মালদা, 23 এপ্রিল: ছাপ্পা ভোট দিতে এসে ব্যর্থ হওয়ায় EVM ভাঙচুর করল দুষ্কৃতীরা । ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের 46 নম্বর বুথে । কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন উত্তর মালদার তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্ট । যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ এনেছে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম ।
হরিশ্চন্দ্রপুরের 46 নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট দিতে এসে ব্যর্থ হওয়ায় দুষ্কৃতীরা EVM ভাঙচুর করে । ভোটকর্মী তন্ময় পান্ডে বলেন, "বিকেল 4টে পর্যন্ত 881 জন ভোট দিয়েছিলেন । তারপর হঠাৎ কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে ভোট থামাতে বলেন । EVM ভেঙে দেয় । সমস্ত ঘটনা জানানো হয় রিটার্নিং অফিসারকে । পরে বুথে ইঞ্জিনিয়ার এসে ওই ভোটগুলি উদ্ধার করেন । নতুন EVM দিয়ে বাকি ভোট নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার ।"
সংশ্লিষ্ট বুথের থার্ড পোলিং অফিসার আনন্দ পাল বলেন, "বিকেলে কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার জন্য EVM চালু করতে বলে । আমি রাজি না হওয়ায় আমার জামার কলার ধরে আমাকে বাইরে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় । ওই দুষ্কৃতীরা বাকি অফিসারদের EVM চালু করতে বলে । কোনও অফিসার রাজি না হওয়ায় তারা শেষে EVM ভাঙচুর করে । তবে ওই দুষ্কৃতীরা কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে ছাপ্পা ভোট দিতে এসেছিল তা আমরা জানতে পারিনি । ঘটনার পর থেকে আমরা সকলেই আতঙ্কে আছি । এই কেন্দ্রে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না । আতঙ্কে সেক্টর অফিসার আমাদের ছেড়েই গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান । তারপরই আমরাও প্রাণ ভয়ে বুথ ছেড়ে পালিয়ে যায় ।"
উত্তর মালদা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট অম্লান ভাদুড়ি বলেন, "এই বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা 1158 জন । হরিশ্চন্দ্রপুরের এই গ্রামের বেশিরভাগ লোকই তৃণমূলের সমর্থক । কংগ্রেসের কর্মীরা এই কেন্দ্রে ছাপ্পা ভোট দিতে এসে বাধা পায় । তাই EVM ভেঙে দেয় । ভোট দিতে না পেরে সাধারণ ক্ষুব্ধ হলে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থান ছেড়ে পালিয়ে যায় । আমরা সবাই অভিযোগ করি । তাই এখানে মেশিন চেঞ্জ করা হয় । এখনও 200 থেকে 250 ভোট পড়া বাকি রয়েছে ।"
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, "এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ । উত্তর মালদার প্রতিটি কেন্দ্রে তৃণমূলের কর্মীরা সন্ত্রাস চালিয়েছে । হরিশ্চন্দ্রপুরের এই বুথে ছাপ্পা ভোট দিতে বাধা পেয়ে তৃণমূলের কর্মীরাই EVM ভেঙে দিয়েছে ।"