শিলিগুড়ি,23 ফেব্রুয়ারি : পৌরভোটের আগে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে একাধিক জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে সূত্রের খবর । এই নিয়ে জেলায় জেলায় অসন্তোষের কথা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও পৌঁছেছে । এবারের শিলিগুড়ি পৌরনিগমের নির্বাচনে গতবারের জয়ী কাউন্সিলর সত্যজিৎ অধিকারীকে ফের টিকিট দেওয়ার দাবিতে গৌতম দেব এবং দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারের বাড়ি ঘেরাও করলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ । এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ মন্ত্রী গৌতম দেব ।
আসন নিয়ে পুনর্বিন্যাসের ফলে এবার গতবারের জেতা আসনে দাঁড়াতে পারবেন না দলের কয়েকজন কাউন্সিলর । অন্যদিকে কাজের রিপোর্ট কার্ড যাঁদের ভালো নয় তাঁরাও দলীয় নেতৃত্বের কোপে পড়তে পারেন বলে সূত্রের খবর । তবে শিলিগুড়ি ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব । সেই কারণে দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার যখন এই ঘটনাকে টিকিটের জন্য সুস্থ প্রতিযোগিতা বলে দাবি করছেন তখন এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মন্ত্রী গৌতম দেব । বলেন," এমন কাজকর্ম দল অনুমোদন করে না। কাউন্সিলরের কাছে এনিয়ে কৈফিয়ৎ চাইব।"
দলীয় সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি পৌরনিগমের নির্বাচনে 40 নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সত্যজিৎ অধিকারীকে টিকিট না দিয়ে অন্য কাউকে এবার প্রার্থী করা হতে পারে । এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাউন্সিলের অনুগামীরা আজ সকালে মন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়ি ঘেরাও করেন । তাঁদের বক্তব্য, বহিরাগত কাউকে নয় । কাউন্সিলর সত্যজিৎ অধিকারীকেই ফের টিকিট দিতে হবে । এরপর তাঁরা জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারের বাড়িতেও যান । সেখানেও একই দাবি জানান তাঁরা । জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, "টিকিটের দাবিতে তাঁরা আসেননি । আমাকে এসব নিয়ে কোনও কথা বলেননি । তবে এই ধরনের আবেদন সুস্থ প্রতিযোগিতার লক্ষণ । অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হতে চান তাই এই ঘটনা ঘটেছে ।" যদিও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মন্ত্রী গৌতম দেব। বলেন, "এই ধরনের কাজকর্ম দল অনুমোদন করে না। কিছু কর্মী-সমর্থক বাড়িতে এসেছিলেন। তবে কাউন্সিলর সেখানে ছিলেন না । যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা কাউন্সিলরকে ফের টিকিট দেওয়ার কথা বলেছেন। আমি কাউন্সিলরের কাছে জানতে চাইব কেন এমন হল। কে কোন ওয়ার্ডে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি । নিয়ম মেনে তা ঠিক হবে। এই ধরনের বিক্ষোভ দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।