ETV Bharat / city

স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী - bangaon murder

মহিলার দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে । পরে মহিলার স্বামীর দেহ উদ্ধার হয় বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার চাঁদপাড়া স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের পাশে।

স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী
author img

By

Published : Oct 11, 2019, 11:47 PM IST

Updated : Oct 12, 2019, 6:02 PM IST

বনগাঁ, 12 অক্টোবর : পারিবারিক অশান্তির জের ৷ স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা করলেন এক ব্যক্তি ৷ গামছার ফাঁস লাগিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন ওই ব্যক্তি ৷ কয়েক ঘণ্টা পর আত্মঘাতী হন তিনিও ৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার বনগাঁয় । মহিলার দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে । পরে মহিলার স্বামীর দেহ উদ্ধার হয় বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার চাঁদপাড়া স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের পাশে ।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দম্পতি শ্যামলী প্রামাণিক (29) ও পার্থ প্রামাণিক (36) । তাঁদের দেহ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । মৃত শ্যামলীর বাপের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, পরিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুন করে পার্থ আত্মঘাতী হয়েছেন ।

বছর দশেক আগে শ্যামলী ও পার্থর বিয়ে হয়েছিল । ওই দম্পতির দু'টি কন্যা সন্তানও রয়েছে । বিয়ের পর চাঁদপাড়ার ঝিকরায় শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন শ্যামলী । স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ সীমান্ত এলাকায় চোরা কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন । তাঁর রোজগার বিশেষ ভালো ছিল না । পার্থর মদ্যপানের অভ্যাস নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক অশান্তি চলত নিয়মিত । অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই মদ খেয়ে পার্থ স্ত্রীকে মারধর করতেন । বছর দুয়েক ধরে পার্থ শ্বশুরবাড়িতে থাকছিলেন । সেখানেও অশান্তি চলত ।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পার্থ তাঁর স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন । পার্থর শাশুড়ি শিখা বিশ্বাস বাড়িতে ছিলেন না । বড় নাতনিকে নিয়ে শিখা অন্য মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন । শুক্রবার সকালে নাতনিকে নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন ।

গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় শ্যামলীর দেহ দেখতে পায় তাঁর মেয়ে । শ্যামলীকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । সেখানেই চিকিৎসকরা শ্যামলীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । শ্যামলীর মা শিখা বিশ্বাস বলেন, ''আমাদের বাড়িতেও জামাই-মেয়ে অশান্ত করত । মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে পার্থ মেয়েকে মারধর করত । বৃহস্পতিবার আমি বড় নাতনিকে নিয়ে এক মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম । রাতেও পার্থ অশান্তি করেছিল । মেয়ে আমায় রাত 11টা নাগাদ ফোন করে জানায় । বাড়ি ফিরে দেখি, এই অবস্থা ।''

বনগাঁ থানার পুলিশ শ্যামলীর দেহ উদ্ধার করে । শ্যামলীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর চাঁদপাড়া স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধার থেকে পুলিশ পার্থর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, ট্রেনে ঝাঁপ দিয়েই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন । মৃত পার্থর মা মলিনা প্রামাণিক বলেন, ''ভোর চারটের সময় পার্থ ছোট মেয়েকে নিয়ে আমার কাছে আসে। মেয়েকে আমার কাছে রেখে বলল, শ্যামলীর শরীর খারাপ । বনগাঁ হাসপাতালে ভরতি । হাসপাতালে যাচ্ছে বলে ছেলে চলে গেল । পরে আমাকেও হাসপাতালে যেতে বলেছিল ।'' তিনি বলেন, ''ছেলের কথা মতো সকালে ছোট নাতনিকে বনগাঁ হাসপাতালে গিয়েছিলেন । কিন্তু কোথাও কাউকে দেখতে পাইনি । পরে ছেলে-বৌমার মৃত্যু খবর পাই ৷''

বনগাঁ, 12 অক্টোবর : পারিবারিক অশান্তির জের ৷ স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা করলেন এক ব্যক্তি ৷ গামছার ফাঁস লাগিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন ওই ব্যক্তি ৷ কয়েক ঘণ্টা পর আত্মঘাতী হন তিনিও ৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার বনগাঁয় । মহিলার দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে । পরে মহিলার স্বামীর দেহ উদ্ধার হয় বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার চাঁদপাড়া স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের পাশে ।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দম্পতি শ্যামলী প্রামাণিক (29) ও পার্থ প্রামাণিক (36) । তাঁদের দেহ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । মৃত শ্যামলীর বাপের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, পরিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুন করে পার্থ আত্মঘাতী হয়েছেন ।

বছর দশেক আগে শ্যামলী ও পার্থর বিয়ে হয়েছিল । ওই দম্পতির দু'টি কন্যা সন্তানও রয়েছে । বিয়ের পর চাঁদপাড়ার ঝিকরায় শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন শ্যামলী । স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ সীমান্ত এলাকায় চোরা কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন । তাঁর রোজগার বিশেষ ভালো ছিল না । পার্থর মদ্যপানের অভ্যাস নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক অশান্তি চলত নিয়মিত । অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই মদ খেয়ে পার্থ স্ত্রীকে মারধর করতেন । বছর দুয়েক ধরে পার্থ শ্বশুরবাড়িতে থাকছিলেন । সেখানেও অশান্তি চলত ।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পার্থ তাঁর স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন । পার্থর শাশুড়ি শিখা বিশ্বাস বাড়িতে ছিলেন না । বড় নাতনিকে নিয়ে শিখা অন্য মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন । শুক্রবার সকালে নাতনিকে নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন ।

গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় শ্যামলীর দেহ দেখতে পায় তাঁর মেয়ে । শ্যামলীকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । সেখানেই চিকিৎসকরা শ্যামলীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । শ্যামলীর মা শিখা বিশ্বাস বলেন, ''আমাদের বাড়িতেও জামাই-মেয়ে অশান্ত করত । মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে পার্থ মেয়েকে মারধর করত । বৃহস্পতিবার আমি বড় নাতনিকে নিয়ে এক মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম । রাতেও পার্থ অশান্তি করেছিল । মেয়ে আমায় রাত 11টা নাগাদ ফোন করে জানায় । বাড়ি ফিরে দেখি, এই অবস্থা ।''

বনগাঁ থানার পুলিশ শ্যামলীর দেহ উদ্ধার করে । শ্যামলীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর চাঁদপাড়া স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধার থেকে পুলিশ পার্থর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, ট্রেনে ঝাঁপ দিয়েই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন । মৃত পার্থর মা মলিনা প্রামাণিক বলেন, ''ভোর চারটের সময় পার্থ ছোট মেয়েকে নিয়ে আমার কাছে আসে। মেয়েকে আমার কাছে রেখে বলল, শ্যামলীর শরীর খারাপ । বনগাঁ হাসপাতালে ভরতি । হাসপাতালে যাচ্ছে বলে ছেলে চলে গেল । পরে আমাকেও হাসপাতালে যেতে বলেছিল ।'' তিনি বলেন, ''ছেলের কথা মতো সকালে ছোট নাতনিকে বনগাঁ হাসপাতালে গিয়েছিলেন । কিন্তু কোথাও কাউকে দেখতে পাইনি । পরে ছেলে-বৌমার মৃত্যু খবর পাই ৷''

Intro:স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী

বনগাঁঃ পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে গামছার ফাঁস লাগিয়ে খুন করার কয়েক ঘণ্টা পর আত্মঘাতী হলেন স্বামীও৷ শুক্রবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। পরে স্বামীর দেহ উদ্ধার হয় বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার চাঁদপাড়া স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম শ্যামলী প্রামানিক (29) ও পার্থ প্রামানিক (36)। তাঁদের দেহ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত শ্যামলীর বাপের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, পরিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুন করে পার্থ আত্মঘাতী হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে শ্যামলী ও পার্থর বিয়ে হয়েছিল। ওই দম্পতির দু'টি কন্যা সন্তানও আছে। বিয়ের পর চাঁদপাড়ার ঝিকরায় শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন শ্যামলী। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ সীমান্ত এলাকায় চোরা কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর রোজগার বিশেষ ভালো ছিল না। তার উপর পার্থ প্রতিদিন মদ খেতেন। আর তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক অশান্তি লেগেই ছিল।অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই মদ খেয়ে পার্থ স্ত্রীকে মারধর করতেন। বছর দুয়েক ধরে পার্থও শ্বশুরবাড়িতে থাকছিলেন। সেখানেও অশান্তির বিরাম ছিল না।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পার্থ তাঁর স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন। পার্থর শাশুড়ি শিখা বিশ্বাস বাড়িতে ছিলেন না। শ্যামলীর বড় মেয়েকে নিয়ে শিখা অন্য মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে নাতনিকে নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। শ্যামলীর বড় মেয়ে দরজা ঠেলে ঘরের ভিতরে ঢুকেই দেখতে পায়, গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মায়ের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। তার চিৎকারে সবাই ছুটে আসেন। তাঁরাই তড়িঘড়ি শ্যামলীকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই চিকিৎসকরা শ্যামলীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শ্যামলীর মা শিখা বিশ্বাস বলেন, আমাদের বাড়িতে থাকাকালেও জামাই-মেয়ে অশান্ত করত। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে পার্থ মেয়েকে মারধর করত। বৃহস্পতিবার আমি বড় নাতনিকে নিয়ে এক মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। রাতেও পার্থ অশান্তি করেছিল। মেয়ে আমায় রাত ১১টা নাগাদ ফোন করে তা জানিয়েছিল।সে কথা শুনে সকালেই চলে এসেছি।বাড়ি ফিরে দেখি, এই অবস্থা।'

বনগাঁ থানার পুলিশ শ্যামলীর দেহ উদ্ধার করে। শ্যামলীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেই চাঁদপাড়া স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধার থেকে রেলপুলিশ পার্থর দেহ উদ্ধার করে। রেলপুলিশের অনুমান, ট্রেনে ঝাঁপ দিয়েই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃত পার্থর মা মলিনা প্রামানিক বলেন, ভোর চারটের সময় পার্থ ছোট মেয়েকে নিয়ে আমার কাছে আসে। মেয়েকে আমার কাছে রেখে বলল, শ্যামলীর শরীর খারাপ। বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি অাছে।হাসপাতালে যাচ্ছে বলে ছেলে চলে গেল।পরে আমাকেও হাসপাতালে যেতে বলেছিল। বাড়িতে থাকাকালেও ছেলে বউমার মধ্যে অশান্তি হত। তারপর দু'জনেই চলে গেল বউমার বাপের বাড়িতে। ওখানে কী হয়েছিল সেটা বলতে পারব না। ছেলের কথা মতো সকালে ছোট নাতনিকে নিয়ে আমি বনগাঁ হাসপাতালে গিয়েছিলেম। কিন্তু কোথাও ছেলে বউমাকে দেখতে পাইনি। কিছুক্ষণ পরেই রেলপুলিশের কাছ থেকে জানতে পারলাম পার্থ নাকি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে শ্যামলীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি।'Body:স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী

বনগাঁঃ পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে গামছার ফাঁস লাগিয়ে খুন করার কয়েক ঘণ্টা পর আত্মঘাতী হলেন স্বামীও৷ শুক্রবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। পরে স্বামীর দেহ উদ্ধার হয় বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার চাঁদপাড়া স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম শ্যামলী প্রামানিক (29) ও পার্থ প্রামানিক (36)। তাঁদের দেহ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত শ্যামলীর বাপের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, পরিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুন করে পার্থ আত্মঘাতী হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে শ্যামলী ও পার্থর বিয়ে হয়েছিল। ওই দম্পতির দু'টি কন্যা সন্তানও আছে। বিয়ের পর চাঁদপাড়ার ঝিকরায় শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন শ্যামলী। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ সীমান্ত এলাকায় চোরা কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর রোজগার বিশেষ ভালো ছিল না। তার উপর পার্থ প্রতিদিন মদ খেতেন। আর তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক অশান্তি লেগেই ছিল।অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই মদ খেয়ে পার্থ স্ত্রীকে মারধর করতেন। বছর দুয়েক ধরে পার্থও শ্বশুরবাড়িতে থাকছিলেন। সেখানেও অশান্তির বিরাম ছিল না।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পার্থ তাঁর স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন। পার্থর শাশুড়ি শিখা বিশ্বাস বাড়িতে ছিলেন না। শ্যামলীর বড় মেয়েকে নিয়ে শিখা অন্য মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে নাতনিকে নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। শ্যামলীর বড় মেয়ে দরজা ঠেলে ঘরের ভিতরে ঢুকেই দেখতে পায়, গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মায়ের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। তার চিৎকারে সবাই ছুটে আসেন। তাঁরাই তড়িঘড়ি শ্যামলীকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই চিকিৎসকরা শ্যামলীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শ্যামলীর মা শিখা বিশ্বাস বলেন, আমাদের বাড়িতে থাকাকালেও জামাই-মেয়ে অশান্ত করত। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে পার্থ মেয়েকে মারধর করত। বৃহস্পতিবার আমি বড় নাতনিকে নিয়ে এক মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। রাতেও পার্থ অশান্তি করেছিল। মেয়ে আমায় রাত ১১টা নাগাদ ফোন করে তা জানিয়েছিল।সে কথা শুনে সকালেই চলে এসেছি।বাড়ি ফিরে দেখি, এই অবস্থা।'

বনগাঁ থানার পুলিশ শ্যামলীর দেহ উদ্ধার করে। শ্যামলীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেই চাঁদপাড়া স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধার থেকে রেলপুলিশ পার্থর দেহ উদ্ধার করে। রেলপুলিশের অনুমান, ট্রেনে ঝাঁপ দিয়েই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃত পার্থর মা মলিনা প্রামানিক বলেন, ভোর চারটের সময় পার্থ ছোট মেয়েকে নিয়ে আমার কাছে আসে। মেয়েকে আমার কাছে রেখে বলল, শ্যামলীর শরীর খারাপ। বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি অাছে।হাসপাতালে যাচ্ছে বলে ছেলে চলে গেল।পরে আমাকেও হাসপাতালে যেতে বলেছিল। বাড়িতে থাকাকালেও ছেলে বউমার মধ্যে অশান্তি হত। তারপর দু'জনেই চলে গেল বউমার বাপের বাড়িতে। ওখানে কী হয়েছিল সেটা বলতে পারব না। ছেলের কথা মতো সকালে ছোট নাতনিকে নিয়ে আমি বনগাঁ হাসপাতালে গিয়েছিলেম। কিন্তু কোথাও ছেলে বউমাকে দেখতে পাইনি। কিছুক্ষণ পরেই রেলপুলিশের কাছ থেকে জানতে পারলাম পার্থ নাকি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে শ্যামলীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি।'Conclusion:স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী

বনগাঁঃ পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে গামছার ফাঁস লাগিয়ে খুন করার কয়েক ঘণ্টা পর আত্মঘাতী হলেন স্বামীও৷ শুক্রবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। পরে স্বামীর দেহ উদ্ধার হয় বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার চাঁদপাড়া স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম শ্যামলী প্রামানিক (29) ও পার্থ প্রামানিক (36)। তাঁদের দেহ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত শ্যামলীর বাপের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, পরিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুন করে পার্থ আত্মঘাতী হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে শ্যামলী ও পার্থর বিয়ে হয়েছিল। ওই দম্পতির দু'টি কন্যা সন্তানও আছে। বিয়ের পর চাঁদপাড়ার ঝিকরায় শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন শ্যামলী। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ সীমান্ত এলাকায় চোরা কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর রোজগার বিশেষ ভালো ছিল না। তার উপর পার্থ প্রতিদিন মদ খেতেন। আর তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক অশান্তি লেগেই ছিল।অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই মদ খেয়ে পার্থ স্ত্রীকে মারধর করতেন। বছর দুয়েক ধরে পার্থও শ্বশুরবাড়িতে থাকছিলেন। সেখানেও অশান্তির বিরাম ছিল না।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পার্থ তাঁর স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন। পার্থর শাশুড়ি শিখা বিশ্বাস বাড়িতে ছিলেন না। শ্যামলীর বড় মেয়েকে নিয়ে শিখা অন্য মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে নাতনিকে নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। শ্যামলীর বড় মেয়ে দরজা ঠেলে ঘরের ভিতরে ঢুকেই দেখতে পায়, গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মায়ের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। তার চিৎকারে সবাই ছুটে আসেন। তাঁরাই তড়িঘড়ি শ্যামলীকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই চিকিৎসকরা শ্যামলীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শ্যামলীর মা শিখা বিশ্বাস বলেন, আমাদের বাড়িতে থাকাকালেও জামাই-মেয়ে অশান্ত করত। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে পার্থ মেয়েকে মারধর করত। বৃহস্পতিবার আমি বড় নাতনিকে নিয়ে এক মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। রাতেও পার্থ অশান্তি করেছিল। মেয়ে আমায় রাত ১১টা নাগাদ ফোন করে তা জানিয়েছিল।সে কথা শুনে সকালেই চলে এসেছি।বাড়ি ফিরে দেখি, এই অবস্থা।'

বনগাঁ থানার পুলিশ শ্যামলীর দেহ উদ্ধার করে। শ্যামলীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেই চাঁদপাড়া স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধার থেকে রেলপুলিশ পার্থর দেহ উদ্ধার করে। রেলপুলিশের অনুমান, ট্রেনে ঝাঁপ দিয়েই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃত পার্থর মা মলিনা প্রামানিক বলেন, ভোর চারটের সময় পার্থ ছোট মেয়েকে নিয়ে আমার কাছে আসে। মেয়েকে আমার কাছে রেখে বলল, শ্যামলীর শরীর খারাপ। বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি অাছে।হাসপাতালে যাচ্ছে বলে ছেলে চলে গেল।পরে আমাকেও হাসপাতালে যেতে বলেছিল। বাড়িতে থাকাকালেও ছেলে বউমার মধ্যে অশান্তি হত। তারপর দু'জনেই চলে গেল বউমার বাপের বাড়িতে। ওখানে কী হয়েছিল সেটা বলতে পারব না। ছেলের কথা মতো সকালে ছোট নাতনিকে নিয়ে আমি বনগাঁ হাসপাতালে গিয়েছিলেম। কিন্তু কোথাও ছেলে বউমাকে দেখতে পাইনি। কিছুক্ষণ পরেই রেলপুলিশের কাছ থেকে জানতে পারলাম পার্থ নাকি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে শ্যামলীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি।'
Last Updated : Oct 12, 2019, 6:02 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.