কলকাতা, 3 অক্টোবর : দশ বছরের ব্যবধানে দু’টি উপনির্বাচন (By Election) দেখল ভবানীপুর (Bhabanipur) ৷ দু’টিকেই এলাকার ভোটাররা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতালেন, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল রাখার জন্য ৷ সেই ভবানীপুরে কি আবার উপনির্বাচন হবে ?
রবিবার ফল ঘোষণার পর নানা আলোচনার মধ্যে উঠে আসছে এই জল্পনাও ৷ কারণ, এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) জাতীয় রাজনীতিতে আরও অনেকটা মাইলেজ দিল ৷ আগামিদিনে তিনি আরও বেশি করে বিজেপি (BJP) বিরোধিতায় সরব হবেন ৷ জাতীয়স্তরে তাঁর দলও আরও বেশি করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে ৷
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : 2011-র রেকর্ড ভেঙে ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক মমতার
গত মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল (West Bengal Assembly Election Result) প্রকাশের পর জাতীয়স্তরে মোদি-বিরোধী মুখ হিসেবে মমতার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে ৷ গত কয়েকমাসে কার্যত তাঁকে ঘিরেই বিরোধী জোট দানা বাঁধতে শুরু করেছে ৷ আর এই জোটের সাফল্য যদি আসে, সেক্ষেত্রে মমতাই প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) পদের সবচেয়ে বড় দাবিদার হবেন ৷
তেমনটা হলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে মমতাকে ৷ দলের অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব সঁপে দিতে হবে ৷ ছাড়তে হবে তাঁর সাধের ভবানীপুর আসনটিকেও ৷ কারণ, সাংসদ না হলে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন কী করে !
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : ভবানীপুরে জিতে ভারতের পথে আরও একধাপ মমতার
ফলে ভবানীপুরে তখন ফের উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে ৷ শুধুমাত্র জয়ী প্রার্থীদের পদত্যাগের জন্য তিন বছরের মধ্যে একই কেন্দ্রে নির্বাচনের সেই ঘটনা ঘটলে, তা যে নজিরবিহীন হবে, তা বলাই যায় ৷
যদিও এই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চায় না তৃণমূল ৷ দলের বিধায়ক তাপস রায়ের কথায়, ‘‘ইটস টু আর্লি টু সে ৷ এখনও গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে যাবে ৷’’
আরও পড়ুন : Adhir Ranjan Chowdhury : নির্বাচনে লড়ার জন্য সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থীকে ধন্যবাদ অধীরের
আর সত্যিই যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় ? তাহলে তৃণমূলের কর্মীরা উভয় সংকটে পড়বেন বলে মনে করছেন তাপস ৷ তিনি বললেন, ‘‘দিদিকে কেউ হাতছাড়া করতে চায় না ৷ একই ভাবে জাতীয় প্রয়োজনে দিদি আটকে রাখতেও কেউ চায় না রাজ্যের চৌহদ্দিতে ৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটাও সত্যি যে জাতীয় ক্ষেত্রে প্রয়োজনে দিদিকেই প্রধানমন্ত্রী দরকার ৷’’
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee wins bhabanipur bypoll : নিজের মেয়েকেই চাইল ভবানীপুর
শেষ পর্যন্ত কী হবে, সেই উত্তর রয়েছে কালের গর্ভে ৷ তাই আপাতত আমজনতাকে তিন বছর অপেক্ষা করতেই হবে ৷