ETV Bharat / city

Presidential Election 2022 : রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে মমতার উদ্যোগে কি অতীতের পুনরাবৃত্তি হবে ? - APJ Abdul kalam

আগামী মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election 2022) ৷ তার আগে বুধবার নয়াদিল্লিতে বৈঠক করল বিরোধী (TMC Leader Mamata Banerjee) ৷ সেই বৈঠকের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর এই উদ্যোগ কি সফল হবে ?

will mamata banerjee succeed in uniting opposition on Presidential Election 2022
Presidential Election 2022 : রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে মমতার উদ্যোগে কি অতীতের পুনরাবৃত্তি হবে ?
author img

By

Published : Jun 15, 2022, 9:09 PM IST

কলকাতা, 15 জুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে (Presidential Election 2022) সামনে রেখে শুরু হয়েছে বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ ৷ এবারও মধ্যমণি সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Leader Mamata Banerjee) ৷ কিন্তু তিনি কি আদৌ এই উদ্যোগে সফল হবেন ? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল ৷

কেন উঠছে এই প্রশ্ন ? জাতীয় রাজনীতির খোঁজখবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে টেনে আনছেন অতীতের দু’টি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ ৷ যার একটি হয়েছিল 2012 সালে ৷ আর দ্বিতীয়টি হয় 2017 সালে৷ দু’বারই কেন্দ্রের শাসক জোটের ঠিক করা প্রার্থীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ‘ভোকাল’ ছিলেন তৃণমূল নেত্রী ৷ কিন্তু কোনওবারই তাঁর সেই উদ্যোগে সাফল্য আসেনি ৷ বরং জিতেছেন কেন্দ্রের শাসক-জোটের মনোনীত প্রার্থী ৷

2012 সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ প্রার্থী করেছিল প্রণব মুখোপাধ্য়ায়কে (Pranab Mukherjee) ৷ কিন্তু সেবার বীরভূমের ভূমিপুত্রের প্রার্থিপদ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিরোধীদের একজোট করে প্রার্থী খোঁজার কাজও শুরু করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৷ অথচ মমতার দল তৃণমূল তখন ইউপিএ-র অংশ ৷ তাঁর দলের একাধিক সাংসদ কেন্দ্রের মন্ত্রী ৷

ফলে এই নিয়ে সেই সময় সরগরম হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি ৷ কিন্তু অনেক রাজনৈতিক দল তখন মমতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল ৷ প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের (APJ Abdul kalam) নামও নির্ধারণ করা হয় ৷ কিন্তু সর্বসম্মত প্রার্থী না হলে তিনি মনোনয়ন দেবেন না বলে জানিয়ে দেন ৷ ফলে সেই প্রক্রিয়া ভেস্তে যায় ৷

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন, সেই সময় সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং গোড়া থেকে মমতার পাশেই ছিলেন ৷ কিন্তু শেষের দিকে তিনি সরে যান ৷ ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তৃণমূল প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থন করে ৷

2017-তে পরিস্থিতি অবশ্য তেমন ছিল না ৷ বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দের (President Ramnath Kovind) জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল ৷ কিন্তু তখনও বিজেপির প্রার্থী নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন মমতা ৷ বিরোধীদের প্রার্থী মীরা কুমার জেতাতে চেষ্টাও করেছিলেন ৷

এবারও পরিস্থিতি অনেকটা পাঁচ বছর আগের মতোই ৷ এবারও কেন্দ্রের শাসক জোটের প্রার্থীর জয় প্রায় নিশ্চিত ৷ কিন্তু বিজেপির তরফে এখনও প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়নি ৷ তার আগেই বিরোধীদের একজোট করতে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবের ওই বৈঠক ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই আলোচনা চলছে জাতীয় রাজনীতিতে ৷ সেই বৈঠকে কংগ্রেস, সিপিআই, শিবসেনা, এনসিপি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলগুলি যেমন উপস্থিত আছে, তেমনই বিরোধীদের অস্বস্তি বাড়িয়ে শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ, কেসিআর-এর টিআরএস ৷ নবীন পট্টনায়কের বিজেডি আগেই জানিয়েছিল যে তারা থাকছে না ৷

মোট 22টি দলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিল 17টি দল ৷ সেই বৈঠকে বিরোধীদের তরফে কারও নাম চূড়ান্ত হয়নি ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে শরদ পাওয়ার প্রার্থী হোন, সবাই চাইছেন ৷ কিন্তু পাওয়ার রাজি নন ৷ তাই এখন সকলের পছন্দের একজন প্রার্থীরই খোঁজ চলছে ৷

আর প্রশ্ন এখানেই ৷ কারণ, শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা এমন প্রার্থী খুঁজে পাবেন তো, যিনি সকলের পছন্দের হবেন ৷ সেই খোঁজ চালাতে গিয়ে আবারও শাসক জোট অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যাবে না তো ! বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ শুভাশিস মৈত্রর মতে, সবে বিরোধীদের একজোট হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল ৷ এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয় ৷

তাই শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্য়োগ সফল হয়, নাকি অতীতের পুনরাবৃত্তি হয়, এখন সেটাই দেখার ৷

আরও পড়ুন : Presidential Election 2022 : নারাজ পাওয়ার, রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থীর খোঁজে বিরোধীরা

কলকাতা, 15 জুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে (Presidential Election 2022) সামনে রেখে শুরু হয়েছে বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ ৷ এবারও মধ্যমণি সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Leader Mamata Banerjee) ৷ কিন্তু তিনি কি আদৌ এই উদ্যোগে সফল হবেন ? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল ৷

কেন উঠছে এই প্রশ্ন ? জাতীয় রাজনীতির খোঁজখবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে টেনে আনছেন অতীতের দু’টি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ ৷ যার একটি হয়েছিল 2012 সালে ৷ আর দ্বিতীয়টি হয় 2017 সালে৷ দু’বারই কেন্দ্রের শাসক জোটের ঠিক করা প্রার্থীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ‘ভোকাল’ ছিলেন তৃণমূল নেত্রী ৷ কিন্তু কোনওবারই তাঁর সেই উদ্যোগে সাফল্য আসেনি ৷ বরং জিতেছেন কেন্দ্রের শাসক-জোটের মনোনীত প্রার্থী ৷

2012 সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ প্রার্থী করেছিল প্রণব মুখোপাধ্য়ায়কে (Pranab Mukherjee) ৷ কিন্তু সেবার বীরভূমের ভূমিপুত্রের প্রার্থিপদ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিরোধীদের একজোট করে প্রার্থী খোঁজার কাজও শুরু করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৷ অথচ মমতার দল তৃণমূল তখন ইউপিএ-র অংশ ৷ তাঁর দলের একাধিক সাংসদ কেন্দ্রের মন্ত্রী ৷

ফলে এই নিয়ে সেই সময় সরগরম হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি ৷ কিন্তু অনেক রাজনৈতিক দল তখন মমতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল ৷ প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের (APJ Abdul kalam) নামও নির্ধারণ করা হয় ৷ কিন্তু সর্বসম্মত প্রার্থী না হলে তিনি মনোনয়ন দেবেন না বলে জানিয়ে দেন ৷ ফলে সেই প্রক্রিয়া ভেস্তে যায় ৷

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন, সেই সময় সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং গোড়া থেকে মমতার পাশেই ছিলেন ৷ কিন্তু শেষের দিকে তিনি সরে যান ৷ ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তৃণমূল প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থন করে ৷

2017-তে পরিস্থিতি অবশ্য তেমন ছিল না ৷ বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দের (President Ramnath Kovind) জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল ৷ কিন্তু তখনও বিজেপির প্রার্থী নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন মমতা ৷ বিরোধীদের প্রার্থী মীরা কুমার জেতাতে চেষ্টাও করেছিলেন ৷

এবারও পরিস্থিতি অনেকটা পাঁচ বছর আগের মতোই ৷ এবারও কেন্দ্রের শাসক জোটের প্রার্থীর জয় প্রায় নিশ্চিত ৷ কিন্তু বিজেপির তরফে এখনও প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়নি ৷ তার আগেই বিরোধীদের একজোট করতে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবের ওই বৈঠক ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই আলোচনা চলছে জাতীয় রাজনীতিতে ৷ সেই বৈঠকে কংগ্রেস, সিপিআই, শিবসেনা, এনসিপি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলগুলি যেমন উপস্থিত আছে, তেমনই বিরোধীদের অস্বস্তি বাড়িয়ে শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ, কেসিআর-এর টিআরএস ৷ নবীন পট্টনায়কের বিজেডি আগেই জানিয়েছিল যে তারা থাকছে না ৷

মোট 22টি দলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিল 17টি দল ৷ সেই বৈঠকে বিরোধীদের তরফে কারও নাম চূড়ান্ত হয়নি ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে শরদ পাওয়ার প্রার্থী হোন, সবাই চাইছেন ৷ কিন্তু পাওয়ার রাজি নন ৷ তাই এখন সকলের পছন্দের একজন প্রার্থীরই খোঁজ চলছে ৷

আর প্রশ্ন এখানেই ৷ কারণ, শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা এমন প্রার্থী খুঁজে পাবেন তো, যিনি সকলের পছন্দের হবেন ৷ সেই খোঁজ চালাতে গিয়ে আবারও শাসক জোট অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যাবে না তো ! বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ শুভাশিস মৈত্রর মতে, সবে বিরোধীদের একজোট হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল ৷ এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয় ৷

তাই শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্য়োগ সফল হয়, নাকি অতীতের পুনরাবৃত্তি হয়, এখন সেটাই দেখার ৷

আরও পড়ুন : Presidential Election 2022 : নারাজ পাওয়ার, রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থীর খোঁজে বিরোধীরা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.