মালদা, 1 জুলাই : কোরোনা আবহের মধ্যে একাধিকদাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন মালদা মেডিকেলের অস্থায়ী কর্মীরা ৷ তাদের আন্দোলনে প্রভাবপড়েছে মেডিকেলের স্বাস্থ্য পরিষেবায় ৷ বিপাকে পড়েছে রোগী ও তাদের পরিজনরা ৷বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্থায়ী কর্মীদের এই আন্দোলন সমর্থন করছে না মেডিকেল কর্তৃপক্ষ৷ এই মুহূর্তে মালদা মেডিকেলে মোট 124 জন অস্থায়ী কর্মী কাজ করে ৷ তারা সবাইঠিকাদার সংস্থার অধীনে কর্মরত ৷ দীর্ঘদিন ধরেই তারা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কাছে বেতনবৃদ্ধি, অনুমোদনপত্রএবং চুক্তি নবীকরণের দাবিতে আবেদন জানিয়ে আসছে ৷ তাদের অভিযোগ, প্রতিবারই মেডিকেল কর্তৃপক্ষ দেখছি, দেখব বলে তাদের ফিরিয়ে দেয় ৷ কিন্তুএখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি নিয়ে কোনও আলোচনাই করেনি ৷ শেষ পর্যন্ত তারানিজেদের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ৷
একঅস্থায়ী কর্মী মিঠু ডোম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কাজ করছি৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ন্যূনতম পরিষেবা পাই না৷ এখন জেলায় কোরোনার সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে৷ মেডিকেলেও ঢুকে পড়েছে এই ভাইরাস ৷কিন্তু চিকিৎসকদের কাছে হ্যান্ড গ্লাভস চাইলে সেটাও পাওয়া যায় না ৷ একটা গ্লাভস ছিঁড়েগেলে কিংবা ভিজে গেলে সেটা পরে কাজ করা যায় না ৷ কিন্তু আমাদের জন্য পরিবর্তগ্লাভসের কোনও ব্যবস্থা নেই ৷ মাস্ক কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজারও আমাদের জন্যবরাদ্দ হয় না ৷ দীর্ঘদিন আগে আমাদের গামবুটের মাপ নিয়ে যাওয়া হলেও জুতো এখনওজোটেনি ৷ এখন আমরা প্রতিদিন 280 টাকা মজুরি পাই ৷ গত মাসে আমাদের বলা হয়েছিল, জুলাই মাস থেকে আমাদের দৈনিক মজুরি 321 টাকা করে দেওয়া হবে ৷ কিন্তু আজআমাদের ঠিকাদার সুদীপ্ত চ্যাটার্জি সাফ জানিয়ে দেন, তিনি আমাদের মজুরি 5 টাকাও বাড়াতে পারবে ৷ তার বেশি নয় ৷প্রয়োজনে আমরা এনিয়ে আন্দোলনে নামতে পারি ৷ এসব নিয়েই আমরা বন্ধের রাস্তায় যেতেবাধ্য হয়েছি ৷ যতদিন না আমাদের দৈনিক মজুরি 321 টাকা করা হচ্ছে, ততদিন আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব৷” মিঠুবাবু আরও বলেন, “আজ আমাদের এক কর্মীর লালারসে কোরোনাধরা পড়েছে ৷ কিছুক্ষণ আগে তাকে আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ এখনও সে বেডপায়নি৷ আমাদের আরও একজন পজ়িটিভ শুনতে পাচ্ছি৷ তারা যদি স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছথেকে সামান্য পরিষেবা না পায়, তবে হাসপাতালে কাজ করে আমাদের লাভ কী?”