ETV Bharat / city

মালদায় COVID-19'এ মৃতের সংখ্যা বেড়ে 2, আক্রান্ত 626 - মালদা

COVID-19'এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক যুবকের । জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ওই যুবক কো-মর্বিডিটির রোগী ছিলেন ।

COVID-19 positive cases in west bengal
মালদায় কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত 2
author img

By

Published : Jun 30, 2020, 6:11 PM IST

মালদা, 30 জুন : COVID-19 আক্রান্ত হয়ে মালদায় দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যু হল ৷ ওই ব্যক্তি কালিয়াচক 2 ব্লকের মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ৷ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, গত 24 ঘণ্টায় নতুন করে আরও 35 জন সংক্রমিত হয়েছেন ৷ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি ও তাঁর স্বামী COVID-19 আক্রান্ত ।

COVID-19'এ আক্রান্ত হয়ে মৃত দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম মইন আশরফ(28) । তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মইন উচ্চশিক্ষিত ৷ কিন্তু চাকরি না পাওয়ায় তিনি এলাকার একটি ঘড়ির দোকানে কাজ করতেন ৷ অনেকদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন ৷ হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল তাঁর ৷ জ্বর হওয়ায় 27 জুন তাঁকে মালদা মেডিকেলে ভরতি করা হয় । নিউমোনিয়ার উপসর্গ ছিল মইনের ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কোরোনার উপসর্গ থাকায় তাঁকে আইসোলেশন বিভাগে ভরতি করা হয়েছিল ৷ সেখানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় ৷ 28 জুন রাত দু'টোর সময় মারা যান তিনি ৷ 27 তারিখ তাঁর সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল ৷ মৃত্যুর পর সেই রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷

মইনের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, মেডিকেল কর্তৃপক্ষ প্রথমে মইনের মৃতদেহ তাঁঁদের হাতে দিতে চায়নি ৷ অনেক টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত মৃতদেহ তাঁঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে যেতে চাইলে স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশ বাধা দেয় ৷ এরপর মৃতদেহ কবরস্থ করেন মইনের পরিবারের লোকজন ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মইনের মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যেতে না দেওয়া হলেও মৃতদেহ কবর দেওয়ার সময় পরিবারের সদস্য সহ গ্রামের প্রায় 30 জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৷ এর মধ্যে কতজন মৃতদেহের সরাসরি সংস্পর্শে এসেছে তা জানা যায়নি ৷ এই বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ।

এদিকে COVID-19 পজ়িটিভ এক ব্যক্তির মৃতদেহ কীভাবে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল তা নিয়ে মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ৷ এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হাসপাতালে সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ কোনও উত্তর দিতে চাননি ৷ তবে কালিয়াচক 2 ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কৌশিক মিস্ত্রি জানিয়েছেন, “মেডিকেল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দিতে চায়নি ৷ কিন্তু মৃতের পরিবারের সদস্যরা এনিয়ে রীতিমতো অশান্তি শুরু করে ৷ বাধ্য হয়ে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ নিয়ম মেনে প্লাস্টিকে মুড়ে তাঁঁদের হাতে তুলে দেয় ৷ এরপর স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশের নজরদারিতে দেহ গ্রামের কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ দেহ নিয়ে গ্রামে ঢুকতে চাইলে মৃতের পরিবারকে বাধা দেওয়া হয় ৷ ওই মৃতদেহের সংস্পর্শে কতজন এসেছিল, আমরা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি ৷ তাঁঁদের প্রত্যেকের সোয়াব সংগ্রহ করা হবে ৷”

মালদায়য় কোরোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে ৷ গত 24 ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে আরও 35 জন ৷ সব মিলিয়ে জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা 626 ৷ সংক্রমিতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তাঁর স্বামী ৷ উপসর্গহীন হওয়ায় তাঁদের আপাতত বাড়িতে রাখা হয়েছে ৷ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, যাদের শরীরে কোরোনার উপসর্গ দেখা গেছে তাঁঁদের বিভিন্ন আইসোলেশন সেন্টার ও কোভিড হাসপাতালে ভরতি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷

মালদা, 30 জুন : COVID-19 আক্রান্ত হয়ে মালদায় দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যু হল ৷ ওই ব্যক্তি কালিয়াচক 2 ব্লকের মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ৷ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, গত 24 ঘণ্টায় নতুন করে আরও 35 জন সংক্রমিত হয়েছেন ৷ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি ও তাঁর স্বামী COVID-19 আক্রান্ত ।

COVID-19'এ আক্রান্ত হয়ে মৃত দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম মইন আশরফ(28) । তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মইন উচ্চশিক্ষিত ৷ কিন্তু চাকরি না পাওয়ায় তিনি এলাকার একটি ঘড়ির দোকানে কাজ করতেন ৷ অনেকদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন ৷ হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল তাঁর ৷ জ্বর হওয়ায় 27 জুন তাঁকে মালদা মেডিকেলে ভরতি করা হয় । নিউমোনিয়ার উপসর্গ ছিল মইনের ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কোরোনার উপসর্গ থাকায় তাঁকে আইসোলেশন বিভাগে ভরতি করা হয়েছিল ৷ সেখানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় ৷ 28 জুন রাত দু'টোর সময় মারা যান তিনি ৷ 27 তারিখ তাঁর সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল ৷ মৃত্যুর পর সেই রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷

মইনের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, মেডিকেল কর্তৃপক্ষ প্রথমে মইনের মৃতদেহ তাঁঁদের হাতে দিতে চায়নি ৷ অনেক টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত মৃতদেহ তাঁঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে যেতে চাইলে স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশ বাধা দেয় ৷ এরপর মৃতদেহ কবরস্থ করেন মইনের পরিবারের লোকজন ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মইনের মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যেতে না দেওয়া হলেও মৃতদেহ কবর দেওয়ার সময় পরিবারের সদস্য সহ গ্রামের প্রায় 30 জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৷ এর মধ্যে কতজন মৃতদেহের সরাসরি সংস্পর্শে এসেছে তা জানা যায়নি ৷ এই বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ।

এদিকে COVID-19 পজ়িটিভ এক ব্যক্তির মৃতদেহ কীভাবে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল তা নিয়ে মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ৷ এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হাসপাতালে সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ কোনও উত্তর দিতে চাননি ৷ তবে কালিয়াচক 2 ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কৌশিক মিস্ত্রি জানিয়েছেন, “মেডিকেল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দিতে চায়নি ৷ কিন্তু মৃতের পরিবারের সদস্যরা এনিয়ে রীতিমতো অশান্তি শুরু করে ৷ বাধ্য হয়ে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ নিয়ম মেনে প্লাস্টিকে মুড়ে তাঁঁদের হাতে তুলে দেয় ৷ এরপর স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশের নজরদারিতে দেহ গ্রামের কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ দেহ নিয়ে গ্রামে ঢুকতে চাইলে মৃতের পরিবারকে বাধা দেওয়া হয় ৷ ওই মৃতদেহের সংস্পর্শে কতজন এসেছিল, আমরা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি ৷ তাঁঁদের প্রত্যেকের সোয়াব সংগ্রহ করা হবে ৷”

মালদায়য় কোরোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে ৷ গত 24 ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে আরও 35 জন ৷ সব মিলিয়ে জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা 626 ৷ সংক্রমিতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তাঁর স্বামী ৷ উপসর্গহীন হওয়ায় তাঁদের আপাতত বাড়িতে রাখা হয়েছে ৷ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, যাদের শরীরে কোরোনার উপসর্গ দেখা গেছে তাঁঁদের বিভিন্ন আইসোলেশন সেন্টার ও কোভিড হাসপাতালে ভরতি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.