ETV Bharat / elections

তৃণমূলের সরকার ঘোষণা সর্বস্ব সরকার, তোপ শমীকের - বিজেপি

বুধবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করার পরই তাকে দিশাহীন বলে কটাক্ষ করল বিজেপি ৷ দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, এই সরকার ঘোষণা সর্বস্ব সরকারে পর্যবসিত হয়েছে ৷ জমিনীতি, শিল্পনীতি, কর্মসংস্থান নিয়ে রাজ্যের দিশা কী, তার জবাব ইস্তাহারে নেই বলেই দাবি শমীকের ৷

west bengal assembly election 2021_BJP leader Shamik Bhattacharya criticize TMC manifesto
তৃণমূলের সরকার ঘোষণা সর্বস্ব সরকার, তোপ শমীকের
author img

By

Published : Mar 17, 2021, 8:56 PM IST

কলকাতা, 17 মার্চ : যে শিল্পপতিরা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্য়ের প্রশংসা করেছেন, পরে তাঁরাই ভিনরাজ্য়ে গিয়ে বিনিয়োগ করেছেন ৷ ‘ফ্লাইট অফ ক্যাপিটাল’ (মূলধনের হাতছাড়া হওয়া) পূর্বতন বাম সরকার রুখতে পারেনি ৷ পরবর্তীকালে তৃণমূলের সরকারও তা আটকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে ৷ স্রেফ ঘোষণা সর্বস্ব সরকারে পর্যবসিত হয়েছে এই সরকার ৷ বুধবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় দলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের পর ঠিক এই ভাষাতেই তাঁর 10 বছরের শাসনকালকে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য ৷

তৃণমূলের ইস্তাহারে সবথেকে বড় চমক নিঃসন্দেহে ন্যূনতম রোজগারের নিশ্চয়তা ৷ সরাসরি এই প্রসঙ্গে না গেলেও পাল্টা এর জবাব দিতে কসুর করেননি শমীক ৷ তাঁর মতে, ভাবী প্রজন্ম 2 টাকা কেজি দরে পোকা ধরা চাল খাবে, নাকি নিজেদের রোজগারে মিনিকেট কিনে খাবে, সেটা রাজ্যবাসীকেই স্থির করতে হবে ৷

মমতা যেখানে তাঁর ইস্তাহারে অনুদান ও আর্থিক সাহায্যকেই পুঁজি করতে চেয়েছেন, সেখানে বিজেপির প্রশ্ন, শাসকদলের ইস্তাহারে কেন কর্মসংস্থান, শিল্প, জমিনীতি নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট রূপরেখা নেই ? এমনকী, রাজ্য সরকারের সাফল্য হিসাবে মমতা যে প্রকল্পগুলির কথা উল্লেখ করেছেন, তাও আদতে কেন্দ্রেরই প্রকল্প বলে দাবি বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের ৷ তাঁর মতে, রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার যে কতটা জরুরি, কতটা জরুরি কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ মেটানো, সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার ৷ কারণ, ইস্তাহার প্রকাশের সময় মমতা যে সব প্রকল্পের কথা বলেছেন, কেন্দ্রের সহযোগিতা ছাড়া সেগুলির বাস্তবায়ন সম্ভব নয় ৷ অথচ মমতার সরকার স্রেফ ‘ইগো’র বশবর্তী হয়েই কেন্দ্রের বহু প্রকল্প রাজ্য়ে কার্যকর হতে দেয় না ৷ তাহলে বাকি কাজগুলিই বা তারা করবে কীভাবে ?

আরও পড়ুন : ভোটে জিতলেই বাড়ি বাড়ি রেশন, প্রতিশ্রুতি মমতার

মমতা এদিন দাবি করেন, 10 বছরে তাঁর সরকার 110 শতাংশ কাজ করে ফেলেছে ৷ এক্ষেত্রে শমীকের প্রশ্ন, তাই যদি হবে, তাহলে ভোটের মুখে দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্প রাজ্যকে কেন আনতে হল ? কারণ, 2012 সালেই মমতা বলেছিলেন তাঁর সরকার 90 শতাংশ কাজ করে দিয়েছে ৷ এমনকি, 100 দিনের কাজ নিয়ে রাজ্য সরকারের সাফল্যকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এই বিজেপি নেতা ৷ তাঁর পাল্টা যুক্তি, রাজ্য়ে বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা না থাকাতেই 100 দিনের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন বহু মানুষ ৷ তৃণমূল সরকার যে রাজ্যবাসীকে স্বনির্ভর করতে মোটেও আগ্রহী নয়, 100 দিনের কাজের এই খতিয়ানই তার প্রমাণ ৷

কলকাতা, 17 মার্চ : যে শিল্পপতিরা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্য়ের প্রশংসা করেছেন, পরে তাঁরাই ভিনরাজ্য়ে গিয়ে বিনিয়োগ করেছেন ৷ ‘ফ্লাইট অফ ক্যাপিটাল’ (মূলধনের হাতছাড়া হওয়া) পূর্বতন বাম সরকার রুখতে পারেনি ৷ পরবর্তীকালে তৃণমূলের সরকারও তা আটকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে ৷ স্রেফ ঘোষণা সর্বস্ব সরকারে পর্যবসিত হয়েছে এই সরকার ৷ বুধবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় দলের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের পর ঠিক এই ভাষাতেই তাঁর 10 বছরের শাসনকালকে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য ৷

তৃণমূলের ইস্তাহারে সবথেকে বড় চমক নিঃসন্দেহে ন্যূনতম রোজগারের নিশ্চয়তা ৷ সরাসরি এই প্রসঙ্গে না গেলেও পাল্টা এর জবাব দিতে কসুর করেননি শমীক ৷ তাঁর মতে, ভাবী প্রজন্ম 2 টাকা কেজি দরে পোকা ধরা চাল খাবে, নাকি নিজেদের রোজগারে মিনিকেট কিনে খাবে, সেটা রাজ্যবাসীকেই স্থির করতে হবে ৷

মমতা যেখানে তাঁর ইস্তাহারে অনুদান ও আর্থিক সাহায্যকেই পুঁজি করতে চেয়েছেন, সেখানে বিজেপির প্রশ্ন, শাসকদলের ইস্তাহারে কেন কর্মসংস্থান, শিল্প, জমিনীতি নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট রূপরেখা নেই ? এমনকী, রাজ্য সরকারের সাফল্য হিসাবে মমতা যে প্রকল্পগুলির কথা উল্লেখ করেছেন, তাও আদতে কেন্দ্রেরই প্রকল্প বলে দাবি বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের ৷ তাঁর মতে, রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার যে কতটা জরুরি, কতটা জরুরি কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ মেটানো, সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার ৷ কারণ, ইস্তাহার প্রকাশের সময় মমতা যে সব প্রকল্পের কথা বলেছেন, কেন্দ্রের সহযোগিতা ছাড়া সেগুলির বাস্তবায়ন সম্ভব নয় ৷ অথচ মমতার সরকার স্রেফ ‘ইগো’র বশবর্তী হয়েই কেন্দ্রের বহু প্রকল্প রাজ্য়ে কার্যকর হতে দেয় না ৷ তাহলে বাকি কাজগুলিই বা তারা করবে কীভাবে ?

আরও পড়ুন : ভোটে জিতলেই বাড়ি বাড়ি রেশন, প্রতিশ্রুতি মমতার

মমতা এদিন দাবি করেন, 10 বছরে তাঁর সরকার 110 শতাংশ কাজ করে ফেলেছে ৷ এক্ষেত্রে শমীকের প্রশ্ন, তাই যদি হবে, তাহলে ভোটের মুখে দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্প রাজ্যকে কেন আনতে হল ? কারণ, 2012 সালেই মমতা বলেছিলেন তাঁর সরকার 90 শতাংশ কাজ করে দিয়েছে ৷ এমনকি, 100 দিনের কাজ নিয়ে রাজ্য সরকারের সাফল্যকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এই বিজেপি নেতা ৷ তাঁর পাল্টা যুক্তি, রাজ্য়ে বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা না থাকাতেই 100 দিনের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন বহু মানুষ ৷ তৃণমূল সরকার যে রাজ্যবাসীকে স্বনির্ভর করতে মোটেও আগ্রহী নয়, 100 দিনের কাজের এই খতিয়ানই তার প্রমাণ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.