মালদা, 1 সেপ্টেম্বর: ওষুধের দোকানটার সামনে এলোমেলোভাবে বসে বেশ কয়েকটি কুকুর ৷ তারমধ্যে একটি কুকুর আবার মারাত্মক আহত ৷ এই পথ কুকুরদের সবার ঠিকানা ওই দোকান ৷ তারা জানে, দোকানের মালিকই তাদের ত্রাতা ৷ শুধু কুকুর নয়, অদূরে অপেক্ষারত বেশ কিছু কাক ৷ কিছুক্ষণ পরেই দোকান সংলগ্ন বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন এক মহিলা ৷ কাকগুলির দিকে খাবার এগিয়ে দিলেন তিনি (Animal Lover Found in Malda) ৷ খাবার খেয়ে নিজেদের গন্তব্যে উড়ে গেল ৷
কোচবিহারের মেয়ে বাণী দেবী ৷ বাবা চাকরি করতেন পুলিশে ৷ 1977 সালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ওসি হিসাবে কর্মরত ছিলেন তাঁর বাবা ৷ তখন থেকেই হরিশ্চন্দ্রপুরের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছেন তিনি ৷ এখানেই স্কুলে পড়াশোনা করেন ৷ বাবা বদলি হওয়ার সঙ্গে তিনিও কোচবিহার চলে যান ৷ ফের বৈবাহিক সূত্রে সেই মাটিতে ফিরে আসেন ৷ স্বামী মনিমোহন রায় ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালের ক্লার্ক ৷ তাঁরও মৃত্যু হয়েছে ৷ জীবদ্দশাতেই বাড়ির নীচতলায় ওষুধের দোকান খোলেন মনিবাবু ৷ সেই দোকান এখন দেখাশোনার দায়িত্ব বাণীদেবীর উপর ৷
আরও পড়ুন: কুকুরছানা মারতে 'সুপারি', 5টি সারমেয়কে নৃশংসভাবে হত্যা দুর্গাপুরে
এই ছবি হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার মানুষজনের চোখ সওয়া ৷ অনেকে ওই মহিলাকে মানসিক রোগী বলেও কটাক্ষ করেন ৷ কিন্তু সেসব গুরুত্ব দেন না বাণী রায় ৷ নিজেই জানালেন, এই সব কথায় কিছুই মনে করেন না ৷ অবলাদের সেবা করে চলাই তাঁর জীবনের একমাত্র ব্রত।