শিলিগুড়ি, 15 ফেব্রুয়ারি : ফের বন দপ্তরের জালে আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণ পাচার চক্র। এবার হাতির দাঁত পাচারের ছক বানচাল করলেন বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের সারুগাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। উদ্ধার হয়েছে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের এক কেজি হাতির দাঁত। পাকড়াও ভিন রাজ্যের ছয় পাচারকারী। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। ধৃতদের মধ্যে একজন পুলিশ কনস্টেবল বলে জানা গিয়েছে ।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকেই সিকিমের বাসিন্দা । ধৃতরা হল গান্দুপ লেপচা, ধন বাহাদুর প্রধান, রোহিত তামাং, দাওয়া শেরপা, গণেশ ছেত্রী, স্যামসন লেপচা। ধৃতদের মধ্যে গণেশ ছেত্রী ওই পাচার চক্রের মূল পান্ডা এবং সে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের (আইআরবি) কনস্টেবল। ধৃতদের এদিন জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের অতিরিক্ত বনপাল (বন্যপ্রাণ) জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় পাচারে ব্যবহার হওয়া দু’টি গাড়ির নম্বর সিকিমের ৷ গাড়ি দু’টিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গে পাচার ও চোরাশিকার রুখতে তৎপর বনদপ্তর
সোমবার রাতে খবর পেয়ে ওদলাবাড়িতে অভিযান চালান সারুগাড়া রেঞ্জের অফিসাররা। একটি হোটেলের পাশে সিকিমের দু’টি নম্বর প্লেটের গাড়িতে এক কেজি ওজনের হাতির দাঁত পাচারের উদ্দেশে দরাদরি চলছিল। সেই সময় অভিযান চালান বনকর্মীরা। দু’জন ঘটনাস্থান থেকে পালাতে সক্ষম হলেও, ছয় জনকে হাতির দাঁতসহ হাতেনাতে ধরে ফেলেন বনকর্মীরা। অসমের থেকে ওই হাতির দাঁত পাচারের উদ্দেশে নিয়ে আসা হয়েছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও জানা গিয়েছে, চক্রের মূল পান্ডা তথা আইআরবি কনস্টেবল এর আগেও একাধিকবার বন্যপ্রাণীর অঙ্গ পাচার করেছে। এমনকী হাতি, গণ্ডার এবং ক্লাউডেড লেপার্ড সহ 15টি বন্যপ্রাণীকে হত্যা করে পাচার করেছে। সেগুলি পাচার করে অন্তত দেড় কোটি টাকা আয় করেছে তারা ৷ প্রাথমিক জেরায় অভিযুক্তরা একথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন বন আধিকারিকরা। পলাতক দু’জনের খোঁজ শুরু করেছে বন দপ্তর।