মালদা, 3 সেপ্টেম্বর : উত্তরবঙ্গ কখনও রাজনৈতিক সন্ত্রাসের জায়গা ছিল না । কিন্তু এখন সন্ত্রাসের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে । গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে উত্তরবঙ্গে এসব শুরু হয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যদি ভেবে থাকে মামলা দিয়ে, হামলা করে BJP-কে আটকানো যাবে, তাহলে তিনি চেষ্টা করতে পারেন । রায়গঞ্জে পুলিশ হেপাজতে দলীয় কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ প্রসঙ্গে বললেন BJP নেতা সায়ন্তন বসু ।
রায়গঞ্জে গতকাল পুলিশ হেপাজতে অনুপ রায় নামে এক BJP কর্মীর মৃত্যু হয় । এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তোলে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব । তাদের তরফে দাবি করা হয়, গতকাল বিকেলে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে এসে এক পুলিশকর্মী তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান । রাতেই ওই BJP কর্মীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রাত থেকে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে রায়গঞ্জ । এই পরিস্থিতিতে আজ মালদায় যান BJP-র রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু । সকালে রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ এলাকায় একটি চায়ের দোকানে "চায়ে পে চর্চা"য় অংশ নেন তিনি । সেখানে রায়গঞ্জের ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, "এই নিয়ে আমি ওই জেলার সভাপতি সহ অন্য কার্যকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি । গতকাল রায়গঞ্জে পুলিশ আমাদের এক নেতাকে পিটিয়ে ও গুলি করে খুন করেছে । ওই ছেলেটি গত আট মাস ধরে আমাদের নেতা হিসেবে কাজ করত । পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল । বেআইনিভাবে রাতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে । আমাদের দাবি, মৃতদেহের আবার ময়নাতদন্ত করতে হবে ।"
আগামীকাল রায়গঞ্জ যাচ্ছেন সায়ন্ত বসু । সেখানে থানা ঘেরাও করা হবে বলে তিনি জানান । এই ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত থানা ঘেরাও চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন । তাঁর অভিযোগ, ছেলেটি তাঁদের দলের কর্মী ছিলেন বলে প্রাণ হারাতে হয়েছে । এই ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ি করেন তিনি । দোষী পুলিশ আধিকারিকের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি ।