মধ্যমগ্রাম, 17 ফেব্রুয়ারি: "বিধাননগরে ছাপ্পা ভোটের জন্য তৃণমূলকে নোবেল দেওয়া উচিত (Bengal Civic polls 2022)। এরকম ছাপ্পা ভোট চিনের মতো রাষ্ট্রেও হয় না।" উত্তর 24 পরগণার মধ্যমগ্রামে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে এক গণসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন,"বিধাননগরে ভোট পড়েছে 97 শতাংশ। তৃণমূলের যে নেতা এত শতাংশ ভোট পেয়েছে তাঁকে নোবেল দেওয়া উচিত। ভোট হলে চিনের প্রেসিডেন্টও 97 শতাংশ ভোট পেতেন কি না সন্দেহ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো। দ্বিতীয় বাংলাদেশ তৈরি করার চক্রান্ত চলছে পশ্চিমবঙ্গকে। সেটা আমরা হতে দেব না।"
4 পৌরনিগমের ভোটে বামেদের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলেও মনে করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই বিষয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, "চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। সিপিএম ও তৃণমূলের অবস্থা এখন এমনই। 10টা ছাপ্পা ভোট হলে তৃণমূল 8টা ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে নিজেদের বাকি 2টো ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে সিপিএমের হয়ে। তৃণমূল সিপিএমকে দ্বিতীয় স্থানে ওঠানোর চেষ্টা করছে ঠিকই কিন্তু, তারা সফল হবে না। বড় কোনও নির্বাচনে বিজেপি আবার ভাল ফল করবে।"
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও এদিন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন,"রাজ্যের প্রাইমারি স্কুলগুলিকে বেসরকারিকরণের চেষ্টা চলছে। সরকার বলছে ধীরে ধীরে প্রাইমারি স্কুলগুলিকে পিপিই মডেলে করা হবে। আসলে এটার মাধ্যমে প্রাইমারি স্কুলগুলিকে বিক্রি করার চক্রান্ত চলছে। এটা রাজ্য সরকারের দেউলিয়ার পরিচয়।" এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জনমত গড়ে তোলার ডাকও দেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়,"বিগত কয়েক বছর ধরে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদে শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল বাতিল হচ্ছে হাইকোর্টে। চরম নৈরাজ্য চলছে শিক্ষা ব্যবস্থায়। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। এর বিরুদ্ধে বিজেপির আন্দোলন জারি থাকবে।"
আরও পড়ুন: পার্থ ভৌমিক একটা লাগেজ গুছিয়ে রাখুন, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
আসন্ন পৌরভোটে ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে সওয়াল করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,"ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চাওয়ার অর্থ মানুষ যাতে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। তিনি যে রাজনৈতিক দলকে পছন্দ করবেন তাকেই ভোট দেবেন। ভোটে হার-জিত থাকবেই। তার মানে এই নয়,মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন চাইলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে পারে। কিন্তু, তারা কখনই চান না পৌরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক।" রাজ্যে ভোটে যেভাবে হিংসা বাড়ছে তাতে পশ্চিমবঙ্গের দুর্নাম হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের উদাহরণও টেনে আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।