয়ায় আবেগঘন সোনম
আজ অনেকের কাছেই লড়াইয়ের আরেক নাম হয়ে উঠেছেন ঐন্দ্রিলা । দু'বার ক্যানসারকে পরাস্ত করে জীবনের মূল স্রোতে ফিরেছিলেন তিনি । তবে, শেষ ধাক্কাটি ছিল মাথায় । ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আর ফেরা হল না তাঁর বোজো, তোজোর কাছে । ঐন্দ্রিলা বাড়িতে সবার ছোট হলেও ওঁর কথা মেনে চলতেন সকলে । দিদি কোনও কাজ তাঁকে জিজ্ঞেস না করে করতেন না । দিদিও আজ বড় একা, জানালেন ঐন্দ্রিলার মা ।