ETV Bharat / city

24-এর ভোটের দিকে তাকিয়ে কি জঙ্গলমহল-উত্তরবঙ্গ থেকে একাধিক মুখ মমতার মন্ত্রিসভায় ?

জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গ থেকে সবমিলিয়ে ন’জন জায়গা পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় ৷ তাঁদের কেউ পূর্ণমন্ত্রী, তো আবার কেউ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ৷ অনেকের মতে, এটা আসলে পুরস্কার ৷

24-র ভোটের দিকে তাকিয়ে কি জঙ্গলমহল-উত্তরবঙ্গ থেকে একাধিক মুখ মমতার মন্ত্রিসভায়
24-র ভোটের দিকে তাকিয়ে কি জঙ্গলমহল-উত্তরবঙ্গ থেকে একাধিক মুখ মমতার মন্ত্রিসভায়
author img

By

Published : May 10, 2021, 7:09 PM IST

কলকাতা, 10 মে : লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের 18টি আসন থেকে জয় পাবে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ 2019 সালের মে মাসে ফলাফল প্রকাশের আগের দিন পর্যন্তও এমন আন্দাজ অধিকাংশই করতে পারেননি ৷ কিন্তু বঙ্গ রাজনীতিতে গত দু’বছর ধরে এটাই বাস্তব ৷ আর গেরুয়া শিবিরের এই জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল জঙ্গমহল ও উত্তরবঙ্গের ভোটারদের ৷ সেখানে জয় অধরা থেকে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ৷

পরবর্তী দু’বছরে অনেকটাই বদলেছে বঙ্গ রাজনীতির মানচিত্র ৷ যে জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গকে বিজেপির শক্তঘাঁটি বলে মনে করা হচ্ছিল, সেখানে তারা আশানুরূপ ফল করতে পারেনি 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৷ সমর্থন অনেকটাই ফিরিয়ে এনে ওই এলাকা থেকে বেশ কিছু আসনে জয় পেয়েছে ঘাসফুল শিবির ৷

আর সেই কারণেই সম্ভবত জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গ থেকে সবমিলিয়ে ন’জন জায়গা পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় ৷ তাঁদের কেউ পূর্ণমন্ত্রী, তো আবার কেউ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ৷ অনেকের মতে, এটা আসলে পুরস্কার ৷ যাতে ওই এলাকায় মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নকে আরও ভালো ভাবে করা যায় ৷

যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে ৷ কারণ, যাঁরা 2019 সালের লোকসভা ভোট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেককে হয়তো ফেরানো গিয়েছে ৷ কিন্তু সকলকে ফেরানো যায়নি ৷ ফলে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গের সমস্ত ভোটারদের মন জয় করতে হবে ৷ পাশাপাশি যাঁরা এবার ভোট দিলেন ঘাসফুলে, তাঁদেরকেও ধরে রাখতে হবে ৷ আর সেই কারণেই উত্তরবঙ্গ থেকে গোলাম রব্বানি, বিপ্লব মিত্র, সাবিনা ইয়াসমিন ও পরেশ অধিকারী এবং জঙ্গলমহল থেকে সন্ধ্যারানি টুডু, শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাতো, বীরবাহা হাঁসদা ও জ্যোৎস্না মান্ডি মমতার মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন ৷

আরও পড়ুন : কোভিড আবহে একসঙ্গে শপথ 43 মন্ত্রীর, ভার্চুয়াল শপথ অমিত-ব্রাত্য-রথীনের

এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার শান্তনু সান্যালের বক্তব্য, ‘‘২০২৪ আসতে আরও তিন বছর বাকি আছে । এর মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অদলবদল হতে পারে । এটা তো ঠিক ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলে যা জমি হারিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির কাছে, তাঁর অনেকটাই তাঁরা পুনরুদ্ধার করেছে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে । তাই এই দুটো জায়গা থেকে বেশি বিধায়ককে মন্ত্রী করা একধরনের পুরস্কার ৷ যাতে এই এলাকার মন্ত্রী-বিধায়করা আরও বেশি করে এই সব অঞ্চলে তৃণমূল ভিত আরও মজবুত করতে পারে । একই সঙ্গে মন্ত্রিসভাতে বেশ কিছু অদলবদল করেছেন তিনি । আমার মতে এই সবই এক ধরনের পরীক্ষা ওই ভিত মজবুত করার লক্ষ্যে ৷’’

কলকাতা, 10 মে : লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের 18টি আসন থেকে জয় পাবে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ 2019 সালের মে মাসে ফলাফল প্রকাশের আগের দিন পর্যন্তও এমন আন্দাজ অধিকাংশই করতে পারেননি ৷ কিন্তু বঙ্গ রাজনীতিতে গত দু’বছর ধরে এটাই বাস্তব ৷ আর গেরুয়া শিবিরের এই জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল জঙ্গমহল ও উত্তরবঙ্গের ভোটারদের ৷ সেখানে জয় অধরা থেকে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ৷

পরবর্তী দু’বছরে অনেকটাই বদলেছে বঙ্গ রাজনীতির মানচিত্র ৷ যে জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গকে বিজেপির শক্তঘাঁটি বলে মনে করা হচ্ছিল, সেখানে তারা আশানুরূপ ফল করতে পারেনি 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৷ সমর্থন অনেকটাই ফিরিয়ে এনে ওই এলাকা থেকে বেশ কিছু আসনে জয় পেয়েছে ঘাসফুল শিবির ৷

আর সেই কারণেই সম্ভবত জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গ থেকে সবমিলিয়ে ন’জন জায়গা পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় ৷ তাঁদের কেউ পূর্ণমন্ত্রী, তো আবার কেউ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ৷ অনেকের মতে, এটা আসলে পুরস্কার ৷ যাতে ওই এলাকায় মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নকে আরও ভালো ভাবে করা যায় ৷

যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে ৷ কারণ, যাঁরা 2019 সালের লোকসভা ভোট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেককে হয়তো ফেরানো গিয়েছে ৷ কিন্তু সকলকে ফেরানো যায়নি ৷ ফলে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গের সমস্ত ভোটারদের মন জয় করতে হবে ৷ পাশাপাশি যাঁরা এবার ভোট দিলেন ঘাসফুলে, তাঁদেরকেও ধরে রাখতে হবে ৷ আর সেই কারণেই উত্তরবঙ্গ থেকে গোলাম রব্বানি, বিপ্লব মিত্র, সাবিনা ইয়াসমিন ও পরেশ অধিকারী এবং জঙ্গলমহল থেকে সন্ধ্যারানি টুডু, শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাতো, বীরবাহা হাঁসদা ও জ্যোৎস্না মান্ডি মমতার মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন ৷

আরও পড়ুন : কোভিড আবহে একসঙ্গে শপথ 43 মন্ত্রীর, ভার্চুয়াল শপথ অমিত-ব্রাত্য-রথীনের

এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার শান্তনু সান্যালের বক্তব্য, ‘‘২০২৪ আসতে আরও তিন বছর বাকি আছে । এর মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অদলবদল হতে পারে । এটা তো ঠিক ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলে যা জমি হারিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির কাছে, তাঁর অনেকটাই তাঁরা পুনরুদ্ধার করেছে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে । তাই এই দুটো জায়গা থেকে বেশি বিধায়ককে মন্ত্রী করা একধরনের পুরস্কার ৷ যাতে এই এলাকার মন্ত্রী-বিধায়করা আরও বেশি করে এই সব অঞ্চলে তৃণমূল ভিত আরও মজবুত করতে পারে । একই সঙ্গে মন্ত্রিসভাতে বেশ কিছু অদলবদল করেছেন তিনি । আমার মতে এই সবই এক ধরনের পরীক্ষা ওই ভিত মজবুত করার লক্ষ্যে ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.