কলকাতা, 17 জুন : আই এম বিজয়নের নাম পদ্মশ্রীর জন্য পাঠাল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কারের ক্রমপর্যায়ে চার নম্বরে রয়েছে পদ্মশ্রী। কেরালার ত্রিচূড়ের অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে বিজয়নের উঠে আসা। অর্থ উপার্জনের জন্যে একসময় ত্রিচূড়ের ফুটবল মাঠের গ্যালারিতে সোডার বোতল এবং সিগারেট বিক্রি করতেন আই এম বিজয়ন। মাত্র 17 বছর বয়সে কেরালা পুলিশের হয়ে ফুটবল জীবন শুরু করা বিজয়ন তারপরই কলকাতায় চলে আসেন। মোহনবাগানের জার্সিতে নিজের সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরেন। এরপর FC কোচি, JCT , চার্চিল ব্রাদার্স এবং ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেন। একসময় দেশের হায়েস্ট পেইড ফুটবলার JCT-র জার্সি গায়ে প্রথম জাতীয় লিগ জয়ের কৃতিত্ব দেখান ।
1989 সালে দেশের হয়ে প্রথম ফুটবল খেলা কিংবদন্তি ভারতীয় স্ট্রাইকার 66টি ম্যাচ খেলেছেন। জাতীয় দলের হয়ে 40টি গোল রয়েছে । 1999 সালে ভারতীয় দলের হয়ে 13টি ম্যাচে 10টি গোল করেছিলেন। সাফ কাপে ভুটানের বিরুদ্ধে 12 সেকেন্ডে গোল করে আর্ন্তজাতিক ফুটবলে দ্রুততম গোলের নজির তাঁর দখলে । 1999 সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।
2006 সালে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে খেলে অবসর নেন। 1992, 1997 এবং 2000 সালে বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন । 2003 সালে অর্জুন পুরস্কারে সম্মানিত আই এম বিজয়ন কেরালা পুলিশের পদস্থ কর্মী । দক্ষিণের সিনেমায় অভিনয় করেছেন । অত্যন্ত কুশলী স্ট্রাইকারকে মালয়েশিয়ার ক্লাব ফুটবলে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আক্রমণভাগে বাইচুঙের সঙ্গে তাঁর জুটি প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের দুঃস্বপ্নের ছিল। ভারতীয় ফুটবলে অবদানের জন্য এবার পদ্মসম্মানের জন্য মনোনয়ন পাঠাল ফেডারেশন। তাঁকে এই সম্মানের জন্য মনোনীত করায় বিজয়ন ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।