ETV Bharat / city

Babul Supriyo Quits Politics : শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে গুরুত্ব না পেয়েই কি এই সিদ্ধান্ত বাবুলের ! - বাবুল সুপ্রিয়

সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সর্বজনবিদিত । দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বলেন, তখন সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য বাবুলকে আহত করেছিল । ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি সে কথা জানিয়েছিলেন । তবে সেই দূরত্ব বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে বাবুলকে অভিমান নিয়ে দল ছাড়তে হচ্ছে ।

why babul supriyo quits politics
why babul supriyo quits politics
author img

By

Published : Jul 31, 2021, 8:05 PM IST

কলকাতা, 31 জুলাই : এই মুহূর্তে বাবুলের আকস্মিক রাজনীতি ত্যাগ নিয়ে জোরদার আলোচনা চলছে । সোশ্যাল সাইটে দীর্ঘ পোস্ট করে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী । একইসঙ্গে সোশ্যাল সাইটে তিনি তুলে দিয়েছেন একগুচ্ছ প্রশ্ন । 2014 সাল থেকে বাংলায় পদ্ম ফোটানোর ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষ বা অন্যান্য রাজ্য নেতাদের মতো তাঁর ভূমিকাও কোনও অংশে কম ছিল না । মূলত এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দু'বার তাঁকে মন্ত্রী করেছে বিজেপি । কিন্তু মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যাওয়ার কথা বলার পরই যেভাবে তিনি রাজনীতি থেকে সরে গেলেন, সে বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে ।

রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই সময়টা ভাল যাচ্ছে না রাজ্য বিজেপির । 2014 সালের পর থেকে এরাজ্যে একের পর এক জয়ে গেরুয়া শিবিরকে তেল খাওয়া মেশিনের মত মনে হচ্ছিল ৷ একইভাবে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ঘটনাক্রম যেভাবে এগিয়েছে তাতে বিজেপির অন্দরের কঙ্কালসার চেহারা প্রকাশ্যে চলে এসেছে । প্রথমে মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগ এবং বর্তমানে বাবুল সুপ্রিয়র রাজনীতির সংসর্গ ত্যাগ ৷ এই দু‘টি ঘটনা রাজ্য বিজেপির জন্য যে বড় ধাক্কা তাতে কোনও সন্দেহ নেই ।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এদিন তিনি কোনও রাখঢাক না করেই রাজনীতি ছাড়ার দুটি কারণের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন । এর মধ্যে যদি প্রথমাংশ হয় তার মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়া, দ্বিতীয়াংশ অবশ্যই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বন্দ্ব । এখন প্রশ্ন উঠতে পারে বাবুল সুপ্রিয় ঠিক কাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন ! সামাজিক মাধ্যমে তিনি কারও নাম খোলসা করে বলেননি । তবে তিনি কি দিল্লির কোনও নেতার দিকে ইঙ্গিত করলেন, নাকি তাঁর রাজনীতি ত্যাগ রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল । নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে থেকে যাঁরা বিজেপিকে খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন, এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপি টুকরো টুকরো শক্তি কেন্দ্রে বিভক্ত । এর একদিকে যেমন নব্য বিজেপি হওয়া তৃণমূল ত্যাগী নেতারা রয়েছেন (অবশ্যই তাঁর মধ্যে শীর্ষে আছেন শুভেন্দু) অন্যদিকে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ-সহ সংঘ ঘনিষ্ঠ নেতারা । আর একটা অংশে রয়েছেন যাঁরা নিজের ক্যারিশমায় প্রতিষ্ঠিত ৷ অর্থা‍ৎ সাংস্কৃতিক মহলের মানুষজন ।

সাধারণত এ ধরনের সংস্কৃতি বিজেপির মতো রেজিমেন্টের পার্টির নয় । বরং এই সংস্কৃতি তৃণমূল কংগ্রেসী ঘরানার । দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সবাইকে নিয়ে চলতে গিয়ে বাবুল সুপ্রিয়র মত সৃষ্টিশীল নেতাদের উপেক্ষা করছেন । রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সেই উপেক্ষার ফল ক্রমশ অভিমান হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে তাঁকে সাহায্য করেছে । এমনও শোনা যাচ্ছে, এবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাননি বাবুল ৷ কিন্তু একরকম জোর করেই প্রার্থী করা হয় । আর নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রকাশ্যে না বললেও পরাজয়ের কারণ দেখিয়ে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় । এতেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বাবুল ৷

আরও পড়ুন : Babul supriyo : প্রহেলিকা বাড়িয়ে ‘আলবিদা’ বাবুলের, ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি

এখানেই শেষ নয় ৷ সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সর্বজনবিদিত । দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বলেন, তখন সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য বাবুলকে আহত করেছিল । ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি সে কথা জানিয়েছিলেন । তবে সেই দূরত্ব বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে বাবুলকে অভিমান নিয়ে দল ছাড়তে হচ্ছে । শুধু তাই নয়, বাবুল সুপ্রিয়র পোস্ট ঘিরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যা বলেছেন তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । তিনি বললেন, "কে সোশ্যাল সাইটে কি লিখলেন তা নিয়ে আমি প্রতিক্রিয়া দেব না ।" এর থেকে পরিষ্কার বাবুল সুপ্রিয়কে তিনি কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন । আর এই গুরুত্বহীনতা ফল তাঁর এই সিদ্ধান্ত কিনা তা সময়ই বলবে ।

আরও পড়ুন : Babul Supriyo Quits politics : মন্ত্রিত্ব গিয়েছে তাই দমবন্ধ লাগছে, বাবুলকে কটাক্ষ কুণালের ; ভিন্ন সুর প্রদীপ-সুজনের

কলকাতা, 31 জুলাই : এই মুহূর্তে বাবুলের আকস্মিক রাজনীতি ত্যাগ নিয়ে জোরদার আলোচনা চলছে । সোশ্যাল সাইটে দীর্ঘ পোস্ট করে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী । একইসঙ্গে সোশ্যাল সাইটে তিনি তুলে দিয়েছেন একগুচ্ছ প্রশ্ন । 2014 সাল থেকে বাংলায় পদ্ম ফোটানোর ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষ বা অন্যান্য রাজ্য নেতাদের মতো তাঁর ভূমিকাও কোনও অংশে কম ছিল না । মূলত এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দু'বার তাঁকে মন্ত্রী করেছে বিজেপি । কিন্তু মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যাওয়ার কথা বলার পরই যেভাবে তিনি রাজনীতি থেকে সরে গেলেন, সে বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে ।

রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই সময়টা ভাল যাচ্ছে না রাজ্য বিজেপির । 2014 সালের পর থেকে এরাজ্যে একের পর এক জয়ে গেরুয়া শিবিরকে তেল খাওয়া মেশিনের মত মনে হচ্ছিল ৷ একইভাবে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ঘটনাক্রম যেভাবে এগিয়েছে তাতে বিজেপির অন্দরের কঙ্কালসার চেহারা প্রকাশ্যে চলে এসেছে । প্রথমে মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগ এবং বর্তমানে বাবুল সুপ্রিয়র রাজনীতির সংসর্গ ত্যাগ ৷ এই দু‘টি ঘটনা রাজ্য বিজেপির জন্য যে বড় ধাক্কা তাতে কোনও সন্দেহ নেই ।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এদিন তিনি কোনও রাখঢাক না করেই রাজনীতি ছাড়ার দুটি কারণের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন । এর মধ্যে যদি প্রথমাংশ হয় তার মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়া, দ্বিতীয়াংশ অবশ্যই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বন্দ্ব । এখন প্রশ্ন উঠতে পারে বাবুল সুপ্রিয় ঠিক কাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন ! সামাজিক মাধ্যমে তিনি কারও নাম খোলসা করে বলেননি । তবে তিনি কি দিল্লির কোনও নেতার দিকে ইঙ্গিত করলেন, নাকি তাঁর রাজনীতি ত্যাগ রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল । নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে থেকে যাঁরা বিজেপিকে খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন, এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপি টুকরো টুকরো শক্তি কেন্দ্রে বিভক্ত । এর একদিকে যেমন নব্য বিজেপি হওয়া তৃণমূল ত্যাগী নেতারা রয়েছেন (অবশ্যই তাঁর মধ্যে শীর্ষে আছেন শুভেন্দু) অন্যদিকে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ-সহ সংঘ ঘনিষ্ঠ নেতারা । আর একটা অংশে রয়েছেন যাঁরা নিজের ক্যারিশমায় প্রতিষ্ঠিত ৷ অর্থা‍ৎ সাংস্কৃতিক মহলের মানুষজন ।

সাধারণত এ ধরনের সংস্কৃতি বিজেপির মতো রেজিমেন্টের পার্টির নয় । বরং এই সংস্কৃতি তৃণমূল কংগ্রেসী ঘরানার । দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সবাইকে নিয়ে চলতে গিয়ে বাবুল সুপ্রিয়র মত সৃষ্টিশীল নেতাদের উপেক্ষা করছেন । রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সেই উপেক্ষার ফল ক্রমশ অভিমান হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে তাঁকে সাহায্য করেছে । এমনও শোনা যাচ্ছে, এবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাননি বাবুল ৷ কিন্তু একরকম জোর করেই প্রার্থী করা হয় । আর নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রকাশ্যে না বললেও পরাজয়ের কারণ দেখিয়ে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় । এতেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বাবুল ৷

আরও পড়ুন : Babul supriyo : প্রহেলিকা বাড়িয়ে ‘আলবিদা’ বাবুলের, ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি

এখানেই শেষ নয় ৷ সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সর্বজনবিদিত । দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বলেন, তখন সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য বাবুলকে আহত করেছিল । ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি সে কথা জানিয়েছিলেন । তবে সেই দূরত্ব বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে বাবুলকে অভিমান নিয়ে দল ছাড়তে হচ্ছে । শুধু তাই নয়, বাবুল সুপ্রিয়র পোস্ট ঘিরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যা বলেছেন তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । তিনি বললেন, "কে সোশ্যাল সাইটে কি লিখলেন তা নিয়ে আমি প্রতিক্রিয়া দেব না ।" এর থেকে পরিষ্কার বাবুল সুপ্রিয়কে তিনি কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন । আর এই গুরুত্বহীনতা ফল তাঁর এই সিদ্ধান্ত কিনা তা সময়ই বলবে ।

আরও পড়ুন : Babul Supriyo Quits politics : মন্ত্রিত্ব গিয়েছে তাই দমবন্ধ লাগছে, বাবুলকে কটাক্ষ কুণালের ; ভিন্ন সুর প্রদীপ-সুজনের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.