ETV Bharat / city

পচা আলু, পোকা লাগা ডাল বিলির অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ - খাবার অযোগ্য চাল, ডাল, আলু

গ্রামের শিশু ও প্রসূতিদের জন্য় বিলি করা হচ্ছিল খাবার অযোগ্য চাল, ডাল, আলু ৷ পচা আলু, পোকা ধরা ডাল দেখে শিশুদের অভিভাবকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ৷ মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাঁঝরা গ্রামে একটি ভাড়াবাড়িতে চলছিল এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ৷সেখান থেকেই আজ এ ধরনের খাবার বিলি করা হয় ৷ ঘটনার খবর শুনে ওই কেন্দ্রে হাজির হন মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌতম দাস ৷ তিনি এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেন ৷

distributing substandard foods
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ
author img

By

Published : Jul 11, 2020, 9:47 PM IST

মালদা, 11 জুলাই : অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিলি করা হচ্ছিল খাবার অখাদ্য় চাল, ডাল, আলু ৷ সেসব সামগ্রীর অবস্থা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে অভিভাবকরা ৷ তাঁরা এনিয়ে আজ ওই কেন্দ্রে প্রবল বিক্ষোভ দেখায় ৷ বাচ্চাদের খাবারের সামগ্রী দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও ৷ তিনিও এনিয়ে উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ৷ আজ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা ব্লকের মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাঁঝরা গ্রামে ৷ কেন্দ্রের কর্মী স্বীকার করেছেন, যে ডাল বিলি করার জন্য তাঁদের দেওয়া হচ্ছে, তা খাওয়ার অযোগ্য ৷ কিন্তু তাঁদের এসব সামগ্রীই বাচ্চা ও প্রসূতিদের বিলি করার জন্য সরবরাহ করা হয়েছে ৷

মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাঁঝরা গ্রামে একটি ভাড়াবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি ৷ আজ সেখান থেকে বাচ্চা ও প্রসূতিদের জন্য মুসুর ডাল ও আলু বিলি করা হচ্ছিল ৷ কিন্তু সেসব খাদ্যসামগ্রীর মান দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে অভিভাবকরা ৷ রাধারানি সরকার নামে এক অভিভাবক বলেন, “এখান থেকে যেসব সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে তা গোরুরও অখাদ্য ৷ এসব সামগ্রী দেখে আমরা আন্দোলন করেছি ৷ এই চাল, ডাল কিংবা আলু খাওয়ালে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যাবে ৷ আমরা ভালো খাবার চাই ৷ পচা আলুর গন্ধে এখানে থাকা যাচ্ছে না ৷ অথচ সেই আলু বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য দেওয়া হচ্ছে ৷ এর আগেও খারাপ খাবার দেওয়া হয়েছিল ৷ শুধু তাই নয়, এই কেন্দ্র থেকে সরকার নির্ধারিত মাপে সামগ্রী দেওয়া হয় না ৷”

distributing substandard foods
নষ্ট চাল বিলির অভিযোগ

আরও এক গ্রামবাসী বাণী সরকার বলেন, “এই কেন্দ্রে কোনওদিনই বাচ্চাদের ঠিকমতো খাবার দেয় না ৷ বাচ্চাদের দিয়ে রান্নার কাজ করানো হয় ৷ এখন যে চাল, ডাল কিংবা আলু দেওয়া হচ্ছে, তার কোনওটিই ঠিক নেই৷ চাল-ডালে পোকা, আলু পচা ৷ এর আগে আমরা অনেকবার কেন্দ্রের দিদিমণির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি ৷ কাজ হয়নি ৷ তাই আজ আমরা বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছি ৷”

distributing substandard foods
পোকা ধরা ডাল বিলির অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে

গ্রামবাসীদের আন্দোলনের খবর পেয়ে ওই কেন্দ্রে আসেন মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌতম দাস ৷ খাদ্যসামগ্রীর মান দেখে তিনিও প্রশ্ন তোলেন ৷ তিনি বলেন, “এলাকার মহিলাদের অভিযোগ পেয়ে আমি কেন্দ্রে আসি ৷ এখান থেকে যে ধরনের খাদ্য সামগ্রী বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য দেওয়া হচ্ছে তা দেখে আমি হতবাক ৷ এই খাবার খাওয়ালে বাচ্চারা সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবে ৷ কোরোনা আবহে মানুষ যেন যথাযথ খাদ্যসামগ্রী পায় তার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুরাতন মালদার BDO ৷ আমাদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছিলেন ৷ আজ আমি এই কেন্দ্রের কর্মীকে প্রশ্ন করেছিলাম, তিনি কেন এমন খাদ্যসামগ্রী রিসিভ করলেন ? যাঁরা এই সামগ্রী বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন, আমি তাঁদের সবার কাছ থেকে সেসব সংগ্রহ করে কেন্দ্রে ফিরিয়ে দিয়েছি ৷ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার দাবি, কেন এমন সামগ্রী পাঠানো হল, কেনই বা সেই সামগ্রী মানুষের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হল, তা নিয়ে উপযুক্ত তদন্ত হোক৷” ওই কেন্দ্রের কর্মী মিনা দাস স্বীকার করে নিয়েছেন, যে ডাল তাঁদের বিলি করার জন্য পাঠানো হয়েছে তা খাবার অযোগ্য ৷ তিনি বলেন, “আমি আগেই গ্রামবাসীদের জানিয়েছিলাম, ডাল খারাপ আছে ৷ তারা চাইলে এই ডাল নাও নিতে পারে ৷ কিন্তু তাদের অনেকে ডাল নিয়ে গিয়েছে ৷ আমাদের যে ঘর রয়েছে, বর্ষায় সেই ঘরের ছাদ দিয়ে জল ঝরছে ৷ জলে খাদ্য সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে ৷ তবে আলু নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে তা সঠিক নয় ৷ দু’একটি আলু খারাপ থাকলেও বেশিরভাগ আলু ঠিক রয়েছে ৷ যাই হোক, আমি গোটা বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব ৷ কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই অনুযায়ী খাবার বিলি হবে ৷”

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ

মালদা, 11 জুলাই : অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিলি করা হচ্ছিল খাবার অখাদ্য় চাল, ডাল, আলু ৷ সেসব সামগ্রীর অবস্থা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে অভিভাবকরা ৷ তাঁরা এনিয়ে আজ ওই কেন্দ্রে প্রবল বিক্ষোভ দেখায় ৷ বাচ্চাদের খাবারের সামগ্রী দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও ৷ তিনিও এনিয়ে উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ৷ আজ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা ব্লকের মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাঁঝরা গ্রামে ৷ কেন্দ্রের কর্মী স্বীকার করেছেন, যে ডাল বিলি করার জন্য তাঁদের দেওয়া হচ্ছে, তা খাওয়ার অযোগ্য ৷ কিন্তু তাঁদের এসব সামগ্রীই বাচ্চা ও প্রসূতিদের বিলি করার জন্য সরবরাহ করা হয়েছে ৷

মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাঁঝরা গ্রামে একটি ভাড়াবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি ৷ আজ সেখান থেকে বাচ্চা ও প্রসূতিদের জন্য মুসুর ডাল ও আলু বিলি করা হচ্ছিল ৷ কিন্তু সেসব খাদ্যসামগ্রীর মান দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে অভিভাবকরা ৷ রাধারানি সরকার নামে এক অভিভাবক বলেন, “এখান থেকে যেসব সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে তা গোরুরও অখাদ্য ৷ এসব সামগ্রী দেখে আমরা আন্দোলন করেছি ৷ এই চাল, ডাল কিংবা আলু খাওয়ালে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যাবে ৷ আমরা ভালো খাবার চাই ৷ পচা আলুর গন্ধে এখানে থাকা যাচ্ছে না ৷ অথচ সেই আলু বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য দেওয়া হচ্ছে ৷ এর আগেও খারাপ খাবার দেওয়া হয়েছিল ৷ শুধু তাই নয়, এই কেন্দ্র থেকে সরকার নির্ধারিত মাপে সামগ্রী দেওয়া হয় না ৷”

distributing substandard foods
নষ্ট চাল বিলির অভিযোগ

আরও এক গ্রামবাসী বাণী সরকার বলেন, “এই কেন্দ্রে কোনওদিনই বাচ্চাদের ঠিকমতো খাবার দেয় না ৷ বাচ্চাদের দিয়ে রান্নার কাজ করানো হয় ৷ এখন যে চাল, ডাল কিংবা আলু দেওয়া হচ্ছে, তার কোনওটিই ঠিক নেই৷ চাল-ডালে পোকা, আলু পচা ৷ এর আগে আমরা অনেকবার কেন্দ্রের দিদিমণির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি ৷ কাজ হয়নি ৷ তাই আজ আমরা বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছি ৷”

distributing substandard foods
পোকা ধরা ডাল বিলির অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে

গ্রামবাসীদের আন্দোলনের খবর পেয়ে ওই কেন্দ্রে আসেন মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌতম দাস ৷ খাদ্যসামগ্রীর মান দেখে তিনিও প্রশ্ন তোলেন ৷ তিনি বলেন, “এলাকার মহিলাদের অভিযোগ পেয়ে আমি কেন্দ্রে আসি ৷ এখান থেকে যে ধরনের খাদ্য সামগ্রী বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য দেওয়া হচ্ছে তা দেখে আমি হতবাক ৷ এই খাবার খাওয়ালে বাচ্চারা সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবে ৷ কোরোনা আবহে মানুষ যেন যথাযথ খাদ্যসামগ্রী পায় তার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুরাতন মালদার BDO ৷ আমাদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছিলেন ৷ আজ আমি এই কেন্দ্রের কর্মীকে প্রশ্ন করেছিলাম, তিনি কেন এমন খাদ্যসামগ্রী রিসিভ করলেন ? যাঁরা এই সামগ্রী বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন, আমি তাঁদের সবার কাছ থেকে সেসব সংগ্রহ করে কেন্দ্রে ফিরিয়ে দিয়েছি ৷ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার দাবি, কেন এমন সামগ্রী পাঠানো হল, কেনই বা সেই সামগ্রী মানুষের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হল, তা নিয়ে উপযুক্ত তদন্ত হোক৷” ওই কেন্দ্রের কর্মী মিনা দাস স্বীকার করে নিয়েছেন, যে ডাল তাঁদের বিলি করার জন্য পাঠানো হয়েছে তা খাবার অযোগ্য ৷ তিনি বলেন, “আমি আগেই গ্রামবাসীদের জানিয়েছিলাম, ডাল খারাপ আছে ৷ তারা চাইলে এই ডাল নাও নিতে পারে ৷ কিন্তু তাদের অনেকে ডাল নিয়ে গিয়েছে ৷ আমাদের যে ঘর রয়েছে, বর্ষায় সেই ঘরের ছাদ দিয়ে জল ঝরছে ৷ জলে খাদ্য সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে ৷ তবে আলু নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে তা সঠিক নয় ৷ দু’একটি আলু খারাপ থাকলেও বেশিরভাগ আলু ঠিক রয়েছে ৷ যাই হোক, আমি গোটা বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব ৷ কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই অনুযায়ী খাবার বিলি হবে ৷”

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.