ETV Bharat / city

জঞ্জালের স্তূপ থেকেও মমতার ছবি সংগ্রহ, আনসারের স্বপ্ন শিলিগুড়িতে সংগ্রহশালা তৈরি

শিলিগুড়ির শান্তিনগরের বউবাজারের বাসিন্দা আনসার রহমান ৷ পেশা ছবি আঁকা । আর নেশা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সংগ্রহ করা । সব মিলিয়ে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে 15 হাজার ছবি । লক্ষ্য শহর শিলিগুড়ির বুকে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা ৷

author img

By

Published : Nov 22, 2019, 9:19 AM IST

Updated : Nov 23, 2019, 12:18 AM IST

সংগ্রহশালা

শিলিগুড়ি, 22 নভেম্বর : পেশা ছবি আঁকা । আর নেশা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সংগ্রহ করা । আর সেই নেশায় বুঁদ হয়ে বিগত 34 বছরে নিদেনপক্ষে 15 হাজার ছবি সংগ্রহ করেছেন ৷ এখন বয়স 70-এর দোরগোড়ায় ৷ কিন্তু আজও নিয়মিত শহরের বিভিন্ন অলিগলির জঞ্জালের স্তূপে উঁকি দেন ৷ লক্ষ্য, জঞ্জালের মধ্যে থেকে মমতার ছবি খুঁজে বের করা ৷

শিলিগুড়ির শান্তিনগরের বউবাজারের বাসিন্দা আনসার রহমান ৷ 34 বছর ধরে খবরের কাগজ কিনে চলেছেন ৷ শুধু মমতার ছবি সংগ্রহ করবেন বলে ৷ মমতার ছবি সংগ্রহের নেশায় বুঁদ হয়ে চলার পথে অনেক কটূক্তিও সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে । তবে থেমে যাননি তিনি । তাঁর স্বপ্ন আস্ত এক সংগ্রহশালা গড়ে তোলার । সে ক্ষেত্রে সম্প্রতি নবান্নে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একপ্রস্থ আলাপও সেরে এসেছেন ।

সালটা 1984 ৷ প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে থেকে দেখার সুযোগ পান আনসার ৷ তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস নেত্রী ৷ মুগ্ধ হন নেত্রীর স্লোগানে ৷ সেই থেকে শুরু ছবি সংগ্রহ ৷ আজও চলছে ৷ প্রথমদিকে স্ত্রী, সন্তানের গঞ্জনাও সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে ৷ পরে অবশ্য তাঁরাই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন ৷ আজও পাশে রয়েছেন ৷

দেখুন ভিডিয়ো...

পেশায় চিত্রশিল্পী আনসার রহমান ছবি সংগ্রহের পাশাপাশি রং-তুলির টানে একাধিক মমতার ছবিও এঁকেছেন ৷ অন্যদিকে প্রতিদিনই রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা জঞ্জালের স্তূপ থেকে মমতার ছবি সংগ্রহ করেন । তারপর তা যত্ন সহকারে সাজিয়ে রাখেন নিজের ঘরে । কিছু ছবি দিয়ে বানিয়েছেন অ্যালবাম ৷ আবার কিছু ছবি রেখেছেন বাঁধিয়ে । সব মিলিয়ে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে 15 হাজার ছবি । সে সব দিয়েই আস্ত এক সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন নিজের একচালা ছোট্ট ঘরে ৷ এখন লক্ষ্য শহর শিলিগুড়ির বুকে একটি সংগ্রহশালা তৈরির ৷ সেইসঙ্গে কর্মশালা আয়োজন করার । তবে স্বপ্ন আদপেও বাস্তবায়িত হবে কি না তা নিয়ে অবশ্য ধন্দে রয়েছেন তিনি ।

আনসার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীপ্ত তেজ, গাম্ভীর্য দেখে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, ভবিষ্যতে তিনি দেশের বড় মাপের কিছু হবেন ৷ তখন থেকেই শুরু করেছিলেন ছবি সংগ্রহ করতে ৷ বলেন, "ছবি সংগ্রহ করতে দেখে পাড়ার অনেকে অনেক কথা বলেছে ৷ অনেকে বলেছে পাগলের প্রলাপ ৷ এ সব করে কী হবে ৷ এ সব করে কোনও লাভ নেই ৷ এ সমস্ত কথা শুনতে হয়েছে আমাকে ৷ " তিনি আরও বলেন, " আমি খবরের কাগজ প্রতিদিন কিনি ৷ সেইসঙ্গে ধরুন মুদির দোকানে গেলাম ৷ সেখানে হয়ত কাগজে ছবি দেখতে পেলাম ৷ চেয়ে নিলাম ৷ কেউ ঝালমুড়ি খাচ্ছে সেখানে অপেক্ষা করি যাতে কাগজটা ফেলে না দেয় ৷ তার হাত থেকে নিয়ে নিই ৷ ডাস্টবিন থেকেও ছবি সংগ্রহ করি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেছিলাম ৷ এ বিষয়ে তিনি বলেছেন ভালো কাজ ৷ সংগ্রহশালা করলে ভালো হয় ৷ "

শিলিগুড়ি, 22 নভেম্বর : পেশা ছবি আঁকা । আর নেশা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সংগ্রহ করা । আর সেই নেশায় বুঁদ হয়ে বিগত 34 বছরে নিদেনপক্ষে 15 হাজার ছবি সংগ্রহ করেছেন ৷ এখন বয়স 70-এর দোরগোড়ায় ৷ কিন্তু আজও নিয়মিত শহরের বিভিন্ন অলিগলির জঞ্জালের স্তূপে উঁকি দেন ৷ লক্ষ্য, জঞ্জালের মধ্যে থেকে মমতার ছবি খুঁজে বের করা ৷

শিলিগুড়ির শান্তিনগরের বউবাজারের বাসিন্দা আনসার রহমান ৷ 34 বছর ধরে খবরের কাগজ কিনে চলেছেন ৷ শুধু মমতার ছবি সংগ্রহ করবেন বলে ৷ মমতার ছবি সংগ্রহের নেশায় বুঁদ হয়ে চলার পথে অনেক কটূক্তিও সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে । তবে থেমে যাননি তিনি । তাঁর স্বপ্ন আস্ত এক সংগ্রহশালা গড়ে তোলার । সে ক্ষেত্রে সম্প্রতি নবান্নে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একপ্রস্থ আলাপও সেরে এসেছেন ।

সালটা 1984 ৷ প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে থেকে দেখার সুযোগ পান আনসার ৷ তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস নেত্রী ৷ মুগ্ধ হন নেত্রীর স্লোগানে ৷ সেই থেকে শুরু ছবি সংগ্রহ ৷ আজও চলছে ৷ প্রথমদিকে স্ত্রী, সন্তানের গঞ্জনাও সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে ৷ পরে অবশ্য তাঁরাই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন ৷ আজও পাশে রয়েছেন ৷

দেখুন ভিডিয়ো...

পেশায় চিত্রশিল্পী আনসার রহমান ছবি সংগ্রহের পাশাপাশি রং-তুলির টানে একাধিক মমতার ছবিও এঁকেছেন ৷ অন্যদিকে প্রতিদিনই রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা জঞ্জালের স্তূপ থেকে মমতার ছবি সংগ্রহ করেন । তারপর তা যত্ন সহকারে সাজিয়ে রাখেন নিজের ঘরে । কিছু ছবি দিয়ে বানিয়েছেন অ্যালবাম ৷ আবার কিছু ছবি রেখেছেন বাঁধিয়ে । সব মিলিয়ে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে 15 হাজার ছবি । সে সব দিয়েই আস্ত এক সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন নিজের একচালা ছোট্ট ঘরে ৷ এখন লক্ষ্য শহর শিলিগুড়ির বুকে একটি সংগ্রহশালা তৈরির ৷ সেইসঙ্গে কর্মশালা আয়োজন করার । তবে স্বপ্ন আদপেও বাস্তবায়িত হবে কি না তা নিয়ে অবশ্য ধন্দে রয়েছেন তিনি ।

আনসার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীপ্ত তেজ, গাম্ভীর্য দেখে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, ভবিষ্যতে তিনি দেশের বড় মাপের কিছু হবেন ৷ তখন থেকেই শুরু করেছিলেন ছবি সংগ্রহ করতে ৷ বলেন, "ছবি সংগ্রহ করতে দেখে পাড়ার অনেকে অনেক কথা বলেছে ৷ অনেকে বলেছে পাগলের প্রলাপ ৷ এ সব করে কী হবে ৷ এ সব করে কোনও লাভ নেই ৷ এ সমস্ত কথা শুনতে হয়েছে আমাকে ৷ " তিনি আরও বলেন, " আমি খবরের কাগজ প্রতিদিন কিনি ৷ সেইসঙ্গে ধরুন মুদির দোকানে গেলাম ৷ সেখানে হয়ত কাগজে ছবি দেখতে পেলাম ৷ চেয়ে নিলাম ৷ কেউ ঝালমুড়ি খাচ্ছে সেখানে অপেক্ষা করি যাতে কাগজটা ফেলে না দেয় ৷ তার হাত থেকে নিয়ে নিই ৷ ডাস্টবিন থেকেও ছবি সংগ্রহ করি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেছিলাম ৷ এ বিষয়ে তিনি বলেছেন ভালো কাজ ৷ সংগ্রহশালা করলে ভালো হয় ৷ "

Intro:গ্যাটের কড়ি খরচের পাশাপাশি জঞ্জালের স্তূপ থেকে মমতার ছবি সংগ্রহই লক্ষ্য আনসারের, স্বপ্ন সংগ্রহশালা গড়ে তোলা


শিলিগুড়ি, ২০ নভেম্বর: পেশা ছবি আঁকা। যদিও নেশা মমতার ছবি সংগ্রহ করা। সেই নেশায় বুদ হয়ে ৩৪ বছরে নিদেনপক্ষে ১৫ হাজার ছবি সংগ্রহ করেছেন শহর শিলিগুড়ির শান্তিনগর বৌ-বাজার এলাকার বাসিন্দা আনসারবাবু। বয়স সত্তরের দোরগোড়ায়, যদিও আজও নিয়ম করে শহরের ভিন্ন অলিগলির জঞ্জালের স্তূপে উঁকি দিয়ে থাকেন নিয়ম করে। লক্ষ্য থাকে জঞ্জালের স্তূপ থেকে মমতার ছবি খুঁজে বার করা। এছাড়াও একটানা ৩৪ বছর ধরে গ্যাটের কড়ি খরচ করে খবরের কাগজ কিনে চলেছেন শুধুই মমতার ছবি সংগ্রহের জন্য। মমতার ছবি সংগ্রহের নেশায় বুদ হওয়ার পথে বহু কটুক্তি সইতে হয়েছে তাকে। যদিও থেমে যাননি। বাঁধা উপেক্ষা করে আজ স্বপ্নের অভিমুখে আনসারবাবু। স্বপ্ন দেখছেন আস্ত এক সংগ্রহশালা গড়ে তোলার। সেক্ষেত্রে সম্প্রতি নবান্ন অভিযান করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একপ্রস্থ আলাপও সেরে ফেলেছেন।


Body:কলকাতার টালিগঞ্জের বাসিন্দা আনসার রহমান। যদিও কর্মসূত্রে শিলিগুড়িতে পারি জমাতে হয় তাকে। তবে কলকাতায় যাওয়া আসা লেগেই ছিল। সেই সুবাদেই প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাতের নাগালে পেয়েছিলেন। সালটা ছিল ১৯৮৪। কংগ্রেস দলের সঙ্গে যুক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেসময়ই কলকাতার বুকে এক ছাত্র আন্দোলনে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রীকে চাক্ষুস করেন তিনি। মুগ্ধ হয়ে পরেন নেত্রীর তোলা স্লোগানে। তারপর থেকেই শুরু হয় মমতার ছবি সংগ্রহ করা। প্রথমদিকে স্ত্রী সন্তানের গঞ্জনা সহ্য করতে হলেও তারাই আজ অনুপ্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন।

পেশায় চিত্র শিল্পী আনসারবাবু ছবি সংগ্রহের পাশাপাশি রং তুলির টানে একাধিক মমতার ছবিও এঁকেছেন তিনি। অন্যদিকে গ্যাটের কড়ি খরচ করার পাশাপাশি পথঘাটে পরে থাকা জঞ্জালের স্তূপ থেকেও মমতার ছবি সংগ্ৰহ করে আসছেন। পাশাপাশি, আশেপাশের এলাকায় থাকা বিভিন্ন দোকানে হানা দিয়ে মমতার ছবি সহ খবরের কাগজ নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এরপর তা যত্ন সহকারে সাজিয়ে রাখেন নিজের ঘরে। কিছু ছবি দিয়ে বানিয়েছেন এলবাম আবার কিছু ছবি রেখেছেন বাঁধিয়ে। সব মিলিয়ে মোট সংগ্রহ প্রায় ১৫ হাজার। সেসব দিয়েই আস্ত এক সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন নিজের একচালার ছোট্ট এক ঘরে। এখন লক্ষ্য শহর শিলিগুড়ির বুকে আস্ত এক সংগ্রহশালা গড়ে তোলা সহ কর্মশালা আয়োজন করা। তবে স্বপ্ন আদপেও বাস্তব হবে কিনা তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন খোদ আনসারবাবু।


Conclusion:আনসারবাবু জানিয়েছেন, ৩৪ বছর ধরে ছবি সংগ্রহ করি। শুরুতে অনেক বাঁধা এসেছে। লোকের কটূক্তি সইতে হয়েছে। পাগল বলত আমাকে। কিন্তু আমি আমার কাজে মনোসংযোগ রেখেছিলাম। আমার লক্ষ্য ৫০ হাজার ছবি সংগ্রহ করা। তা দিয়ে সংগ্রহশালা গড়তে চাই। সেক্ষেত্রে নব্বানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলাম বছর দুই আগে। তবে স্বপ্ন কতটা সফল হবে জানি না।

Last Updated : Nov 23, 2019, 12:18 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.