ETV Bharat / city

Bengal CM Blocks Governor : "আমরা কি ওনার চাকর-বাকর", রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে মন্তব্য ক্ষুব্ধ মমতার - CM Mamata Banerjee Criticises Governor Jagdeep Dhankhar

এদিন রাজ্যপালের তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee Criticises Governor Jagdeep Dhankhar) ৷ বলেন, "আমার বিরক্তি হত ওঁর টুইটগুলি দেখে ৷’’

Bengal CM  Blocks Governor
রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করলেন ক্ষুব্ধ মমতা
author img

By

Published : Jan 31, 2022, 4:33 PM IST

Updated : Jan 31, 2022, 5:40 PM IST

কলকাতা, 31 জানুয়ারি : রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee blocks Governor Jagdeep Dhankhar in twitter) ৷ সোমবার নবান্নে নিজেই একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ চলছিল ৷ হালফিলে তা চরমে ওঠে ৷ তারই পরিণতিতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করে দিলেন ৷ এদিন নবান্নে প্রথমে রাজ্য ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তারপরে সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই সকলকে চমকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি আজ বাধ্য হয়ে একটা কাজ করেছি, তার জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ৷ আমি রাজ্যপালকে ব্লক করে দিয়েছি, ব্লক করতে বাধ্য হয়েছি ৷ "

এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ দেখিয়েছে রাজ্যপালের উপর ৷ চোখা চোখা বাক্যবাণে এদিন জগদীপ ধনকড়কে বিদ্ধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বলেন, "উনি প্রতিদিন একটা করে টুইট করে কখনও অফিসারদের গালাগালি দিয়ে, কখনও আমাকে গালাগালি দিয়ে বিভিন্ন ভাবে অভিযোগ করেন, অপমান করেন ৷ অসাংবিধানিক কথাবার্তা বলেন ৷ উনি আমাদের নির্দেশ দেন, পরামর্শ নয় ৷ নির্দেশ দেন যে ওঁর কথামতো আমাদের চলতে হবে ৷ তার মানে আমরা চাকর-বাকর, বন্ডেড লেবার ৷ নির্বাচিত সরকার বন্ডেড লেবার হয়ে গিয়েছে, আর একজন কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত না হয়েও, শুধুমাত্র মনোনীত একজন হয়েও তিনি এখন সবার মাথার উপর সুপার পাহারাদার হয়ে গিয়েছেন ৷ আমি তাই বাধ্য হয়েছি, আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওঁকে ব্লক করে দিতে ৷ ওঁর টুইটগুলি দেখে আমার প্রতিদিন বিরক্তি হত ৷ এমন এমন কথা বলতেন যা অমানবিক ৷ " মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যপাল সবাইকে হুমকি দিচ্ছেন, ভয় দেখাচ্ছেন আদালত থেকে শুরু করে সিপি থেকে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, জেলাশাসক, ডিজি, পুলিশ সুপার সকলকেই উনি ডেকে পাঠাচ্ছেন ৷ মমতার কথায়, "বাম আমলে যখন ধরমবীর রাজ্যপাল ছিলেন, সে সময় কয়েকটি ফাইলে সই না করার জন্য জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে প্রবল আন্দোলন হয়েছিল । যার কারণে শেষ পর্যন্ত সরে যেতে হয়েছিল রাজ্যপালকে । উনি সবাইকে হুমকি দিচ্ছেন, ডেকে পাঠাচ্ছেন এটা উনি করতে পারেন না, এভাবে অফিসারদের রোজ ডেকে পাঠাতে পারেন না ৷ দরকারে উনি আমাকে ডেকে পাঠাতে পারেন ৷ হাওড়া-বালির ফাইল ছাড়েননি, আজ হাওড়ার মানুষ, বালির মানুষ ওঁর জন্য পরিষেবা পাচ্ছেন না ৷ সরকারের পলিসিগত সিদ্ধান্ত কি উনি ঠিক করে দেবেন? এমনকি মা ক্যান্টিনে ভাত আর ডিম কোথা থেকে আসে সেই কৈফিয়ৎও ওঁকে দিতে হবে, তাহলে উনি যে রোজ তাজ বেঙ্গল থেকে খাবার আনেন সেই কৈফিযৎ আমাদের দিন ৷ বিল বের করব ? রাজভবন থেকে পেগাসাস চলছে ৷ পেগাসাসের নাভিশ্বাস এখানে বসে আছে, সব অফিসারদের কন্ট্রোল করছে ৷ " বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল রাজ্যপাল এখনও ছাড়েননি বলে অভিযোগ মমতার ৷ রাজ্যপালের প্রশ্রয়ে বিজেপির গুন্ডারা লোক মারছে বলে এদিন অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

আরও পড়ুন : রাজ্যে 3 ফেব্রুয়ারি থেকে ফের খুলছে স্কুল-কলেজ

গোটা বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও এদিন একহাত নেন মমতা ৷ বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রীকেও চারবার চিঠি লিখেছি ৷ বারবার বলেছি কিন্তু উনি শুনছেন না ৷ বাংলার মানুষ মাথা নত করে চলে না ৷ আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার বলেছি, নিজে গিয়ে কথা বলে এসেছি ৷ এটা বলবেন না যে আমি জানাইনি ৷ আমরা গত একবছর, দেড় বছর ধরে সহ্য করে যাচ্ছি ৷ চারটে চিঠি যাওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রী কেন ওঁকে সরাননি, ওঁকে নিয়োগের আগে আমাদের সঙ্গে কেন্দ্র আলোচনা করেনি ৷ আমরা তাও ভদ্রতা করে অনেক সুয়োগ দিয়েছি ৷"

গত 25 জানুয়ারি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যপালের মন্তব্য যে তিনি ভালভাবে নেননি এদিন তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বলেছেন, "এটা স্পিকারের এক্তিয়ার, স্পিকার, পরিষদীয় দল, বিধানসভার সদস্যরা এব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন ৷ উনি বিধানসভায় যাবেন, আম্বেদকরের গলায় মালা দেবেন, ছবি তুলবেন, দু‘টো কথা বলে, কোনও ফাইল গেলে প্রশ্ন থাকলে জানতে চাইবেন, দ্বিতীয় বার ছেড়ে দেবেন এটাই তো নিয়ম ৷" এদিনই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংসদে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে নালিশ জানিয়েছেন লোকসভার তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ।

কলকাতা, 31 জানুয়ারি : রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee blocks Governor Jagdeep Dhankhar in twitter) ৷ সোমবার নবান্নে নিজেই একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ চলছিল ৷ হালফিলে তা চরমে ওঠে ৷ তারই পরিণতিতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করে দিলেন ৷ এদিন নবান্নে প্রথমে রাজ্য ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তারপরে সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই সকলকে চমকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি আজ বাধ্য হয়ে একটা কাজ করেছি, তার জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ৷ আমি রাজ্যপালকে ব্লক করে দিয়েছি, ব্লক করতে বাধ্য হয়েছি ৷ "

এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ দেখিয়েছে রাজ্যপালের উপর ৷ চোখা চোখা বাক্যবাণে এদিন জগদীপ ধনকড়কে বিদ্ধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বলেন, "উনি প্রতিদিন একটা করে টুইট করে কখনও অফিসারদের গালাগালি দিয়ে, কখনও আমাকে গালাগালি দিয়ে বিভিন্ন ভাবে অভিযোগ করেন, অপমান করেন ৷ অসাংবিধানিক কথাবার্তা বলেন ৷ উনি আমাদের নির্দেশ দেন, পরামর্শ নয় ৷ নির্দেশ দেন যে ওঁর কথামতো আমাদের চলতে হবে ৷ তার মানে আমরা চাকর-বাকর, বন্ডেড লেবার ৷ নির্বাচিত সরকার বন্ডেড লেবার হয়ে গিয়েছে, আর একজন কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত না হয়েও, শুধুমাত্র মনোনীত একজন হয়েও তিনি এখন সবার মাথার উপর সুপার পাহারাদার হয়ে গিয়েছেন ৷ আমি তাই বাধ্য হয়েছি, আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওঁকে ব্লক করে দিতে ৷ ওঁর টুইটগুলি দেখে আমার প্রতিদিন বিরক্তি হত ৷ এমন এমন কথা বলতেন যা অমানবিক ৷ " মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যপাল সবাইকে হুমকি দিচ্ছেন, ভয় দেখাচ্ছেন আদালত থেকে শুরু করে সিপি থেকে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, জেলাশাসক, ডিজি, পুলিশ সুপার সকলকেই উনি ডেকে পাঠাচ্ছেন ৷ মমতার কথায়, "বাম আমলে যখন ধরমবীর রাজ্যপাল ছিলেন, সে সময় কয়েকটি ফাইলে সই না করার জন্য জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে প্রবল আন্দোলন হয়েছিল । যার কারণে শেষ পর্যন্ত সরে যেতে হয়েছিল রাজ্যপালকে । উনি সবাইকে হুমকি দিচ্ছেন, ডেকে পাঠাচ্ছেন এটা উনি করতে পারেন না, এভাবে অফিসারদের রোজ ডেকে পাঠাতে পারেন না ৷ দরকারে উনি আমাকে ডেকে পাঠাতে পারেন ৷ হাওড়া-বালির ফাইল ছাড়েননি, আজ হাওড়ার মানুষ, বালির মানুষ ওঁর জন্য পরিষেবা পাচ্ছেন না ৷ সরকারের পলিসিগত সিদ্ধান্ত কি উনি ঠিক করে দেবেন? এমনকি মা ক্যান্টিনে ভাত আর ডিম কোথা থেকে আসে সেই কৈফিয়ৎও ওঁকে দিতে হবে, তাহলে উনি যে রোজ তাজ বেঙ্গল থেকে খাবার আনেন সেই কৈফিযৎ আমাদের দিন ৷ বিল বের করব ? রাজভবন থেকে পেগাসাস চলছে ৷ পেগাসাসের নাভিশ্বাস এখানে বসে আছে, সব অফিসারদের কন্ট্রোল করছে ৷ " বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল রাজ্যপাল এখনও ছাড়েননি বলে অভিযোগ মমতার ৷ রাজ্যপালের প্রশ্রয়ে বিজেপির গুন্ডারা লোক মারছে বলে এদিন অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

আরও পড়ুন : রাজ্যে 3 ফেব্রুয়ারি থেকে ফের খুলছে স্কুল-কলেজ

গোটা বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও এদিন একহাত নেন মমতা ৷ বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রীকেও চারবার চিঠি লিখেছি ৷ বারবার বলেছি কিন্তু উনি শুনছেন না ৷ বাংলার মানুষ মাথা নত করে চলে না ৷ আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার বলেছি, নিজে গিয়ে কথা বলে এসেছি ৷ এটা বলবেন না যে আমি জানাইনি ৷ আমরা গত একবছর, দেড় বছর ধরে সহ্য করে যাচ্ছি ৷ চারটে চিঠি যাওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রী কেন ওঁকে সরাননি, ওঁকে নিয়োগের আগে আমাদের সঙ্গে কেন্দ্র আলোচনা করেনি ৷ আমরা তাও ভদ্রতা করে অনেক সুয়োগ দিয়েছি ৷"

গত 25 জানুয়ারি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যপালের মন্তব্য যে তিনি ভালভাবে নেননি এদিন তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বলেছেন, "এটা স্পিকারের এক্তিয়ার, স্পিকার, পরিষদীয় দল, বিধানসভার সদস্যরা এব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন ৷ উনি বিধানসভায় যাবেন, আম্বেদকরের গলায় মালা দেবেন, ছবি তুলবেন, দু‘টো কথা বলে, কোনও ফাইল গেলে প্রশ্ন থাকলে জানতে চাইবেন, দ্বিতীয় বার ছেড়ে দেবেন এটাই তো নিয়ম ৷" এদিনই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংসদে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে নালিশ জানিয়েছেন লোকসভার তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ।

Last Updated : Jan 31, 2022, 5:40 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.