ETV Bharat / city

WB Govt New Decision পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি রুখতে নীতিগত সিদ্ধান্ত রাজ্যের, তিন বছরের বেশি এক দফতরে থাকলেই বদলি

দুর্নীতির কোনও শিকড় থেকে থাকলে তা যাতে গোড়া থেকে উপরে ফেলা যায় তার জন্য নয়া নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন (corruption in Panchayat level) ৷ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে যেসব কর্মী একই অফিসে তিন বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে বদলি করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (WB Govt New Decision) ৷

author img

By

Published : Aug 26, 2022, 11:06 PM IST

WB Govt New Decision
ETV Bharat

কলকাতা, 26 অগস্ট: দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে এমনিতেই অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল সরকার ৷ আমলা থেকে শুরু করে পুলিশ, এমন কী জেলা প্রশাসন এই দুই দুর্নীতির গেরোয় নবান্নের জন্য 'দুয়ারে অস্বস্তি' নিয়ে হাজির হয়েছে । বিভিন্ন মামলায় একের পর এক বিষয়ে রাজ্যের আমলা থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত কর্তা-ব্যক্তিদের তলব করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলি ।

ঠিক এই অবস্থাতেই গত 18 অগস্ট দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলায়, দুর্নীতির কোন স্পর্শ প্রমাণিত হলে তা বরদাস্ত করা হবে না (Mamata Banerjee message against corruption) । সেদিনই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার সেই পথে আরও কোমর কষছে নবান্ন । দুর্নীতির কোনও শিকড় থেকে থাকলে তা যাতে গোড়া থেকে উপরে ফেলা যায়, তাই এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে যেসব কর্মী একই অফিসে তিন বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে বদলি করতে হবে । এই নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে সমস্ত জেলাতেই (WB Govt new decision to reduce corruption) ।

আরও পড়ুন: জেলে গিয়ে পার্থকে জেরা ইডির, শান্ত মেজাজেই সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

শুধু তা নয়, সরকারের এই নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়িত করে সেই রিপোর্ট পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাছে পেশ করতে হবে । প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় এই মুহূর্তে পঞ্চায়েত এবং গ্রাম উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব নিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন প্রদীপ মজুমদার । জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনতে এই সিদ্ধান্ত তারই মস্তিষ্কপ্রসূত । ইতিমধ্যেই তিনি এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়েছেন । তারপরই নবান্নের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যেক জেলার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । আসলে নবান্ন মনে করছে, পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন অফিসগুলি দুর্নীতির আখড়া । সেখানে ভালো মানুষ নেই এমন কথা ভাবা ভুল । একইসঙ্গে কিছু এমন মানুষ রয়েছেন যাঁরা নেতাদের অজ্ঞতার সুজোগ নিয়ে দুর্নীতির জাল বুনছেন । নিজেরাও কামাচ্ছেন এবং ওই সদস্যদেরও ক্রমেই দুর্নীতির অংশ করে তুলছেন (corruption in Panchayat level)।

আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যায় ডিম ছুঁলেন না অনুব্রত, খেলেন নিরামিষ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার চাইছে এই ধরনের সরকারি কর্মচারী ও নেতাদের শনাক্ত করতে এবং সরাসরি পঞ্চায়েতের কাজকর্ম থেকে তাদের দূরে সরিয়ে রাখতে । তবে নবান্নের এক আধিকারিক এর কথায়, মুখে যতটা সহজ বলে মনে হচ্ছে কাজটা বাস্তবে এত সহজ নয় । এই ধরনের শুদ্ধিকরণের পদ্ধতি রাজনৈতিকভাবে সরকারের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে । বিশেষ করে এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসলে সরকার এবং শাসক দলকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে । কিন্তু বাস্তবিকই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন । একদম তৃণমূল স্তর থেকে অর্থাৎ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জেলা, নবান্ন সর্বত্রই একটা দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে । আর সেক্ষেত্রে সরকারের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল । প্রসঙ্গত বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট ৷ তার আগে পঞ্চায়েত স্তরে এই ধরনের সিদ্ধান্ত দলের উপর কি প্রভাব ফেলে, সেদিকেও নজর থাকবে ।

কলকাতা, 26 অগস্ট: দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে এমনিতেই অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল সরকার ৷ আমলা থেকে শুরু করে পুলিশ, এমন কী জেলা প্রশাসন এই দুই দুর্নীতির গেরোয় নবান্নের জন্য 'দুয়ারে অস্বস্তি' নিয়ে হাজির হয়েছে । বিভিন্ন মামলায় একের পর এক বিষয়ে রাজ্যের আমলা থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত কর্তা-ব্যক্তিদের তলব করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলি ।

ঠিক এই অবস্থাতেই গত 18 অগস্ট দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলায়, দুর্নীতির কোন স্পর্শ প্রমাণিত হলে তা বরদাস্ত করা হবে না (Mamata Banerjee message against corruption) । সেদিনই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার সেই পথে আরও কোমর কষছে নবান্ন । দুর্নীতির কোনও শিকড় থেকে থাকলে তা যাতে গোড়া থেকে উপরে ফেলা যায়, তাই এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে যেসব কর্মী একই অফিসে তিন বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে বদলি করতে হবে । এই নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে সমস্ত জেলাতেই (WB Govt new decision to reduce corruption) ।

আরও পড়ুন: জেলে গিয়ে পার্থকে জেরা ইডির, শান্ত মেজাজেই সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

শুধু তা নয়, সরকারের এই নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়িত করে সেই রিপোর্ট পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাছে পেশ করতে হবে । প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় এই মুহূর্তে পঞ্চায়েত এবং গ্রাম উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব নিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন প্রদীপ মজুমদার । জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনতে এই সিদ্ধান্ত তারই মস্তিষ্কপ্রসূত । ইতিমধ্যেই তিনি এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়েছেন । তারপরই নবান্নের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যেক জেলার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । আসলে নবান্ন মনে করছে, পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন অফিসগুলি দুর্নীতির আখড়া । সেখানে ভালো মানুষ নেই এমন কথা ভাবা ভুল । একইসঙ্গে কিছু এমন মানুষ রয়েছেন যাঁরা নেতাদের অজ্ঞতার সুজোগ নিয়ে দুর্নীতির জাল বুনছেন । নিজেরাও কামাচ্ছেন এবং ওই সদস্যদেরও ক্রমেই দুর্নীতির অংশ করে তুলছেন (corruption in Panchayat level)।

আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যায় ডিম ছুঁলেন না অনুব্রত, খেলেন নিরামিষ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার চাইছে এই ধরনের সরকারি কর্মচারী ও নেতাদের শনাক্ত করতে এবং সরাসরি পঞ্চায়েতের কাজকর্ম থেকে তাদের দূরে সরিয়ে রাখতে । তবে নবান্নের এক আধিকারিক এর কথায়, মুখে যতটা সহজ বলে মনে হচ্ছে কাজটা বাস্তবে এত সহজ নয় । এই ধরনের শুদ্ধিকরণের পদ্ধতি রাজনৈতিকভাবে সরকারের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে । বিশেষ করে এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসলে সরকার এবং শাসক দলকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে । কিন্তু বাস্তবিকই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন । একদম তৃণমূল স্তর থেকে অর্থাৎ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জেলা, নবান্ন সর্বত্রই একটা দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে । আর সেক্ষেত্রে সরকারের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল । প্রসঙ্গত বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট ৷ তার আগে পঞ্চায়েত স্তরে এই ধরনের সিদ্ধান্ত দলের উপর কি প্রভাব ফেলে, সেদিকেও নজর থাকবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.