ETV Bharat / city

লকডাউনে মায়ের কাজ বন্ধ, জুতো সেলাই করে সংসার চালাচ্ছে স্কুলের ফার্স্টবয় - Malda

বাবা মারা যাওয়ার পর সঞ্জয়ের দাদা জুতো সেলাই করত ৷ শ্রমিকের কাজ নিয়ে ভিন রাজ্যে যাওয়ার পর সঞ্জয়ের কাঁধে সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে ৷

Malda's Meritorious student sewing shoe to run family
জুতো সেলাই মেধাবী ছাত্রের
author img

By

Published : Apr 25, 2020, 10:59 AM IST

Updated : Apr 25, 2020, 8:14 PM IST

মালদা, 24 এপ্রিল : কিছুদিন আগেও লকডাউন শব্দটা অনেকের কাছেই অজানা ছিল ৷ কিন্তু এখন এর অর্থ বোধহয় প্রত্যেকেই বুঝেছেন ৷ কেউ ঘরে বসে, কেউ বা জীবিকার সঙ্গে সংগ্রাম করে ৷ বিশেষত যারা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ, তাদের লকডাউনের মানে নতুন করে আর বোঝাতে হবে না ৷ তাদের কেউ চুল কাটেন, আবার কেউ বা জুতো সেলাই করে সংসার চালান ৷ লকডাউনের বাজারে একমাসের বেশি সময় ধরে রোজগার বন্ধ ৷ বেঁচে থাকার রসদ জোগাচ্ছে সরকার কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি ৷ কিন্তু, সেই ত্রাণে আর ক’দিন চলে ৷ অভাবের সংসারে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর-1 ব্লকের কনুয়া হাইস্কুলের ছাত্র সঞ্জয় রবিদাসেরও ৷ মেধাবী ছাত্র ৷ স্কুলে বরাবর প্রথম হয় ৷ এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৷ লকডাউনের জন্য পরীক্ষাও হয়নি ৷ বাবার অবর্তমানে দুই ভাই জুতো সেলাই করে সংসার চালাত ৷ দাদা সেই কাজ ছেড়ে এখন ভিনরাজ্যের শ্রমিক ৷ কিন্তু লকডাউনে প্রায় বন্ধ সঞ্জয়ের জুতো সেলাইয়ের কাজ ৷ প্রতিদিন বাড়ির সামনে যন্ত্রপাতির বাক্স নিয়ে বসে, বেলা গড়ালে ফের বাক্স নিয়ে ঘরে ফিরে যায় ৷ বিষয়টি সামনে আসতেই পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ৷ পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে শাসকদলও ৷ প্রাক্তন মন্ত্রী, জেলার তৃণমূল নেত্রী সাবিত্রী মিত্রও তার পড়াশোনার সমস্ত খরচ নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন ৷

লকডাউনে দেশ এখন চরম আর্থিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন রিকশাওয়ালা, ক্ষৌরকার, চর্মকাররা ৷ প্রতিদিন রোজগার না করলে সংসার চলবে না ৷ কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতি তাদের সবাইকে জীবিকা সংগ্রামের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর-1 ব্লকের কনুয়া গ্রামের সঞ্জয় রবিদাস ৷ স্থানীয় হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্র ৷ এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৷ 16 বছর আগে বাবা মারা গিয়েছেন ৷ তিনি চর্মকার ছিলেন ৷ বাবার মৃত্যুর পর মা দিনমজুরি করে ছেলেদের বড় করেছেন ৷ সঞ্জয়রা দুই ভাই ৷ দাদা প্রথমদিকে জুতো সেলাই করতেন ৷ এখন ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন ৷ লকডাউনে তিনি ভিনরাজ্যেই আটকে রয়েছেন ৷ সঞ্জয় জানায়, “ক্লাস সেভেন থেকেই জুতো সেলাই করি ৷ দাদা ভিনরাজ্যের শ্রমিক ৷ তার যা উপার্জন হয়, তাতে তার নিজেরই কোনওরকমে চলে ৷ এখানে মূলত আমার উপার্জনেই সংসার চলে ৷ এই কাজ করেই মাধ্যমিকে 465 পেয়েছিলাম ৷ আমি স্কুলে বরাবর প্রথম হয়ে আসছি ৷ উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষাতেও প্রথম হয়েছিলাম ৷ স্কুল থেকে একটা স্কলারশিপ পাই ৷ একটি প্রকাশনী সংস্থার পক্ষ থেকে এককালীন 10 হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল ৷’’ সঞ্জয়ের পরিবার রেশন পায় ৷ কিন্তু চাল আর আটায় তো পেট ভরানো যায় না? তাই বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয় তাকে ৷ এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও সহায়তা পায়নি সে ৷ সঞ্জয়ের মায়ের বিধবা ভাতাও চালু হয়নি ৷ তার অভিযোগ, বারবার পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যকে বলা হয়েছে ৷ কিন্তু কোনও কাজ হয়নি ৷ তাই সরকারের কাছে তার আবেদন, ‘‘আমার পরিবারের অন্ন সংস্থান ও নিজের উচ্চশিক্ষার জন্য যেন কোনও ব্যবস্থা করা হয় ৷ কারণ, লকডাউনে এখন আয় প্রায় শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছে ৷”

সঞ্জয়ের মা কল্যাণী রবিদাস বলেন, “10 বছর আগে থেকে ছেলে জুতো সেলাইয়ের কাজ করছে ৷ ওর আয় থেকেই সংসারের সব কাজ হয় ৷ আমিও জমিতে মজুরের কাজ করি ৷ সরকার থেকে কোনও সাহায্য পাইনি ৷ প্রধানকে সাহায্যের কথা বলেছিলাম ৷ কাজ হয়নি ৷ আমার BPL কার্ডও নেই ৷ এত অভাবের মধ্যেও ছেলে পড়াশোনায় খুব ভালো ফল করে৷ আমি চাই, বড় হয়ে ও শিক্ষক হোক ৷ কিন্তু এখন যে কষ্ট চলছে, তা আর সহ্য করতে পারছি না ৷” কনুয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরী বলেন, “সঞ্জয়কে ছোট থেকেই চিনি ৷ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ওকে আমরা সবদিক থেকে সহায়তা করেছিলাম ৷ পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমস্ত সাহায্য করব ৷” সঞ্জয়দের বাড়ি কনুয়া গ্রামে ৷ তার স্কুল হরিশ্চন্দ্রপুর-1 ব্লকে হলেও বাড়ি চাঁচোল-1 ব্লকের অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পড়ে ৷ পঞ্চায়েত প্রধান মনোয়ারা বেগমকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওই পরিবারটিকে অনেকদিন ধরেই চিনি ৷ লকডাউনের সমস্যা মিটলে ওর মায়ের বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করে দেব ৷ ওদের জন্য আরও কিছু ব্যবস্থা করা যায় কি না তাও দেখব ৷”

সঞ্জয়ের সমস্যার কথা জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি সঞ্জয় ও তার পরিবারকে কিছু আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছেন ৷ তার বাড়িতে সেই সাহায্য পৌঁছে দেন জেলা তৃণমূল নেতা অম্লান ভাদুড়ি ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় ৷ লকডাউন চলাকালীন সঞ্জয়দের খাবারের যেন কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য স্থানীয় দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন অম্লানবাবু ৷ প্রসূনবাবু জানান, উচ্চমাধ্যমিকের পর তিন বছর সঞ্জয়ের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব তাঁরা বহন করবেন ৷ তাঁদের পাশাপাশি সঞ্জয়ের জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন জেলার তৃণমূলনেত্রী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রও ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি জানিয়েছেন, “আমি খুব তাড়াতাড়ি ছেলেটির বাড়ি যাব ৷ ওর উচ্চশিক্ষার দায়িত্ব আমি বহন করার চেষ্টা করছি ৷ এই নিয়ে চিন্তাভাবনাও শুরু করেছি ৷”

জুতো সেলাই করে সংসার চালায় উচ্চমাধ্যমিকের মেধাবী ছাত্র

মালদা, 24 এপ্রিল : কিছুদিন আগেও লকডাউন শব্দটা অনেকের কাছেই অজানা ছিল ৷ কিন্তু এখন এর অর্থ বোধহয় প্রত্যেকেই বুঝেছেন ৷ কেউ ঘরে বসে, কেউ বা জীবিকার সঙ্গে সংগ্রাম করে ৷ বিশেষত যারা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ, তাদের লকডাউনের মানে নতুন করে আর বোঝাতে হবে না ৷ তাদের কেউ চুল কাটেন, আবার কেউ বা জুতো সেলাই করে সংসার চালান ৷ লকডাউনের বাজারে একমাসের বেশি সময় ধরে রোজগার বন্ধ ৷ বেঁচে থাকার রসদ জোগাচ্ছে সরকার কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি ৷ কিন্তু, সেই ত্রাণে আর ক’দিন চলে ৷ অভাবের সংসারে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর-1 ব্লকের কনুয়া হাইস্কুলের ছাত্র সঞ্জয় রবিদাসেরও ৷ মেধাবী ছাত্র ৷ স্কুলে বরাবর প্রথম হয় ৷ এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৷ লকডাউনের জন্য পরীক্ষাও হয়নি ৷ বাবার অবর্তমানে দুই ভাই জুতো সেলাই করে সংসার চালাত ৷ দাদা সেই কাজ ছেড়ে এখন ভিনরাজ্যের শ্রমিক ৷ কিন্তু লকডাউনে প্রায় বন্ধ সঞ্জয়ের জুতো সেলাইয়ের কাজ ৷ প্রতিদিন বাড়ির সামনে যন্ত্রপাতির বাক্স নিয়ে বসে, বেলা গড়ালে ফের বাক্স নিয়ে ঘরে ফিরে যায় ৷ বিষয়টি সামনে আসতেই পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ৷ পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে শাসকদলও ৷ প্রাক্তন মন্ত্রী, জেলার তৃণমূল নেত্রী সাবিত্রী মিত্রও তার পড়াশোনার সমস্ত খরচ নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন ৷

লকডাউনে দেশ এখন চরম আর্থিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন রিকশাওয়ালা, ক্ষৌরকার, চর্মকাররা ৷ প্রতিদিন রোজগার না করলে সংসার চলবে না ৷ কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতি তাদের সবাইকে জীবিকা সংগ্রামের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর-1 ব্লকের কনুয়া গ্রামের সঞ্জয় রবিদাস ৷ স্থানীয় হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্র ৷ এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৷ 16 বছর আগে বাবা মারা গিয়েছেন ৷ তিনি চর্মকার ছিলেন ৷ বাবার মৃত্যুর পর মা দিনমজুরি করে ছেলেদের বড় করেছেন ৷ সঞ্জয়রা দুই ভাই ৷ দাদা প্রথমদিকে জুতো সেলাই করতেন ৷ এখন ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন ৷ লকডাউনে তিনি ভিনরাজ্যেই আটকে রয়েছেন ৷ সঞ্জয় জানায়, “ক্লাস সেভেন থেকেই জুতো সেলাই করি ৷ দাদা ভিনরাজ্যের শ্রমিক ৷ তার যা উপার্জন হয়, তাতে তার নিজেরই কোনওরকমে চলে ৷ এখানে মূলত আমার উপার্জনেই সংসার চলে ৷ এই কাজ করেই মাধ্যমিকে 465 পেয়েছিলাম ৷ আমি স্কুলে বরাবর প্রথম হয়ে আসছি ৷ উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষাতেও প্রথম হয়েছিলাম ৷ স্কুল থেকে একটা স্কলারশিপ পাই ৷ একটি প্রকাশনী সংস্থার পক্ষ থেকে এককালীন 10 হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল ৷’’ সঞ্জয়ের পরিবার রেশন পায় ৷ কিন্তু চাল আর আটায় তো পেট ভরানো যায় না? তাই বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয় তাকে ৷ এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও সহায়তা পায়নি সে ৷ সঞ্জয়ের মায়ের বিধবা ভাতাও চালু হয়নি ৷ তার অভিযোগ, বারবার পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যকে বলা হয়েছে ৷ কিন্তু কোনও কাজ হয়নি ৷ তাই সরকারের কাছে তার আবেদন, ‘‘আমার পরিবারের অন্ন সংস্থান ও নিজের উচ্চশিক্ষার জন্য যেন কোনও ব্যবস্থা করা হয় ৷ কারণ, লকডাউনে এখন আয় প্রায় শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছে ৷”

সঞ্জয়ের মা কল্যাণী রবিদাস বলেন, “10 বছর আগে থেকে ছেলে জুতো সেলাইয়ের কাজ করছে ৷ ওর আয় থেকেই সংসারের সব কাজ হয় ৷ আমিও জমিতে মজুরের কাজ করি ৷ সরকার থেকে কোনও সাহায্য পাইনি ৷ প্রধানকে সাহায্যের কথা বলেছিলাম ৷ কাজ হয়নি ৷ আমার BPL কার্ডও নেই ৷ এত অভাবের মধ্যেও ছেলে পড়াশোনায় খুব ভালো ফল করে৷ আমি চাই, বড় হয়ে ও শিক্ষক হোক ৷ কিন্তু এখন যে কষ্ট চলছে, তা আর সহ্য করতে পারছি না ৷” কনুয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরী বলেন, “সঞ্জয়কে ছোট থেকেই চিনি ৷ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ওকে আমরা সবদিক থেকে সহায়তা করেছিলাম ৷ পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমস্ত সাহায্য করব ৷” সঞ্জয়দের বাড়ি কনুয়া গ্রামে ৷ তার স্কুল হরিশ্চন্দ্রপুর-1 ব্লকে হলেও বাড়ি চাঁচোল-1 ব্লকের অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পড়ে ৷ পঞ্চায়েত প্রধান মনোয়ারা বেগমকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওই পরিবারটিকে অনেকদিন ধরেই চিনি ৷ লকডাউনের সমস্যা মিটলে ওর মায়ের বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করে দেব ৷ ওদের জন্য আরও কিছু ব্যবস্থা করা যায় কি না তাও দেখব ৷”

সঞ্জয়ের সমস্যার কথা জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি সঞ্জয় ও তার পরিবারকে কিছু আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছেন ৷ তার বাড়িতে সেই সাহায্য পৌঁছে দেন জেলা তৃণমূল নেতা অম্লান ভাদুড়ি ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় ৷ লকডাউন চলাকালীন সঞ্জয়দের খাবারের যেন কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য স্থানীয় দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন অম্লানবাবু ৷ প্রসূনবাবু জানান, উচ্চমাধ্যমিকের পর তিন বছর সঞ্জয়ের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব তাঁরা বহন করবেন ৷ তাঁদের পাশাপাশি সঞ্জয়ের জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন জেলার তৃণমূলনেত্রী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রও ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি জানিয়েছেন, “আমি খুব তাড়াতাড়ি ছেলেটির বাড়ি যাব ৷ ওর উচ্চশিক্ষার দায়িত্ব আমি বহন করার চেষ্টা করছি ৷ এই নিয়ে চিন্তাভাবনাও শুরু করেছি ৷”

জুতো সেলাই করে সংসার চালায় উচ্চমাধ্যমিকের মেধাবী ছাত্র
Last Updated : Apr 25, 2020, 8:14 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.