কলকাতা, 22 জানুয়ারি : একদিকে স্কুলে হবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 125তম জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠান। আর অন্যদিকে ঠিক বেলা 12টায় শঙ্খ বাজিয়ে অনুষ্ঠানে সামিল হবে স্কুল পড়ুয়ারা । তবে তা বাড়িতে বসেই। কারণ স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে নেতাজির জন্মদিবস পালনের নির্দেশিকায় পড়ুয়াদের স্কুলে আসায় নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে 23 জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 125তম জন্মজয়ন্তী পালনের নির্দেশ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে শিক্ষা দপ্তরের তরফে। কোরোনা পরিস্থিতিতে গত বছর থেকে যেভাবে পড়ুয়াদের স্কুলে উপস্থিতি ছাড়াই বিশেষ দিনগুলি পালন করা হয়েছে, সেভাবেই নেতাজির জন্মদিবস পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । অর্থাৎ পড়ুয়াদের ওই দিন স্কুলে আসায় জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা । তবে বাড়িতে থেকেও ওই দিনের অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ওইদিন বেলা 12টায় পড়ুয়াদের বাড়িতে থেকে শঙ্খ বাজাতে বলা হয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর-এর তরফে।
কীভাবে যাবতীয় বিধি মেনে স্কুলে নেতাজির জন্মদিবস পালিত হবে ? সেই সম্পর্কে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শুধুমাত্র শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা মিলিয়ে অংশগ্রহণ করবেন। শিক্ষক ও কর্মচারী মিলিয়ে 50 শতাংশের উপস্থিতি থাকতে হবে এবং কোনও পড়ুয়াকে স্কুলে ডাকা যাবে না। অনুষ্ঠানে নেতাজির ছবি বা মূর্তিতে মাল্যদান, প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক, কর্মচারীদের ভাষণ, জাতীয়তাবাদী গান ইত্যাদি রাখার কথা বলা হয়েছে। আর পড়ুয়াদের বলা হয়েছে বাড়িতে থেকে শঙ্খ বাজাতে। এ ছাড়া শ্রেণিভিত্তিক বিভিন্ন কার্যকলাপ করেও তার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে স্কুলে পাঠাতে পারে পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন : প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ঘিরে তুলকালাম বারাসত
স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠানের পাশাপাশি স্কুলগুলিকে সেই প্রোগ্রাম ও পড়ুয়াদের পারফরম্যান্সের ভিডিয়ো একত্রিত করে একটি প্রেজ়েন্টেশন তৈরি করে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে বলা হয়েছে। আবার যেখানে সম্ভব সেখানে অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচার করতে বলা হয়েছে। আবার যে সকল স্কুলের ওয়েবসাইট নেই, বিশেষত প্রাথমিক স্কুলের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠানটিই করতে বলা হয়েছে। তাঁরা চাইলে পড়ুয়াদের রেকর্ড করে পাঠানো কার্যকলাপ অনুষ্ঠানে দেখাতে পারবেন। ওয়েবসাইট আপলোড করা সম্ভব না হলে অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং করে রাখতে বলা হয়েছে যাতে পড়ুয়ারা স্কুলে ফিরলে তাদের সেটি দেখানো সম্ভব হয়। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার অনিন্দ্য নারায়ণ বিশ্বাসের জারি করা এই গাইডলাইন মেনেই সকল স্কুলকে ওই দিনটি পালন করতে বলা হয়েছে।