কলকাতা, 22 মে : সোনালি গুহ ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক আন্দোলনের দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী ৷ মমতা যখন আন্দোলনে রাস্তায়, সোনালি তাঁর পাশে ৷ কংগ্রেসে থাকাকালীন যখন মমতা আক্রান্ত হয়েছেন, তখনও পাশে দেখা গিয়েছে সোনালিকে ৷ তৃণমূলের যে কোনও আন্দোলনেও মমতার পাশে বারবার সোনালির উপস্থিতি কারওর নজর এড়ায়নি ৷
সেই সোনালি এবার বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন ৷ কারণ, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরও সোনালি গুহর গুরুত্ব কমেনি ৷ 2011 থেকে 2016, তিনিই ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ৷ একাধিকবার বিতর্কে জড়ালেও তাঁকে ওই পদ থেকে সরানোর কথা কখনোই শোনা যায়নি ৷ তাহলে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ?
যদিও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার সময় তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল অসুস্থতার জন্য সোনালিকে টিকিট দেওয়া হয়নি ৷ সেই কারণে কান্নাকাটি করে বিজেপিতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ নিয়েছিলেন সোনালি ৷ ভোটে বিজেপির ভরাডুবি পরই তাঁর বোধোদয় হল ৷ আর তিনি এখন তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন ৷
কিন্তু সেই প্রক্রিয়া কি সহজ হবে ? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন এই প্রক্রিয়া আর সহজ হবে না ৷ কারণ, সোনালি বা তাঁর মতো অনেকে যাঁরা একেবারে গোড়ার দিকে মমতার আন্দোলনের সঙ্গী ছিলেন, তাঁদের এখন তৃণমূল নেত্রীর আশপাশে খুব একটা দেখা যায় না ৷ বরং এখন অনেক বেশি দেখা যায় সেই সব নেতা-নেত্রীদের যাঁরা শুধু আন্দোলন নয়, বিরোধীদের বাক্যবাণেও জর্জরিত করতে পারেন ৷ কারণ, মমতা এখন প্রশাসক ৷ তাই তাঁকে অনেক দিকে নজর দিতে হয় ৷ তাই সোনালি গুহর আবার তৃণমূলে পুরনো জায়গা ফিরে পাওয়া কঠিন ৷
যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অন্য একটি অংশের মতে, মমতা কিন্তু পুরনো কর্মীদের সব সময় দলে সম্মান দেন ৷ সোনালি তৃণমূলে প্রথম দিন থেকে ছিলেন ৷ তাই তিনি আবার তৃণমূলে সসম্মানে ফিরতেই পারেন ৷
আরও পড়ুন : ভোটের আগে কেঁদে ভাসানো সোনালির বিলম্বিত বোধোদয়ে কি লাভ হবে ?
যদিও সোনালি গুহ ফিরে আসতে চাইলে যে তাঁদের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷