নন্দকুমার, 21 মার্চ : মেদিনীপুর জেলা স্বাধীনতা আন্দোলনের জেলা ৷ ক্ষুদিরাম,বিদ্যাসাগর, মাতঙ্গিনীর মতো মহান ব্যক্তিত্বরা এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৷ আবার সেই জেলাতেই বিশ্বাসঘাতকদেরও জন্ম হয় ৷ রবিবার নন্দকুমার ও মহিষাদল বিধানসভার দুই প্রার্থীর সমর্থনে নন্দকুমার মহারাজা মহাবিদ্যালয়ের মাঠে নির্বাচনী জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানেই এমন মন্তব্য করেন তিনি ৷
নন্দকুমার বিধানসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুকুমার দে ৷ আর মহিষাদল বিধানসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন তিলক চক্রবর্তী ৷ এদিন সভামঞ্চে এই দু’জন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা কিরণময় নন্দ-সহ অন্যরা ৷
সভামঞ্চে এদিন মমতা বলেন, ‘‘তমলুক, মহিষাদল স্বাধীনতা আন্দনের জেলা ৷ কিন্তু এই জেলায় যেমন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা জন্মগ্রহণ করেছেন, তেমনই মীরজাফর, গদ্দাররাও জন্মেছে ৷ ক্ষুদিরামের জেলাতেও বিশ্বাসঘাতকরা জন্মায় ৷ আমি একটু গাধা আছি ৷ কয়েকটা শয়তান ছিল ৷ 2014 সাল থেকে অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল ৷ এরা সব ঘরের শত্রু বিভীষণ।
আমি সকলকে আপন ভেবে কাছে টেনে নিই ৷ কিন্তু আমার সঙ্গে কেউ কেউ প্রতারণা করেছে ৷ জেলার উন্নয়ন করছে কে, আর নিজের নাম করছে কে ! আমি জেলার উন্নয়নের কাজ করেছি ৷ কিন্তু সব নিজের নামে করে নিয়েছে মীরজাফররা ৷ আমার টাকা নিয়ে শুধু গুন্ডা তৈরি করেছে ৷ তাদের দিয়ে আমাকে মারার চেষ্টা করছে ৷’’ মমতার এই দীর্ঘ আক্রমণের লক্ষ্য যে কাঁথির অধিকারী পরিবার, তা বলাই বাহুল্য ৷
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরকে গদ্দারমুক্ত করার ডাক মমতার
নন্দকুমারের সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও কটাক্ষ করেন মমতা ৷ বলেন, ‘‘আমি অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি ৷ এই ধরনের প্রধানমন্ত্রী দেখিনি ৷’’ পাশাপাশি এদিন আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, বাংলায় তাঁদের সরকার ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে তারা ৷ শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, রাস্তা থেকে পানীয় জল সবকিছু সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে ৷