শিলিগুড়ি, 12 ফেব্রুয়ারি: এক ব্যক্তির গলাকাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়িতে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ঝমকলালজোতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম উমেশ শাহ(৪৬)। সে শিলিগুড়ির ঝংকার মোড়ের হেমন্ত বসু কলোনি এলাকার বাসিন্দা। এ দিন সকালে প্রথমে স্থানীয়রা ওই ব্যক্তির গলাকাটা মৃতদেহ দেখতে পান। তাই দেখে তড়িঘড়ি স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশকে। ঘটনাস্থলে যায় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। তদন্তে যান দার্জিলিং জেলা পুলিশের ডিএসপি (রুরাল) অচিন্ত্য গুপ্ত ও নকশালবাড়ির সিআই সুদীপ্ত সরকার। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির ফাঁসিদেওয়া ব্লকে নিজের বাড়িতে বস্তার গোডাউন রয়েছে। পুরোন বস্তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে রিসাইকেল করে তিনি সরবরাহ করেন। তিনি বৃহস্পতিবার কাজে বাড়িতে যান। বিকেল ৬টা নাগাদ ওই ব্যক্তি স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানান যে, আধ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরবেন। তারপর থেকেই ফোন বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপর এ দিন সকালে খবর পান যে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, উমেশকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে হেলমেট পরা অবস্থাতেই ওই ব্যক্তির মাথা কেটে দেহ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়। মাথাহীন দেহ লুকানোর জন্য ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ফাঁকা মাঠে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। আর ওই ব্যক্তির বাইকটি খালে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন: বেহালায় মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, খুনের সন্দেহ পুলিশের
ঘটনার কিনারা করতে এ দিন পুলিশ কুকুরকে দিয়ে এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফে মুকেশ সিনহা বলেন, "রাত থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু করি আমরা। সকালে দেহ উদ্ধারের খবর দেয় পুলিশ। কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত ঝগড়া ছিল না উমেশের।"