ETV Bharat / city

Water Crisis in Kalikapur : গরমের শুরুতেই জল সংকটের আশঙ্কায় কালিকাপুর গীতাঞ্জলি পার্কের বাসিন্দারা - Water Crisis in Kalikapur Geetanjali Park of KMC Area

জল সংকটে কলকাতা পৌরনিগমের কালিকাপুর এলাকার গীতাঞ্জলি পার্কের বাসিন্দারা (Water Crisis in Kalikapur Geetanjali Park of KMC Area) ৷ গরম পড়তেই জলের সংকট দেখা দিয়েছে ৷ ডিপ টিউবওয়েলে জল তুলে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন পৌরনিগমের কর্মীরা ৷

Water Crisis in Kalikapur Geetanjali Park of KMC Area
Water Crisis in Kalikapur Geetanjali Park of KMC Area
author img

By

Published : Apr 10, 2022, 4:06 PM IST

কলকাতা, 10 এপ্রিল : গরমের শুরুতেই জল সঙ্কটের আশঙ্কায় ভুগছেন কালিকাপুর গীতাঞ্জলি পার্ক এলাকার বাসিন্দারা (Water Crisis in Kalikapur Geetanjali Park of KMC Area) ৷ যতদিন যাচ্ছে পানীয় জলের সংকট আরও তীব্র হচ্ছে কালিকাপুরে ৷ অভিযোগ, কলকাতা পৌরনিগমের এই এলাকায় কোনও পরিশ্রুত পানীয় জলের লাইন নেই ৷ ফলে একমাত্র ভরসা ভূগর্ভস্থ জল ৷ ডিপ টিউবওয়েলই ওই এলাকার একমাত্র ভরসা ৷ আর সেই জল তুলে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয় কলকাতা পৌরনিগম ৷

তবে, মাটির নিচের জলের স্তর ক্রমশ কমতে থাকায় এবার সেই জল পেতে নাকানিচবানি খেতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে ৷ গরমের শুরুতেই স্থানীয় বাসিন্দারা জল সংকটের আশঙ্কায় দিন গুনছেন ৷ এই সমস্যার কথা বাসিন্দারা ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচিতে আগেও জানিয়েছেন ৷ সেই অভিযোগের জবাবে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কালিকাপুরে গীতাঞ্জলি পার্ক এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছে দিতে অন্তত দু’বছর সময় লাগবে ৷

গরমের শুরুতেই জল সংকটের আশঙ্কায় কালিকাপুর গীতাঞ্জলি পার্কের বাসিন্দারা

এলাকার বাসিন্দা কুমারেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘এই গীতাঞ্জলি পার্ক এলাকায় ধাপা বা গার্ডেনরিচ কোনও জায়গা থেকেই জল আসে না ৷ ফলে ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভর করতে হয় ৷ কিন্তু, গরমের সময় মাটির নিচের জলের স্তর এত নিচে নেমে যায় যে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় ৷ এখানে তিনবার জায়গা পরিবর্তন করতে হয়েছে নলকূপের ৷ আমরা আশঙ্কা করছি ফের নলকূপের সরাতে হলে জল বন্ধ থাকবে মাসখানেক ৷’’

আরও পড়ুন : Water Crisis at Asansol : জলের হাহাকার মেটাতে ট্যাঙ্কার এনে দুয়ারে জল, ভোটের মুখে পৌরনিগমকে তোপ অগ্নিমিত্রার

স্থানীয় বাসিন্দা মেঘনাথ নস্কর বলছেন, ‘‘এই গরমে জল না পাওয়াতে প্রতি বছর পৌরনিগমের জলের গাড়ি এসে বাড়ি বাড়ি জল দেয়। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চেয়ে মেয়রের কাছে আর্জিও জানিয়েছি ৷’’

কলকাতার মাটির নিচে জল ক্রমশ কমছে সেই নিয়ে ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছে ৷ পাশাপাশি জল তল কমায় এই জলে আর্সেনিক ও আয়রনের পরিমাণও বাড়ছে। ফলে এই জল পান করা দূরের কথা ব্যাবহার করাও অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে ৷ বিষয়টি মাথায় রেখে যদি না পর্যাপ্ত পরিশ্রুত জল পৌরনিগম দিতে পারে, তাহলে কোনও নতুন বহুতলের নকশা অনুমোদন দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম ৷

কলকাতা, 10 এপ্রিল : গরমের শুরুতেই জল সঙ্কটের আশঙ্কায় ভুগছেন কালিকাপুর গীতাঞ্জলি পার্ক এলাকার বাসিন্দারা (Water Crisis in Kalikapur Geetanjali Park of KMC Area) ৷ যতদিন যাচ্ছে পানীয় জলের সংকট আরও তীব্র হচ্ছে কালিকাপুরে ৷ অভিযোগ, কলকাতা পৌরনিগমের এই এলাকায় কোনও পরিশ্রুত পানীয় জলের লাইন নেই ৷ ফলে একমাত্র ভরসা ভূগর্ভস্থ জল ৷ ডিপ টিউবওয়েলই ওই এলাকার একমাত্র ভরসা ৷ আর সেই জল তুলে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয় কলকাতা পৌরনিগম ৷

তবে, মাটির নিচের জলের স্তর ক্রমশ কমতে থাকায় এবার সেই জল পেতে নাকানিচবানি খেতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে ৷ গরমের শুরুতেই স্থানীয় বাসিন্দারা জল সংকটের আশঙ্কায় দিন গুনছেন ৷ এই সমস্যার কথা বাসিন্দারা ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচিতে আগেও জানিয়েছেন ৷ সেই অভিযোগের জবাবে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কালিকাপুরে গীতাঞ্জলি পার্ক এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছে দিতে অন্তত দু’বছর সময় লাগবে ৷

গরমের শুরুতেই জল সংকটের আশঙ্কায় কালিকাপুর গীতাঞ্জলি পার্কের বাসিন্দারা

এলাকার বাসিন্দা কুমারেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘এই গীতাঞ্জলি পার্ক এলাকায় ধাপা বা গার্ডেনরিচ কোনও জায়গা থেকেই জল আসে না ৷ ফলে ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভর করতে হয় ৷ কিন্তু, গরমের সময় মাটির নিচের জলের স্তর এত নিচে নেমে যায় যে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় ৷ এখানে তিনবার জায়গা পরিবর্তন করতে হয়েছে নলকূপের ৷ আমরা আশঙ্কা করছি ফের নলকূপের সরাতে হলে জল বন্ধ থাকবে মাসখানেক ৷’’

আরও পড়ুন : Water Crisis at Asansol : জলের হাহাকার মেটাতে ট্যাঙ্কার এনে দুয়ারে জল, ভোটের মুখে পৌরনিগমকে তোপ অগ্নিমিত্রার

স্থানীয় বাসিন্দা মেঘনাথ নস্কর বলছেন, ‘‘এই গরমে জল না পাওয়াতে প্রতি বছর পৌরনিগমের জলের গাড়ি এসে বাড়ি বাড়ি জল দেয়। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চেয়ে মেয়রের কাছে আর্জিও জানিয়েছি ৷’’

কলকাতার মাটির নিচে জল ক্রমশ কমছে সেই নিয়ে ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছে ৷ পাশাপাশি জল তল কমায় এই জলে আর্সেনিক ও আয়রনের পরিমাণও বাড়ছে। ফলে এই জল পান করা দূরের কথা ব্যাবহার করাও অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে ৷ বিষয়টি মাথায় রেখে যদি না পর্যাপ্ত পরিশ্রুত জল পৌরনিগম দিতে পারে, তাহলে কোনও নতুন বহুতলের নকশা অনুমোদন দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.