ETV Bharat / city

Robbery in Siliguri : বাড়ির মালিকের হাত-পা বেঁধে ডাকাতি শিলিগুড়িতে

শিলিগুড়িতে মাঝরাতে ঘটল দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা (Robbery in Siliguri)। লোহার রড দিয়ে বাড়ির মালিককে মেরে জখম করে বাড়ির সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে গেল ডাকাত দল । এমনই অভিযোগ করেছেন বাড়ির মালিক চন্দন রায় ৷ এই ঘটনায় বিহারের গ্যাং জড়িত থাকার আশঙ্কা করছে পুলিশ ।

Siliguri Crime News
শিলিগুড়িতে ডাকাতি
author img

By

Published : May 10, 2022, 4:26 PM IST

Updated : May 10, 2022, 4:44 PM IST

শিলিগুড়ি, 10 মে : মাঝরাতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল শিলিগুড়িতে । আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ও লোহার রড দিয়ে বাড়ির মালিককে মেরে জখম করে বাড়ির সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে গেল ডাকাত দল । ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে (Robbery at midnight in Siliguri)।

সোমবার মাঝরাতে শিলিগুড়ির ইসকন মন্দির রোড এলাকায় ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে । ডাকাতদের আক্রমণে গুরুতর আহত হন বাড়ির মালিক 71 বছর বয়সী চন্দন রায় । অভিযোগ, এদিন রাতে তিনজনের একটি ডাকাত দল রাত আড়াইটে নাগাদ দরজা ভেঙে ওই বাড়িতে ঢোকে । সেই সময় তাদের দরজা ভাঙার আওয়াজ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে বাইরে আসেন চন্দন রায় । দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেই তাঁকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে ডাকাত দল । তৎক্ষণাৎ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি । পরবর্তীতে তাঁর হাত-পা বেঁধে রাখে ডাকাত দল । এরপর তাঁর স্ত্রী ঘর থেকে বেরোলে তাঁকেও প্রাণে মারার হুমকি দেয় ও আলমারি ভেঙে প্রায় তিন লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও নগদ সাত লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা ।

দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেতেই পুলিশে খবর দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে । প্রথমে প্রতিবেশীরা চন্দনবাবুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় । এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভক্তিনগর থানার পুলিশ । তবে চন্দনবাবুর অনুমান, পরিচিত কেউ এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

ডাকাতির পাশাপাশি দুষ্কৃতীরা বাড়ির মালিক চন্দন রায়ের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে

আরও পড়ুন : Women Trafficking in Siliguri : প্রেম-বিয়ের পর্ব সেরেই নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি ! পুলিশের জালে দুই

বাড়ির মালিক চন্দন রায় বলেন, "যাঁরা এসেছিল তাঁরা হিন্দিতে কথা বলছিল । আর তাঁরা আগে থেকেই কোন দিক দিয়ে ঢুকতে হবে এবং ঘরে কোথায় কোথায় কী রয়েছে জানত । আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমায় আঘাত করে হাত-পা বেঁধে রেখে দেয় ।"

তদন্তে নেমে ডাকাতির ঘটনায় বিহারের চক্র জড়িত থাকার আশঙ্কা করছিল পুলিশ । সেজন্য ভক্তিনগর থানা ও কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপকে কাজে লাগানো হয়েছিল । ইন্দো-বিহার সীমান্তে বসানো হয়েছিল নাকা তল্লাশির ব্যবস্থা । পুলিশ ইতিমধ্যে কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ কারা কারা আরও জড়িত আছে এই ঘটনায় তা জানার জন্য তদন্ত করছে পুলিশ ৷

শিলিগুড়ি, 10 মে : মাঝরাতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল শিলিগুড়িতে । আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ও লোহার রড দিয়ে বাড়ির মালিককে মেরে জখম করে বাড়ির সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে গেল ডাকাত দল । ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে (Robbery at midnight in Siliguri)।

সোমবার মাঝরাতে শিলিগুড়ির ইসকন মন্দির রোড এলাকায় ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে । ডাকাতদের আক্রমণে গুরুতর আহত হন বাড়ির মালিক 71 বছর বয়সী চন্দন রায় । অভিযোগ, এদিন রাতে তিনজনের একটি ডাকাত দল রাত আড়াইটে নাগাদ দরজা ভেঙে ওই বাড়িতে ঢোকে । সেই সময় তাদের দরজা ভাঙার আওয়াজ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে বাইরে আসেন চন্দন রায় । দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেই তাঁকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে ডাকাত দল । তৎক্ষণাৎ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি । পরবর্তীতে তাঁর হাত-পা বেঁধে রাখে ডাকাত দল । এরপর তাঁর স্ত্রী ঘর থেকে বেরোলে তাঁকেও প্রাণে মারার হুমকি দেয় ও আলমারি ভেঙে প্রায় তিন লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও নগদ সাত লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা ।

দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেতেই পুলিশে খবর দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে । প্রথমে প্রতিবেশীরা চন্দনবাবুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় । এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভক্তিনগর থানার পুলিশ । তবে চন্দনবাবুর অনুমান, পরিচিত কেউ এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

ডাকাতির পাশাপাশি দুষ্কৃতীরা বাড়ির মালিক চন্দন রায়ের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে

আরও পড়ুন : Women Trafficking in Siliguri : প্রেম-বিয়ের পর্ব সেরেই নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি ! পুলিশের জালে দুই

বাড়ির মালিক চন্দন রায় বলেন, "যাঁরা এসেছিল তাঁরা হিন্দিতে কথা বলছিল । আর তাঁরা আগে থেকেই কোন দিক দিয়ে ঢুকতে হবে এবং ঘরে কোথায় কোথায় কী রয়েছে জানত । আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমায় আঘাত করে হাত-পা বেঁধে রেখে দেয় ।"

তদন্তে নেমে ডাকাতির ঘটনায় বিহারের চক্র জড়িত থাকার আশঙ্কা করছিল পুলিশ । সেজন্য ভক্তিনগর থানা ও কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপকে কাজে লাগানো হয়েছিল । ইন্দো-বিহার সীমান্তে বসানো হয়েছিল নাকা তল্লাশির ব্যবস্থা । পুলিশ ইতিমধ্যে কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ কারা কারা আরও জড়িত আছে এই ঘটনায় তা জানার জন্য তদন্ত করছে পুলিশ ৷

Last Updated : May 10, 2022, 4:44 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.