ETV Bharat / city

লকডাউনে কড়া পদক্ষেপ শিলিগুড়ির এই অ্যাপার্টমেন্টে - লকডাউনে শিলিগুড়ির অ্যাপার্টমেন্ট

নিজেদের ভালোর জন্যই এখানে লকডাউন কঠোর। শহরের রাস্তায় যখন ভিড় কমছে না। তখন, শিলিগুড়ির এক অ্যাপার্টমেন্টে দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য চিত্র।

Lockdown in Siliguri apartment
Nilkamal Apartment
author img

By

Published : Apr 18, 2020, 6:20 PM IST

শিলিগুড়ি, 18 এপ্রিল: রাজ্যের সংক্রমণ প্রবণ জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তরের তিন জেলাও। এ সেই অঞ্চল যেখানে সংক্রমণ ছড়িয়েছে এবং ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও শিলিগুড়ির বাসিন্দারা লকডাউন মানছেন না। নাজেহাল অবস্থা প্রশাসনের। বাধ্য হয়ে নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিশ। রাস্তায় বেরোনোর যথাযথ কারণ না দেখাতে পারলে চলছে গ্রেপ্তারিও। কিন্তু, এই শিলিগুড়ির মধ্যেও রয়েছে অন্য শিলিগুড়ি। এলাকার নাম হায়দার পাড়া। সেখানকার নীলকমল অ্যাপার্টমেন্টের 80টি পরিবার প্রকৃতই লকডাউন পালন করছে। এমনকী বেশ কিছু কর্মসূচী নিয়েছেন তাঁরা, যাতে করে লকডাউন পালন করতে বাধ্য হয় অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা।

Lockdown in Siliguri apartment
অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরোতে হলে কারণ লিখতে হচ্ছে রেজিস্টারে।

হায়দারপাড়ার প্রণামী মন্দির রোডে রয়েছে এই নীলকমল অ্যাপার্টমেন্ট। যেখানে রয়েছেন 80টি পরিবারের প্রায় 350 জন মানুষ। লকডাউন ঘোষণা হতেই ওই আবাসনের বাসিন্দারা এমন একাধিক ব্যবস্থা নেন, যাতে করে লকডাউন ঠিক মতো পালিত হয়। আবাসন পরিচালন সমিতির সদস্যরা জানিয়েছেন, কোরোনা পরিস্থিতিতে প্রথমেই 80টি ফ্ল্যাটেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় পরিচারিকাদের। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরোনো বন্ধ করেন আবাসিকরা। তাছাড়া আবাসনের মূল গেটে রাখা হয়েছে একটি রেজিস্টার। সেখানে নাম এবং কী কাজে আবাসিককে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হতে হচ্ছে তা লিখিত আকারে জানাতে হচ্ছে। আপাতত দিনে একটি পরিবারের একজনের এক ঘণ্টা বাইরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, তার আগেও নিতে হচ্ছে গেট পাস। সেই পাস দেখিয়ে কী কারণে বের হচ্ছেন তা জানিয়ে এবং ফেরার একঘণ্টার সময়সীমা মানবেন অঙ্গীকার করলে তবেই খুলছে নীলকমল অ্যাপার্টমেন্টের গেট।

শনিবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, আবাসনের প্রত্যেকেই বাস্তবিক ঘরবন্দী। আপাতত পড়শি ফ্ল্যাটে যাওয়াতেও নিষেধ রয়েছে। এমনকী আবাসিকদের অত্মীয়স্বজনদেরও নীলকমল অ্যাপার্টমেন্টে আসার উপায় নেই। অন্যদিকে সবজি নিয়ে গেটের সামনে দাঁড়াচ্ছেন বিক্রেতারা। সেখান থেকে সবজি কিনে ফিরতে হচ্ছে নিজের ঘরে। এক্ষেত্রে বাইরে যাওয়ার অনুমতি মিলছে না। অন্যদিকে, যারা কারণ দেখিয়ে গেট পাস নিয়ে এক ঘণ্টার জন্য বাইরে যাচ্ছেন, ফেরার সময় তাঁরা যাতে জীবাণুমুক্ত হয়ে আবাসনে প্রবেশ করেন, তার জন্য গেটের মুখেই রাখা আছে স্যানিটাইজার।

Lockdown in Siliguri apartment
বাইরে না গিয়ে আপাতত এভাবে সবজি কিনছেন বাসিন্দারা।

আবাসনের এক বাসিন্দা বলেন, আপাতত বাইরের কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী আত্মীয়স্বজন আসাও নিষেধ। কেউ এলে গেট থেকে দেখা করে চলে যেতে হবে। ঢুকবেন না পরিচারিকারাও। এই ব্যবস্থা চালু করায় শুরুতে আপত্তি উঠলেও এখন সবাই মেনে নিয়েছেন।

নীলকমলের ওই বাসিন্দার আবেদন, সকলেই এভাবে লকডাউন মানুন। তাহলেই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হবে।

নীলকমল অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দাদের এহেন কর্মকাণ্ডকে স্বাগত জানাচ্ছেন শিলিগুড়ির মেয়র থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা। স্থানীয়রা বলেন, সচেতনতার বার্তা দিতে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে নীলকমলের 80টি পরিবার।

শিলিগুড়ি, 18 এপ্রিল: রাজ্যের সংক্রমণ প্রবণ জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তরের তিন জেলাও। এ সেই অঞ্চল যেখানে সংক্রমণ ছড়িয়েছে এবং ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও শিলিগুড়ির বাসিন্দারা লকডাউন মানছেন না। নাজেহাল অবস্থা প্রশাসনের। বাধ্য হয়ে নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিশ। রাস্তায় বেরোনোর যথাযথ কারণ না দেখাতে পারলে চলছে গ্রেপ্তারিও। কিন্তু, এই শিলিগুড়ির মধ্যেও রয়েছে অন্য শিলিগুড়ি। এলাকার নাম হায়দার পাড়া। সেখানকার নীলকমল অ্যাপার্টমেন্টের 80টি পরিবার প্রকৃতই লকডাউন পালন করছে। এমনকী বেশ কিছু কর্মসূচী নিয়েছেন তাঁরা, যাতে করে লকডাউন পালন করতে বাধ্য হয় অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা।

Lockdown in Siliguri apartment
অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরোতে হলে কারণ লিখতে হচ্ছে রেজিস্টারে।

হায়দারপাড়ার প্রণামী মন্দির রোডে রয়েছে এই নীলকমল অ্যাপার্টমেন্ট। যেখানে রয়েছেন 80টি পরিবারের প্রায় 350 জন মানুষ। লকডাউন ঘোষণা হতেই ওই আবাসনের বাসিন্দারা এমন একাধিক ব্যবস্থা নেন, যাতে করে লকডাউন ঠিক মতো পালিত হয়। আবাসন পরিচালন সমিতির সদস্যরা জানিয়েছেন, কোরোনা পরিস্থিতিতে প্রথমেই 80টি ফ্ল্যাটেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় পরিচারিকাদের। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরোনো বন্ধ করেন আবাসিকরা। তাছাড়া আবাসনের মূল গেটে রাখা হয়েছে একটি রেজিস্টার। সেখানে নাম এবং কী কাজে আবাসিককে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হতে হচ্ছে তা লিখিত আকারে জানাতে হচ্ছে। আপাতত দিনে একটি পরিবারের একজনের এক ঘণ্টা বাইরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, তার আগেও নিতে হচ্ছে গেট পাস। সেই পাস দেখিয়ে কী কারণে বের হচ্ছেন তা জানিয়ে এবং ফেরার একঘণ্টার সময়সীমা মানবেন অঙ্গীকার করলে তবেই খুলছে নীলকমল অ্যাপার্টমেন্টের গেট।

শনিবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, আবাসনের প্রত্যেকেই বাস্তবিক ঘরবন্দী। আপাতত পড়শি ফ্ল্যাটে যাওয়াতেও নিষেধ রয়েছে। এমনকী আবাসিকদের অত্মীয়স্বজনদেরও নীলকমল অ্যাপার্টমেন্টে আসার উপায় নেই। অন্যদিকে সবজি নিয়ে গেটের সামনে দাঁড়াচ্ছেন বিক্রেতারা। সেখান থেকে সবজি কিনে ফিরতে হচ্ছে নিজের ঘরে। এক্ষেত্রে বাইরে যাওয়ার অনুমতি মিলছে না। অন্যদিকে, যারা কারণ দেখিয়ে গেট পাস নিয়ে এক ঘণ্টার জন্য বাইরে যাচ্ছেন, ফেরার সময় তাঁরা যাতে জীবাণুমুক্ত হয়ে আবাসনে প্রবেশ করেন, তার জন্য গেটের মুখেই রাখা আছে স্যানিটাইজার।

Lockdown in Siliguri apartment
বাইরে না গিয়ে আপাতত এভাবে সবজি কিনছেন বাসিন্দারা।

আবাসনের এক বাসিন্দা বলেন, আপাতত বাইরের কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী আত্মীয়স্বজন আসাও নিষেধ। কেউ এলে গেট থেকে দেখা করে চলে যেতে হবে। ঢুকবেন না পরিচারিকারাও। এই ব্যবস্থা চালু করায় শুরুতে আপত্তি উঠলেও এখন সবাই মেনে নিয়েছেন।

নীলকমলের ওই বাসিন্দার আবেদন, সকলেই এভাবে লকডাউন মানুন। তাহলেই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হবে।

নীলকমল অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দাদের এহেন কর্মকাণ্ডকে স্বাগত জানাচ্ছেন শিলিগুড়ির মেয়র থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা। স্থানীয়রা বলেন, সচেতনতার বার্তা দিতে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে নীলকমলের 80টি পরিবার।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.