কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর: রাজ্যে পুজোর আগে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েই চলেছে ৷ শনিবারও 635টি ডেঙ্গি আক্রান্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে (West Bengal Reported 635 New Dengue Cases) ৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ৷ আর এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার ৷ তবে, আশার বিষয় এটাই যে, এ দিনও ডেঙ্গিতে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি ৷ গত দু’মাসে এখনও পর্যন্ত 16 জনের মশাবাহিত এই রোগে 16 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷
প্রায় রোজই ছ’শোর বেশি মানুষ রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন ৷ কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি ৷ গতকাল কলকাতা পৌরনিগমে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শহরের ডেঙ্গির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ৷ কিন্তু, শুক্রবারই ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ঠিক উলটো কথা বলেছিলেন ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, কলকাতার যে সব এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল তা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে ৷ মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের দু’রকমের মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ধোঁয়াশার তৈরি হয়েছে ৷
গত 23 সেপ্টেম্বর ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র এবং পৌর-কমিশনার সহ-মন্ত্রী ও আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কেএমডিএ’র চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম ৷ সেই বৈঠকে পুজোর আগে বিধাননগর এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হয় ৷ বেশি করে জন সচেতনতার প্রচার করতে বলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, ডেঙ্গি রোধে পৌরনিগমকে অভিযান চালাতে বলা হয়েছে ৷ ডেঙ্গির মশা ও লার্ভা নষ্ট করতে প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল ও গ্যাস ব্যবহার করতে বলা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: কলকাতার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ভিন্নমত মেয়র ও ডেপুটি মেয়র
এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ বাড়িতে ও আশেপাশে অকারণ জল জমিয়ে রাখতে বা জমতে না দেওয়ার আবেদন করা হচ্ছে ৷ বাড়ি চারপাশ পরিষ্কার রাখার কথা বলা হচ্ছে, যাতে ডেঙ্গির মশার বংশবৃদ্ধি না ঘটে ৷