ETV Bharat / elections

মোদির পর আজ রাসমেলার মাঠে সভা মমতার - TMC

গতকাল কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে সভা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
author img

By

Published : Apr 8, 2019, 8:48 AM IST

কোচবিহার, 8 এপ্রিল : দিনকয়েক আগেও মাঠটি এলাকার সবচেয়ে বড় সভাস্থান হিসেবে পরিচিত ছিল। লোকসভা ভোট শুরুর সপ্তাহখানেক আগে থেকে সেই মাঠই বাংলার রাজনীতির অন্যতম 'ময়দান' হয়ে উঠেছে। গতকালে সেখানে সভা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। আর 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই মাঠেই সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিনের ব্যবধানে যুযুধান দুই পক্ষের দুই সেনাপতি একই মাঠে সভাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, আজ জলপাইগুড়ির নাগরাকাটাতে আরও একটি জনসভা করবেন মমতা।

গতকাল রাসমেলার মাঠ থেকে তৃণমূল নেত্রীকে স্পিডব্রেকার বলে কটাক্ষ করেন মোদি। সারদা-রোজ়ভ্যালি দুর্নীতি নিয়েও আক্রমণ করেন। মোদি বলেন, "আপনাদের মোদি মোদি শুনে কারোর কারোর ঘুম উড়ে যায়। বাংলার স্পিডব্রেকার দিদি ঘুমোতে পারছেন না। আর অফিসার, নির্বাচন কমিশনের উপর রাগ দেখাচ্ছেন।" মোদি অভিযোগ করেন, "দিদির বাধায় রাজ্যের মানুষ কেন্দ্রের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।" পাশাপাশি, মমতাকে তোপ দেগে মোদি বলেন, "ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে দিদি মাকে ভুলে গেছেন। রাজনৈতিক স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে মাটির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।"

সেই আক্রমণের কয়েক ঘণ্টা পর মোদিকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, "দিদি ভয় পাওয়ার লোক! দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেছি। আর আপনাদের মতো ডাকাতদের ভয় পাব? এত সোজা নয়। জানবেন, দিদি কাউকে ভয় পায় না। দিদিকে ভয় দেখানো অত সহজ নয়।" রাজ্যের চার পুলিশ আধিকারিকের বদল নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। সেজন্য তাঁকে কটাক্ষ করেন মোদি। সে প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী বলেন, "দু'জন অফিসারকে সরিয়ে ভাবছেন, নির্বাচনে জিতে যাবেন। সে গুড়ে বালি। যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও আমাদের অফিসার, রাজ্যের অফিসার। আমি অনেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু, আপনার মতো বাজে প্রধানমন্ত্রী আমি আগে দেখেনি।" মোদির সারদা-নারদ তোপের পালটা হিসেবে মমতা বলেন, "সারদা-নারদের দালালকে পাশে নিয়ে সভা করছেন। আপনার মুখে এই কথা মানায় না।"

রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, এই আক্রমণের রেশ বজায় থাকার মধ্যে কোচবিহারে আজ মমতার সভা মমতা-মোদি দ্বৈরথ কতটা বাড়ায় এখন সেটাই দেখার।

কোচবিহার, 8 এপ্রিল : দিনকয়েক আগেও মাঠটি এলাকার সবচেয়ে বড় সভাস্থান হিসেবে পরিচিত ছিল। লোকসভা ভোট শুরুর সপ্তাহখানেক আগে থেকে সেই মাঠই বাংলার রাজনীতির অন্যতম 'ময়দান' হয়ে উঠেছে। গতকালে সেখানে সভা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। আর 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই মাঠেই সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিনের ব্যবধানে যুযুধান দুই পক্ষের দুই সেনাপতি একই মাঠে সভাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, আজ জলপাইগুড়ির নাগরাকাটাতে আরও একটি জনসভা করবেন মমতা।

গতকাল রাসমেলার মাঠ থেকে তৃণমূল নেত্রীকে স্পিডব্রেকার বলে কটাক্ষ করেন মোদি। সারদা-রোজ়ভ্যালি দুর্নীতি নিয়েও আক্রমণ করেন। মোদি বলেন, "আপনাদের মোদি মোদি শুনে কারোর কারোর ঘুম উড়ে যায়। বাংলার স্পিডব্রেকার দিদি ঘুমোতে পারছেন না। আর অফিসার, নির্বাচন কমিশনের উপর রাগ দেখাচ্ছেন।" মোদি অভিযোগ করেন, "দিদির বাধায় রাজ্যের মানুষ কেন্দ্রের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।" পাশাপাশি, মমতাকে তোপ দেগে মোদি বলেন, "ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে দিদি মাকে ভুলে গেছেন। রাজনৈতিক স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে মাটির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।"

সেই আক্রমণের কয়েক ঘণ্টা পর মোদিকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, "দিদি ভয় পাওয়ার লোক! দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেছি। আর আপনাদের মতো ডাকাতদের ভয় পাব? এত সোজা নয়। জানবেন, দিদি কাউকে ভয় পায় না। দিদিকে ভয় দেখানো অত সহজ নয়।" রাজ্যের চার পুলিশ আধিকারিকের বদল নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। সেজন্য তাঁকে কটাক্ষ করেন মোদি। সে প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী বলেন, "দু'জন অফিসারকে সরিয়ে ভাবছেন, নির্বাচনে জিতে যাবেন। সে গুড়ে বালি। যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও আমাদের অফিসার, রাজ্যের অফিসার। আমি অনেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু, আপনার মতো বাজে প্রধানমন্ত্রী আমি আগে দেখেনি।" মোদির সারদা-নারদ তোপের পালটা হিসেবে মমতা বলেন, "সারদা-নারদের দালালকে পাশে নিয়ে সভা করছেন। আপনার মুখে এই কথা মানায় না।"

রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, এই আক্রমণের রেশ বজায় থাকার মধ্যে কোচবিহারে আজ মমতার সভা মমতা-মোদি দ্বৈরথ কতটা বাড়ায় এখন সেটাই দেখার।


---------- Forwarded message ---------
From: RAJU BISWAS <raju.biswas@etvbharat.com>
Date: Mon, Apr 8, 2019, 12:37 AM
Subject: WB_N24_8001_7march_sujon_chakroborty_barasat_raju_10009.
To: Bangla Desk <bangladesk@etvbharat.com>


রাজুবিশ্বাস,বারাসতঃ-সারদা ও নারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বাকযুদ্ধ চরমে,তখনই এই নিয়ে দু-জনকে খোঁচা দিলেন বাম পরিষদীয় নেতা ও সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী৷বারাসতের বাম প্রার্থী হরিপদ বিশ্বাসের সমথ'নে আজ রাতে বারাসতের শতদল ময়দানে দলীয় এক সভায় যোগ দেন তিনি৷সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন,সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনেক তথ্য আছে৷তাই,সিবিআইয়ের উচিৎ দু-জনকেই ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা৷এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর উচিৎ সিবিআইয়ের কাছে গিয়ে এব্যাপারে সবকিছু খুলে বলা৷আজকেই উনি(মুখ্যমন্ত্রী)এক সভায় বলেছেন,সারদা কেলেঙ্কারিতে যিনি আসল নায়ক,তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভায় বসে আছেন৷তাই,কে নায়ক উনি জানেন!কতটা নায়ক,কিভাবে নায়ক উনি সবকিছুই জানেন!ওনার কাজ,সিবিআই দপ্তরে হাজির হয়ে সেই ভেজা হাত দিয়ে আসা৷এফিডেবিট দিয়ে আসা৷যদি,উনি না দেন তাহলে আমরাই সিবিআইকে বলব,ওনাকে ডাকুন৷উনি সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে অনেক কিছু জানেন৷কারন,উনি আজকেই প্রকাশ্য মিটিংয়ে তা বলেছেন৷সারদা কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রীকে কি আপনি গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছেন?এই প্রশ্ন শুনে কিছুটা অবাক হন এই সিপিএম বিধায়ক৷বলেন,আমি তো এখনও দাবি করিনি৷আমার কথা আপনি বলবেন কেন!আমি বলেছি,সিবিআইয়ের উচিৎ সারদা কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা৷কারন,প্রধানমন্ত্রীর কাছে এনিয়ে অনেক তথ্য আছে৷যা আজকে সভা করতে এসে প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ করেছে৷প্রধানমন্ত্রী ভোটপ্রচারে এসে কোচবিহারের সভা থেকে তৃনমূলকে সারদা ও নারদার পাটি' বলে আক্রমন করেছিলেন৷এবিষয়ে সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,পাঁচ বছর পর এখন কেন সারদার কথা মনে পড়ল ওনার(প্রধানমন্ত্রী)৷পাঁচ বছর ধরে কি করছিলেন!উনি কি ঘুমিয়ে ছিলেন!প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন,প্রথমত পাঁচবছর পর ওনার কেন সারদার কথা মনে পড়ল৷দ্বিতীয়ত,সারদা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত নেতাদের ডান ও বাম দিকে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজেবাজে কথা বলতে পারেন না৷ভোটের কথা ভেবেই উনি এসব বলছেন৷তৃতীয়ত,প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে উনি(মুখ্যমন্ত্রী)আপত্তি করতে পারেন না৷কারন,আজকে যারা অপরাধ করেছেন, তারা সবাই মুখ্যমন্ত্রীর ছত্রছায়ায় থেকেই অপরাধ করেছেন৷দিল্লীর নিবা'চন কমিশন কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সহ আরও দুই জেলার পুলিশ সুপারদের সরিয়ে দিয়েছে৷এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে আক্রমন করেছিলেন৷এই নিয়ে সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,এটা আমি কখনই মনে করিনা যে কেউ কোনও পক্ষপাতদুষ্ট নয়৷তবে,সবচেয়ে বড় পক্ষপাতদুষ্ট উনি(মুখ্যমন্ত্রী)৷একসময় যাদের হয়ে উবেদারি করেছিলেন৷উনি কলকাতার পুলিশ কমিশনার সম্পর্কে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন,ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে বেস্ট অফিসার কমিশনার৷এমনকি নিজের এমএলএ-দেরও বলেছিলেন আমি তোমাদের বিশ্বাস করিনা৷ওকে(রাজীব কুমার)বিশ্বাস করি৷তাহলে ওনার চাইতে বড় উবেদারি আর কেউ আছে!অফিসারদের সরানো প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষও করেছেন সুজন চক্রবর্তী৷তাঁর কথায়,এরজন্য মুখ্যমন্ত্রীই দায়ী৷কোনও অফিসার যদি মুখ্যমন্ত্রীর ধনা'মঞ্চে উদি' পড়ে বসেন,তাহলে সেই অফিসারদের দিয়ে নিরপেক্ষ ভোট করানো সম্ভব নয়,তা আমরা আগেই বলেছি৷পঞ্চায়েত ভোটে কি প্রহসন হয়েছে,তা সবাই দেখেছে৷কাকে সরিয়ে কোন অফিসারকে আনা হল,সেটার চাইতে মানুষ ভোট দিতে পারবে কিনা,সেটার গুরুত্বপূর্ন৷কমিশনের সেই দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করা৷বিজেপি ও তৃনমূল নেতাদের ভাষা সন্ত্রাসকেও কটাক্ষ করে সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন,ওদের ভাষা সন্ত্রাস যেন আমাদের কখনই প্রয়োগ করতে না হয়৷বিজেপি ও তৃনমূলের ঝগড়াকে গটআপ বলেও খোঁচা দিয়েছেন তিনি৷ওই সভায় সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জী,ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা হাফিজ আলম সৈরানি,সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়,সিপিএমের জেলা সম্পাদক পলাশ দাস,বাম প্রার্থী হরিপদ বিশ্বাস প্রমুখ হাজির ছিলেন৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.