ETV Bharat / city

ভোটের আগে কেঁদে ভাসানো সোনালির বিলম্বিত বোধোদয়ে কি লাভ হবে ?

তৃণমূল প্রার্থী না করায় কেঁদে ভাসিয়েছিলেন সোনালি গুহ ৷ রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে ৷ কিন্তু ভোট মিটতেই বোধোদয় হল তাঁর ৷ ফিরতে চাইলেন তৃণমূলে ৷ এতে কি লাভ হবে তাঁর ?

ভোটের আগে কেঁদে ভাসানো সোনালির বিলম্বিত বোধোদয়ে কি লাভ হবে ?
ভোটের আগে কেঁদে ভাসানো সোনালির বিলম্বিত বোধোদয়ে কি লাভ হবে ?
author img

By

Published : May 22, 2021, 7:14 PM IST

কলকাতা, 22 মে : মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচে না, ঠিক তেমনই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া বাঁচা সম্ভব নয় সোনালি গুহর পক্ষে ৷ তৃণমূলে ফেরার আর্জি নিয়ে যে খোলা চিঠিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক, তাতেই উল্লেখ রয়েছে ওই বিষয়টির ৷ তাই মমতার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি ৷ আশ্রয় চেয়েছেন তৃণমূল নেত্রীর আঁচলের তলায় ৷

শনিবার বেলায় সোনালি গুহর এই সোশ্যাল পোস্ট সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে ৷ কারণ, মাত্র মাস আড়াই আগেই এই সোনালিই মমতার বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছিলেন ৷ তাঁকে না জানিয়ে প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন ৷ এমনকী, মমতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ৷

তার পর ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ নিয়েছিলেন বিজেপিতে ৷ কলকাতায় পদ্ম-শিবিরের হেস্টিংসের অফিসে গিয়ে যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে ৷ হাসিমুখে দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়দের প্রণাম করেছিলেন ৷ যদিও তার পর আর তাঁকে সেভাবে দেখা যায়নি বিজেপির কোনও সভা-সমাবেশে ৷

স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে যে গোড়া থেকেই কি তাহলে বিজেপিতে মানিয়ে নিতে পারেননি সোনালি ? নাকি নির্বাচনে ভরাডুবি দেখে তাঁর আর বিজেপিতে মন টিকছে না ? সোনালি অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে তাঁর বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গের কারণ জানিয়েছেন ৷

কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন যে এভাবে যদি দলবদল চলতে থাকে, তাহলে তো রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি মোহভঙ্গ হয়ে যাবে সাধারণ মানুষের৷ কারণ, তাঁরা তো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন যে জনসেবার চেয়ে ক্ষমতার লোভই রাজনৈতিক নেতাদের কাছে বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে ৷

তবে চাইলেই সোনালি গুহ তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে যে পারবেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷ তাঁর কথায়, ‘‘শুধু সোনালি গুহ নন, যারা বিজেপিতে গিয়ে ছিলেন এমন অনেক নেতাই তৃণমূলের আবার ফিরতে চাইছেন । কিন্তু একটা কথা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই যে নির্বাচনের মুখে যারা তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোর খেলায় মেতে ছিলেন তাঁদের পুনরায় দলে ফিরিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি ।’’ বরং তাঁর পালটা প্রশ্ন, ‘‘যদি উল্টো ফল হত তাহলে এখন যাঁরা কান্নাকাটি করছেন, তাঁরা কি এই প্রতিক্রিয়া দেখাতেন ? বা ফেরার কথা বলতেন !’’ কিন্তু গোটা বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত তৃণমূল নেত্রী নেবেন, সেটাও জানিয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ৷

এদিকে কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার বলছেন, ‘‘কংগ্রেসি রাজনীতিতে দলবদল কোনও নতুন বিষয় নয় । তবে ভোটের আগে বা পরে যেভাবে রাজ্যে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের দিল্লি নিয়ে যোগদান করেছে বিজেপি সেটা অবশ্যই নতুন । রাজ্যে বিধায়ক কেনাবেচা থেকে শুরু করে দলবদলুদের সামনে রেখে ভোটে লড়া এখানে বিজেপিকে যদি দোষী বলতে হয় । তাহলে তৃণমূল ধোয়া তুলসী পাতা নয় ।’’

আরও পড়ুন : বিজেপিতে যোগ চরম ভুল, মমতার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী সোনালি

তবে এই নিয়ে চিন্তিত নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি বরং সাফ জানিয়েছেন, সোনালি গুহর মতো অন্যরা যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁরা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিলেন ৷ কিন্তু সেই উদ্দেশ্যসাধন হয়নি বলে ফিরে যাচ্ছেন তৃণমূলে ৷ এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না ৷ তবে বিজেপি এবার ভাবনাচিন্তা করে অন্য দল থেকে কোনও নেতাকে দলে নেবে ৷

কলকাতা, 22 মে : মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচে না, ঠিক তেমনই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া বাঁচা সম্ভব নয় সোনালি গুহর পক্ষে ৷ তৃণমূলে ফেরার আর্জি নিয়ে যে খোলা চিঠিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক, তাতেই উল্লেখ রয়েছে ওই বিষয়টির ৷ তাই মমতার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি ৷ আশ্রয় চেয়েছেন তৃণমূল নেত্রীর আঁচলের তলায় ৷

শনিবার বেলায় সোনালি গুহর এই সোশ্যাল পোস্ট সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে ৷ কারণ, মাত্র মাস আড়াই আগেই এই সোনালিই মমতার বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছিলেন ৷ তাঁকে না জানিয়ে প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন ৷ এমনকী, মমতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ৷

তার পর ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ নিয়েছিলেন বিজেপিতে ৷ কলকাতায় পদ্ম-শিবিরের হেস্টিংসের অফিসে গিয়ে যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে ৷ হাসিমুখে দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়দের প্রণাম করেছিলেন ৷ যদিও তার পর আর তাঁকে সেভাবে দেখা যায়নি বিজেপির কোনও সভা-সমাবেশে ৷

স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে যে গোড়া থেকেই কি তাহলে বিজেপিতে মানিয়ে নিতে পারেননি সোনালি ? নাকি নির্বাচনে ভরাডুবি দেখে তাঁর আর বিজেপিতে মন টিকছে না ? সোনালি অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে তাঁর বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গের কারণ জানিয়েছেন ৷

কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন যে এভাবে যদি দলবদল চলতে থাকে, তাহলে তো রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি মোহভঙ্গ হয়ে যাবে সাধারণ মানুষের৷ কারণ, তাঁরা তো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন যে জনসেবার চেয়ে ক্ষমতার লোভই রাজনৈতিক নেতাদের কাছে বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে ৷

তবে চাইলেই সোনালি গুহ তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে যে পারবেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷ তাঁর কথায়, ‘‘শুধু সোনালি গুহ নন, যারা বিজেপিতে গিয়ে ছিলেন এমন অনেক নেতাই তৃণমূলের আবার ফিরতে চাইছেন । কিন্তু একটা কথা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই যে নির্বাচনের মুখে যারা তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোর খেলায় মেতে ছিলেন তাঁদের পুনরায় দলে ফিরিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি ।’’ বরং তাঁর পালটা প্রশ্ন, ‘‘যদি উল্টো ফল হত তাহলে এখন যাঁরা কান্নাকাটি করছেন, তাঁরা কি এই প্রতিক্রিয়া দেখাতেন ? বা ফেরার কথা বলতেন !’’ কিন্তু গোটা বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত তৃণমূল নেত্রী নেবেন, সেটাও জানিয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ৷

এদিকে কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার বলছেন, ‘‘কংগ্রেসি রাজনীতিতে দলবদল কোনও নতুন বিষয় নয় । তবে ভোটের আগে বা পরে যেভাবে রাজ্যে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের দিল্লি নিয়ে যোগদান করেছে বিজেপি সেটা অবশ্যই নতুন । রাজ্যে বিধায়ক কেনাবেচা থেকে শুরু করে দলবদলুদের সামনে রেখে ভোটে লড়া এখানে বিজেপিকে যদি দোষী বলতে হয় । তাহলে তৃণমূল ধোয়া তুলসী পাতা নয় ।’’

আরও পড়ুন : বিজেপিতে যোগ চরম ভুল, মমতার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী সোনালি

তবে এই নিয়ে চিন্তিত নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি বরং সাফ জানিয়েছেন, সোনালি গুহর মতো অন্যরা যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁরা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিলেন ৷ কিন্তু সেই উদ্দেশ্যসাধন হয়নি বলে ফিরে যাচ্ছেন তৃণমূলে ৷ এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না ৷ তবে বিজেপি এবার ভাবনাচিন্তা করে অন্য দল থেকে কোনও নেতাকে দলে নেবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.