মালদা, 26 সেপ্টেম্বর: স্কুলের গেট থেকে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে (Accused Arrested After Trying to kidnap a Girl) ৷ স্থানীয়দের তৎপরতায় কোনওরকমে রক্ষা পেলেন ওই কিশোরী ৷ ওই কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয়রা এক জোট হয়ে চড়াও হন ওই যুবকের উপর ৷ ক্ষিপ্ত জনতা গণধোলাই দেয় অভিযুক্ত যুবককে ৷ পুলিশ এসে ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে ৷ ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের কুশিদা এলাকায় ৷
অভিযুক্ত যুবকের নাম ধৃত যুবকের নাম মুস্তাক খান ৷ বয়স 24 বছর ৷ বাড়ি কুশিদা সংলগ্ন বিষ্টুপুর গ্রামে ৷ ছাত্রীর বাবা মতিউর রহমান বলেন, “মেয়ে কুশিদা হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে ৷ আজ স্কুলে খেলা দেখতে গিয়েছিল ৷ সকাল সাড়ে 11টা নাগাদ খাবার কিনতে স্কুলের বাইরে বেরিয়েছিল ৷ তখনই গেটের সামনে মোটরবাইকে চেপে আসা ওই যুবক মেয়েকে তার বাইকে চড়তে বলে ৷ মেয়ে রাজি না-হওয়ায় সে জোর করে তাকে মোটরবাইকে চাপিয়ে নেয় ৷ মেয়ে চিৎকার শুরু করলে উপস্থিত মানুষজন ছুটে আসেন৷ হাতেনাতে ওই যুবককে ধরে ফেলেন৷ তাঁরা মুস্তাক খান নামে ওই যুবকটিকে মারধরও করেন ৷ আমাদের বাড়ি থেকে 500 মিটার দূরে বিহার ৷ ওই ছেলেটি মেয়েকে বিহারে নিয়ে গিয়ে বিক্রিও করে দিতে পারত ৷ এই ঘটনায় আমি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ আমি ওই যুবকের শাস্তি দাবি করছি ৷’’
আরও পড়ুন: হাবড়ায় নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার নাবালক
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ তাকে আজই চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷ গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ এদিকে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারক ধৃত মুস্তাক খানের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাকে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তবে পুজোর আগে দিনদুপুরে এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷
