ETV Bharat / city

"প্রচেষ্টা" প্রকল্পের ফর্ম জমা দিতে প্রশাসনিক ভবনে ভিড় স্থানীয়দের

author img

By

Published : Apr 27, 2020, 3:33 PM IST

Updated : Apr 27, 2020, 4:16 PM IST

প্রচেষ্টা প্রকল্পের জন্য সামাজিক দূরত্বকে উপেক্ষা করে জেলার প্রশাসনিক ভবনে স্থানীয়রা ।

disobeying social distance in front of administrative building in malda
"প্রচেষ্টা" প্রকল্পের ফর্ম জমা দিতে প্রশাসনিক ভবনে ভিড় স্থানীয়দের

মালদা, 27 এপ্রিল: সরকারি সিদ্ধান্তে লকডাউন শিকেয় উঠল মালদায় ৷ রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আজ এই ছবি দেখা গিয়েছে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ৷ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে আজ সকালে সেখানে হাজির হয় হাজারো মানুষ ৷ যদিও সেই দৃশ্য চোখে পড়তেই আসরে নামে পুলিশ ৷ সরিয়ে দেওয়া হয় সমস্ত মানুষজনকে ৷ তবে গোটা ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷

গত 24 মার্চ থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন ৷ ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে সমস্ত কাজকর্ম ৷ স্তব্ধ মানুষের রোজগার ৷ এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দিন আনি দিন খাই পরিবারগুলি ৷ উদ্ভুত সমস্যায় সেই পরিবারগুলিকে সাহায্যের জন্য ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার ৷ এই সব মানুষকে এককালীন এক হাজার টাকা সাহায্যের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্প চালু করেন ৷

গত 15 এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের ফর্ম পূরণের কাজ ৷ চলবে 30 এপ্রিল পর্যন্ত ৷ পুরো বিষয়টি চলছে অনলাইনে ৷ ইতিমধ্যে অনেকে অনলাইনে এই ফর্ম পূরণ করেছে ৷ আজ সেই ফর্ম জমা দিতে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ভিড় আছড়ে পড়ে ৷ মুহূর্তের মধ্যে ঘুচে যায় লকডাউন কিংবা শারীরিক দূরত্বের সীমারেখা ৷ গায়ে গা লাগিয়েই সবাই দাঁড়িয়ে পড়ে লাইনে ৷ সেই দৃশ্য উপস্থিত মানুষজনের মধ্যে কোরোনা আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দেয় ৷

ফর্ম জমা দিতে সেই লাইনে দাঁড়ানো মালদা শহরের অঞ্জু সিংহ বলেন, “প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি ৷ প্রচেষ্টার ফর্ম জমা দিতে এসেছি ৷ কিন্তু এখানে এসে কোরোনার আতঙ্ক আরও বেড়ে গেল ৷ হাজারো মানুষ গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত পুলিশ কিংবা প্রশাসনের এনিয়ে কোনও হুঁশ নেই ৷ এদিকে বলা হয়েছে, 30 তারিখের মধ্যেই ফর্ম জমা দিতে হবে ৷ তা না হলে হাজার টাকা অনুদান পাওয়া যাবে না ৷ তাই আশঙ্কা বুকে নিয়েই লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি ৷” একই বক্তব্য লক্ষ্মীপুরের প্রণবকুমার ঘোষ, কালিয়াচকের জামির শেখেরও ৷

তাঁরাও জানান, 30 তারিখের মধ্যে ফর্ম জমা দিতে হবে ৷ সেকারণেই আজ ফর্ম জমা দেওয়ার এত ভিড় ৷ প্রশাসনের উচিত, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা ৷ তা না হলে কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ৷ যদিও সকাল 11টা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসরে নামে পুলিশ ৷ প্রশাসনিক ভবন চত্বর এলাকা খালি করে দেওয়া হয় ৷ তবে প্রচেষ্টার ফর্ম কীভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা নেওয়া হবে, তা বিশদে জানাতে পারেননি প্রশাসনিক কর্তারা ৷ এনিয়ে জেলাশাসকেরও কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি ৷

মালদা, 27 এপ্রিল: সরকারি সিদ্ধান্তে লকডাউন শিকেয় উঠল মালদায় ৷ রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আজ এই ছবি দেখা গিয়েছে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ৷ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে আজ সকালে সেখানে হাজির হয় হাজারো মানুষ ৷ যদিও সেই দৃশ্য চোখে পড়তেই আসরে নামে পুলিশ ৷ সরিয়ে দেওয়া হয় সমস্ত মানুষজনকে ৷ তবে গোটা ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷

গত 24 মার্চ থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন ৷ ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে সমস্ত কাজকর্ম ৷ স্তব্ধ মানুষের রোজগার ৷ এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দিন আনি দিন খাই পরিবারগুলি ৷ উদ্ভুত সমস্যায় সেই পরিবারগুলিকে সাহায্যের জন্য ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার ৷ এই সব মানুষকে এককালীন এক হাজার টাকা সাহায্যের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্প চালু করেন ৷

গত 15 এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের ফর্ম পূরণের কাজ ৷ চলবে 30 এপ্রিল পর্যন্ত ৷ পুরো বিষয়টি চলছে অনলাইনে ৷ ইতিমধ্যে অনেকে অনলাইনে এই ফর্ম পূরণ করেছে ৷ আজ সেই ফর্ম জমা দিতে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ভিড় আছড়ে পড়ে ৷ মুহূর্তের মধ্যে ঘুচে যায় লকডাউন কিংবা শারীরিক দূরত্বের সীমারেখা ৷ গায়ে গা লাগিয়েই সবাই দাঁড়িয়ে পড়ে লাইনে ৷ সেই দৃশ্য উপস্থিত মানুষজনের মধ্যে কোরোনা আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দেয় ৷

ফর্ম জমা দিতে সেই লাইনে দাঁড়ানো মালদা শহরের অঞ্জু সিংহ বলেন, “প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি ৷ প্রচেষ্টার ফর্ম জমা দিতে এসেছি ৷ কিন্তু এখানে এসে কোরোনার আতঙ্ক আরও বেড়ে গেল ৷ হাজারো মানুষ গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত পুলিশ কিংবা প্রশাসনের এনিয়ে কোনও হুঁশ নেই ৷ এদিকে বলা হয়েছে, 30 তারিখের মধ্যেই ফর্ম জমা দিতে হবে ৷ তা না হলে হাজার টাকা অনুদান পাওয়া যাবে না ৷ তাই আশঙ্কা বুকে নিয়েই লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি ৷” একই বক্তব্য লক্ষ্মীপুরের প্রণবকুমার ঘোষ, কালিয়াচকের জামির শেখেরও ৷

তাঁরাও জানান, 30 তারিখের মধ্যে ফর্ম জমা দিতে হবে ৷ সেকারণেই আজ ফর্ম জমা দেওয়ার এত ভিড় ৷ প্রশাসনের উচিত, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা ৷ তা না হলে কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ৷ যদিও সকাল 11টা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসরে নামে পুলিশ ৷ প্রশাসনিক ভবন চত্বর এলাকা খালি করে দেওয়া হয় ৷ তবে প্রচেষ্টার ফর্ম কীভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা নেওয়া হবে, তা বিশদে জানাতে পারেননি প্রশাসনিক কর্তারা ৷ এনিয়ে জেলাশাসকেরও কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি ৷

Last Updated : Apr 27, 2020, 4:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.