মালদা, 11 জুন : অবশেষে আজ মানিকচকের ভূতনির চরে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করল জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ৷ গতকাল ওই চরের গোবর্ধনটোলার বেহাল রাস্তায় আটকে যায় স্বাস্থ্যবিভাগের গাড়ি ৷ দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচেন পাঁচ স্বাস্থ্যকর্মী ৷ ফলে গতকাল ওই চরের বেশ কয়েকটি এলাকায় ভিনরাজ্য থেকে ফিরে আসা মানুষজনের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করার কথা থাকলেও কাজ করতে পারেননি স্বাস্থ্যকর্মীরা । জেলা পরিষদের সভাধিপতি জানিয়েছেন, আজ থেকে ওই সব এলাকায় ঘরে ফেরা পরিযায়ীদের সোয়াবের সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে ৷ নতুন করে আর কোনও বিপত্তি হয়নি ৷
সম্প্রতি ভিনরাজ্য থেকে ফিরে আসা ভূতনির এক পরিযায়ী শ্রমিকের সোয়াবের পরীক্ষায় কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে ৷ ওই এলাকায় আরও অনেক শ্রমিক সম্প্রতি ভিনরাজ্য থেকে ঘরে ফিরেছেন ৷ গতকাল সেই পরিযায়ীদের লালারস সংগ্রহ করতে পুলিনটোলা, খুশবরটোল সহ কয়েকটি গ্রামে যাচ্ছিল স্বাস্থ্যবিভাগের একটি দল ৷ ভূতনি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওই দলটি একটি গাড়িতে করে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় ৷ কিন্তু গোবর্ধনটোলা এলাকায় বেহাল রাস্তায় আটকে যায় সেই গাড়ি ৷ গাড়িটি উলটে যাওয়ার উপক্রম হলে দরজা খুলে লাফ দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা । প্রত্যেকে অল্পবিস্তর আহত হন ৷ এদিকে সন্ধে পর্যন্ত চেষ্টা করে গাড়িটিকে কাদা থেকে উদ্ধার করতে না পারায় স্বাস্থ্যকর্মীরা কারও সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ না করে ফিরে আসেন ৷
এই বিষয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোনও স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কিছু বলতে চাননি । তবে গাড়িচালক পরিমল মণ্ডল জানান, “বেহাল রাস্তার জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে ৷ তবে এই ঘটনায় কারও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ৷”
জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “গতকাল ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা ভূতনির কোরোনা সংক্রমিত ব্যক্তির পরিবারসহ তাঁঁর সংস্পর্শে আসা লোকজনের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করতে গেছিলেন ৷ তাঁরা কাউকে কিছু জানাননি ৷ ফলে গোবর্ধনটোলা এলাকার রাস্তা গাড়ি চলাচলের উপযোগী করা যায়নি ৷ ওই এলাকায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে ৷ তবে গতকালের ঘটনায় কেউ আহত হননি ৷ এই নিয়ে আমি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ আজ স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা ফের ওই এলাকায় লালারস সংগ্রহ করতে গিয়েছেন ৷”