কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর : গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ খতিয়ে তার সত্যতা যাচাই করে সেই কর্মীকে বরখাস্ত করেছিল পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (WBPSC)। কৌশিক ভট্টাচার্য নামের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে WBCS পরীক্ষায় নম্বরে কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। অন্তর্বর্তী তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ওই কর্মীকে বরখাস্তও করেছে কমিশন। সম্প্রতি কমিশনের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন বরখাস্ত হওয়া কৌশিক ভট্টাচার্য নামের ওই কর্মী। WBPSC সূত্রে জানা গেছে, তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
WBCS 2017-র পরীক্ষায় নম্বর কারচুপি করে একাধিক প্রার্থীকে ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে সু্যোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কনফিডেনশিয়াল সেকশনের আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট কৌশিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই কর্মীর বিবাহিত বোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন সেই কথাও নিয়ম বহির্ভূতভাবে গোপন রেখেছিলেন এবং তাঁর নম্বরেও রদবদল করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে WBPSC একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত চলাকালীন তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই তদন্তে যাবতীয় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাঁকে চলতি বছর 17 ফেব্রুয়ারি বরখাস্ত করে WBPSC।
গত 5 জুন পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করার আবেদন জানান WBPSC-র ওই প্রাক্তণ কর্মী কৌশিক ভট্টাচার্য। সেই আবেদন বিচার বিবেচনা করে তা খারিজ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। কমিশন সূত্রে খবর, আবেদন খারিজের নির্দেশিকাও প্রকাশিত হয়ে গেছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিসেস (ক্ল্যাসিফিকেশন, কন্ট্রোল অ্যান্ড অ্যাপিল) রুলস 1971-এর 8 নম্বর বিধির 8 নম্বর উপবিধি অনুযায়ী ওই কর্মীকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে আইনিভাবে আবেদন জানান কৌশিক ভট্টাচার্য। কিন্তু, সেই আবেদনের জন্য উপযুক্ত প্রমাণ তিনি দেননি। উল্টে ডিসিপ্লিনারি অথরিটি এবং তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ সহ মূল কর্মীদের দ্বারা সংগঠিত তদন্ত প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে তাঁকে কলুষিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে আবেদন খারিজের নির্দেশিকায়।
ওই কর্মীর করা বিভিন্ন অভিযোগের উত্তর দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সেখানে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার ইন্টারভিউ সিডিউল তৈরির আগে কৌশিক ভট্টাচার্য যে নম্বরে কারচুপি করেছিলেন তা প্রমাণিত হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা কোনও সন্দেহ বা অনুমানের ভিত্তিতে করা হয়নি। বরং তা নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছিল। কাজ থেকে বরখাস্ত করার আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ওই কর্মী। কিন্তু, তাঁর নির্দোষ হওয়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেই জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। যেহেতু ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যে সত্য তাতে কোনও সন্দেহ নেই ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিংস অনুযায়ী এবং পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের খ্যাতি ও সুনাম যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে এই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যথাযোগ্য ও ন্যায্য বলে মনে করে WBPSC। সেই কারণেই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
WBCS পরীক্ষায় কারচুপিতে বরখাস্ত কর্মীর আবেদন খারিজ
পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (WBPSC) পরীক্ষায় নম্বরে কারচুপির অভিযোগ ওঠে কৌশিক ভট্টাচার্য নামের এক কর্মীর বিরুদ্ধে ৷ তদন্তের পর ওই কর্মীকে বরখাস্তও করেছে কমিশন ৷কমিশনের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন বরখাস্ত হওয়া ওই কর্মী ৷ কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ করা হয়েছে কমিশনের তরফে ৷
কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর : গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ খতিয়ে তার সত্যতা যাচাই করে সেই কর্মীকে বরখাস্ত করেছিল পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (WBPSC)। কৌশিক ভট্টাচার্য নামের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে WBCS পরীক্ষায় নম্বরে কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। অন্তর্বর্তী তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ওই কর্মীকে বরখাস্তও করেছে কমিশন। সম্প্রতি কমিশনের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন বরখাস্ত হওয়া কৌশিক ভট্টাচার্য নামের ওই কর্মী। WBPSC সূত্রে জানা গেছে, তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
WBCS 2017-র পরীক্ষায় নম্বর কারচুপি করে একাধিক প্রার্থীকে ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে সু্যোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কনফিডেনশিয়াল সেকশনের আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট কৌশিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই কর্মীর বিবাহিত বোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন সেই কথাও নিয়ম বহির্ভূতভাবে গোপন রেখেছিলেন এবং তাঁর নম্বরেও রদবদল করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে WBPSC একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত চলাকালীন তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই তদন্তে যাবতীয় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাঁকে চলতি বছর 17 ফেব্রুয়ারি বরখাস্ত করে WBPSC।
গত 5 জুন পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করার আবেদন জানান WBPSC-র ওই প্রাক্তণ কর্মী কৌশিক ভট্টাচার্য। সেই আবেদন বিচার বিবেচনা করে তা খারিজ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। কমিশন সূত্রে খবর, আবেদন খারিজের নির্দেশিকাও প্রকাশিত হয়ে গেছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিসেস (ক্ল্যাসিফিকেশন, কন্ট্রোল অ্যান্ড অ্যাপিল) রুলস 1971-এর 8 নম্বর বিধির 8 নম্বর উপবিধি অনুযায়ী ওই কর্মীকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে আইনিভাবে আবেদন জানান কৌশিক ভট্টাচার্য। কিন্তু, সেই আবেদনের জন্য উপযুক্ত প্রমাণ তিনি দেননি। উল্টে ডিসিপ্লিনারি অথরিটি এবং তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ সহ মূল কর্মীদের দ্বারা সংগঠিত তদন্ত প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে তাঁকে কলুষিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে আবেদন খারিজের নির্দেশিকায়।
ওই কর্মীর করা বিভিন্ন অভিযোগের উত্তর দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সেখানে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার ইন্টারভিউ সিডিউল তৈরির আগে কৌশিক ভট্টাচার্য যে নম্বরে কারচুপি করেছিলেন তা প্রমাণিত হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা কোনও সন্দেহ বা অনুমানের ভিত্তিতে করা হয়নি। বরং তা নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছিল। কাজ থেকে বরখাস্ত করার আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ওই কর্মী। কিন্তু, তাঁর নির্দোষ হওয়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেই জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। যেহেতু ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যে সত্য তাতে কোনও সন্দেহ নেই ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিংস অনুযায়ী এবং পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের খ্যাতি ও সুনাম যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে এই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যথাযোগ্য ও ন্যায্য বলে মনে করে WBPSC। সেই কারণেই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।