ETV Bharat / city

শনিবার ভ্যাকসিনেশন, না কোভিশিল্ডের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল ? প্রশ্ন চিকিৎসক সংগঠনের - কোভিশিল্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলল সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম

রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের তরফে প্রশ্ন তোলা হল, 16 জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে তড়িঘড়ি কোভিড 19-এর ভ্যাকসিনেশন শুরু হচ্ছে । কতটা মানবকল্যাণে, কতটাই-বা ব‍্যবসায়িক ও ভোটের চটকদারি উদ্দেশ্যে ?

vaccination-of-covishield-is-trial-or-implement-questioned-service-doctors-forum
vaccination-of-covishield-is-trial-or-implement-questioned-service-doctors-forum
author img

By

Published : Jan 15, 2021, 9:21 PM IST

কলকাতা, 15 জানুয়ারি: শনিবার, 16 জানুয়ারি এ-রাজ্যে কোভিড 19-এর ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হচ্ছে, না কি তার তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে ? প্রশ্ন তুলল এ-রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম । এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সংগঠনটি । একই সঙ্গে সংগঠনের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, পুরোদমে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু করার আগে এর বিজ্ঞানভিত্তিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার ফলাফল মানুষকে জানানো হোক ।

জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য কোভিড 19-এর দুটি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । শনিবার, 16 জানুয়ারি থেকে দেশে এই ভ্যাকসিনের দেওয়া শুরু করা হচ্ছে । রাজ্যে এসেছে কোভিড 19-এর ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড । শনিবার থেকে যা দেওয়া শুরু হবে রাজ্যে । এই পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের তরফে প্রশ্ন তোলা হল, 16 জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে তড়িঘড়ি কোভিড 19-এর ভ্যাকসিনেশন শুরু হচ্ছে । কতটা মানবকল্যাণে হচ্ছে ? কতটাই-বা ব‍্যবসায়িক ও ভোটের চটকদারি উদ্দেশ্যে হচ্ছে ? সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে কোভিশিল্ড সংক্রান্ত যে সব বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে, সেগুলি হল:

1 ) কোভিড 19 যেভাবে গোটা বিশ্বের জনজীবন বিপর্যস্ত করেছে এবং এখনও করে চলেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে সকলেই এর থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজছেন । ভ্যাকসিন সকলের মনে আশার আলো জাগাবে, এটাই স্বাভাবিক‌ । এই সংগঠনও চেয়েছে ভ্যাকসিন গবেষণার প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে মেনে দ্রুত ভ্যাকসিন আসুক । কিন্তু বাস্তবে যে ভ্যাকসিনগুলি বাজারে এসে গিয়েছে, সেগুলি কি বৈজ্ঞানিক ওই সব ধাপ মেনে এসেছে ?

2 ) কেন এই ভ্যাকসিনেশন ? কোভিড 19 নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিনেশনের ভূমিকাই কতটুকু ? হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলতে হলে কমপক্ষে 70 শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনেশন করা দরকার (যদি ভ্যাকসিনটির 100 শতাংশ এফিকেসি থাকে) ‌। কিন্তু, কোভিশিল্ডের এফিকেসি মাত্র 70 শতাংশ ৷ এবং যতদুর জানা গিয়েছে ইমিউনিটি বজায় থাকবে মাত্র ছয় মাস পযর্ন্ত । অর্থাৎ, যদি ভারতের প্রায় 130 কোটি মানুষকেই ভ্যাকসিনেশন করাতে হয় এবং প্রথম দু'টি ডোজ় দেওয়ার পরেও ছয় মাস বাদে বাদে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া চালু রাখতে হয়, সরকার যেখানে দায়িত্ব নিয়েছে মাত্র 30 কোটির, সেখানে কীভাব কোভিড 19 প্রতিরোধ হবে, বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার ।

ভ্যাকসিনেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলল সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম ৷

আরও পড়ুন: দিল্লির 75টি হাসপাতালে কোভিশিল্ড, 6টি হাসপাতালে কোভ্যাকসিন দেওয়া হবে

3 ) জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে গবেষণার সময়সীমা কমানো যেতে পারে । কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই সব ট্রায়াল সম্পন্ন না করেই এর উপসংহারে আসা যায় না । কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে অক্সফোর্ডের গবেষণাতে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়াল ওভারল‍্যাপিং করা হয়েছে । ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট কী গবেষণা করেছে, তা প্রকাশিতও নয় । যে কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার আগে তার গবেষণাপত্রটি অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত কোনও মেডিকেল জার্নালে প্রকাশ করতে হয় । ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের আগে তার সম্পর্কে মানুষ যাতে জানতে পারে, এটাই স্বাভাবিক । যা করা হয়নি ৷

4) এদেশে কোভিড 19-এর ভ্যাকসি‌ন কোভিশিল্ডের উৎপাদন শুরু হয়েছে গত অক্টোবর মাসে । এদিকে, চলতি জানুয়ারি মাসে এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে দেশের এথিক‍্যাল কমিটি । ছাড়পত্র পাওয়ায় পরেই কেবলমাত্র কোনও ওষুধ বা ভ‍্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করার কথা । এক্ষেত্রে সেই নৈতিকতা লঙ্ঘিত হয়েছে ।

5) এই ভ্যাকসিনের গায়ে ডেট অফ এক্সপায়রি লেখা থাকলেও তা খুবই স্বল্প মেয়াদের । ভ্যাকসিন বা ওষুধের ক্ষেত্রে মেয়াদ এত স্বল্প হয় না । ফলে এর কার্যকারিতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকে যাচ্ছে । তাছাড়া এই ভ‍্যাকসিনটি যেখানে এপ্রিল মাসেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে, সেখানে এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই কোটি কোটি মানুষকে কোভিড 19-এর অ্যাপ্রোপ্রিয়েট বিহ‍েভিয়ার মেনে ভ্যাকসিনেশন করার মতো পরিকাঠামো এ-দেশে নেই । তড়িঘড়ি ভ্যাকসিনেশন করতে গেলে হীতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।

6) কোভিশিল্ড, এই ভ্যাকসিনের ভায়ালের গায়ে ভি ভি এম (ভ্যাকসিন ভায়াল মনিটর) নেই । যার সাহায্য নিয়ে বোঝা যায় তাপমাত্রার হেরফেরে এই ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নষ্ট হচ্ছে কি না । দেশজুড়ে এই ভ্যাকসিনটির সরবরাহ হবে এবং বহু স্থানে যেখানে কোল্ড চেইন সিস্টেম সঠিক নেই, সেখানে তাপমাত্রার হেরফেরের কারণে ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে কি না, তা বোঝারও কোনও উপায় থাকছে না ।

7) ভ্যাকসিনেশনের ফলে মানুষের মধ্যে একটা আত্মসন্তুষ্টির ভাব আসবে । কম এফিকেসি সম্পন্ন ভ্যাকসিন যেখানে সুরক্ষা দিতে পারবে না, আবার কোভিড 19 অ্যাপ্রোপিয়েট বিহেভিয়ারও মেইনটেইন হবে না । এর ফলে কোভিড 19-এর সংক্রমণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে ।

সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "অধিক মুনাফার স্বার্থেই উপযুক্ত সময় দিয়ে গবেষণা না করে কর্পোরেট কোম্পানিগুলি তড়িঘড়ি ভ্যাকসিন বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে ৷ রাজনৈতিক স্বার্থে মুখে মানুষের কল‍্যাণের কথা বলে অমীমাংসিত ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে তড়িঘড়ি প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে মনে করছি আমরা ।" তিনি আরও বলেন, "16 জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিনের ইম্প্লিমেন্ট শুরু হবে, না কি কোভিশিল্ডের থার্ড ফেজ়ের ট্রায়াল শুরু হবে ? বুঝতে পারছি না । এই বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে ।"

কলকাতা, 15 জানুয়ারি: শনিবার, 16 জানুয়ারি এ-রাজ্যে কোভিড 19-এর ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হচ্ছে, না কি তার তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে ? প্রশ্ন তুলল এ-রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম । এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সংগঠনটি । একই সঙ্গে সংগঠনের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, পুরোদমে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু করার আগে এর বিজ্ঞানভিত্তিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার ফলাফল মানুষকে জানানো হোক ।

জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য কোভিড 19-এর দুটি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । শনিবার, 16 জানুয়ারি থেকে দেশে এই ভ্যাকসিনের দেওয়া শুরু করা হচ্ছে । রাজ্যে এসেছে কোভিড 19-এর ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড । শনিবার থেকে যা দেওয়া শুরু হবে রাজ্যে । এই পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের তরফে প্রশ্ন তোলা হল, 16 জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে তড়িঘড়ি কোভিড 19-এর ভ্যাকসিনেশন শুরু হচ্ছে । কতটা মানবকল্যাণে হচ্ছে ? কতটাই-বা ব‍্যবসায়িক ও ভোটের চটকদারি উদ্দেশ্যে হচ্ছে ? সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে কোভিশিল্ড সংক্রান্ত যে সব বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে, সেগুলি হল:

1 ) কোভিড 19 যেভাবে গোটা বিশ্বের জনজীবন বিপর্যস্ত করেছে এবং এখনও করে চলেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে সকলেই এর থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজছেন । ভ্যাকসিন সকলের মনে আশার আলো জাগাবে, এটাই স্বাভাবিক‌ । এই সংগঠনও চেয়েছে ভ্যাকসিন গবেষণার প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে মেনে দ্রুত ভ্যাকসিন আসুক । কিন্তু বাস্তবে যে ভ্যাকসিনগুলি বাজারে এসে গিয়েছে, সেগুলি কি বৈজ্ঞানিক ওই সব ধাপ মেনে এসেছে ?

2 ) কেন এই ভ্যাকসিনেশন ? কোভিড 19 নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিনেশনের ভূমিকাই কতটুকু ? হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলতে হলে কমপক্ষে 70 শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনেশন করা দরকার (যদি ভ্যাকসিনটির 100 শতাংশ এফিকেসি থাকে) ‌। কিন্তু, কোভিশিল্ডের এফিকেসি মাত্র 70 শতাংশ ৷ এবং যতদুর জানা গিয়েছে ইমিউনিটি বজায় থাকবে মাত্র ছয় মাস পযর্ন্ত । অর্থাৎ, যদি ভারতের প্রায় 130 কোটি মানুষকেই ভ্যাকসিনেশন করাতে হয় এবং প্রথম দু'টি ডোজ় দেওয়ার পরেও ছয় মাস বাদে বাদে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া চালু রাখতে হয়, সরকার যেখানে দায়িত্ব নিয়েছে মাত্র 30 কোটির, সেখানে কীভাব কোভিড 19 প্রতিরোধ হবে, বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার ।

ভ্যাকসিনেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলল সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম ৷

আরও পড়ুন: দিল্লির 75টি হাসপাতালে কোভিশিল্ড, 6টি হাসপাতালে কোভ্যাকসিন দেওয়া হবে

3 ) জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে গবেষণার সময়সীমা কমানো যেতে পারে । কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই সব ট্রায়াল সম্পন্ন না করেই এর উপসংহারে আসা যায় না । কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে অক্সফোর্ডের গবেষণাতে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়াল ওভারল‍্যাপিং করা হয়েছে । ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট কী গবেষণা করেছে, তা প্রকাশিতও নয় । যে কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার আগে তার গবেষণাপত্রটি অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত কোনও মেডিকেল জার্নালে প্রকাশ করতে হয় । ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের আগে তার সম্পর্কে মানুষ যাতে জানতে পারে, এটাই স্বাভাবিক । যা করা হয়নি ৷

4) এদেশে কোভিড 19-এর ভ্যাকসি‌ন কোভিশিল্ডের উৎপাদন শুরু হয়েছে গত অক্টোবর মাসে । এদিকে, চলতি জানুয়ারি মাসে এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে দেশের এথিক‍্যাল কমিটি । ছাড়পত্র পাওয়ায় পরেই কেবলমাত্র কোনও ওষুধ বা ভ‍্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করার কথা । এক্ষেত্রে সেই নৈতিকতা লঙ্ঘিত হয়েছে ।

5) এই ভ্যাকসিনের গায়ে ডেট অফ এক্সপায়রি লেখা থাকলেও তা খুবই স্বল্প মেয়াদের । ভ্যাকসিন বা ওষুধের ক্ষেত্রে মেয়াদ এত স্বল্প হয় না । ফলে এর কার্যকারিতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকে যাচ্ছে । তাছাড়া এই ভ‍্যাকসিনটি যেখানে এপ্রিল মাসেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে, সেখানে এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই কোটি কোটি মানুষকে কোভিড 19-এর অ্যাপ্রোপ্রিয়েট বিহ‍েভিয়ার মেনে ভ্যাকসিনেশন করার মতো পরিকাঠামো এ-দেশে নেই । তড়িঘড়ি ভ্যাকসিনেশন করতে গেলে হীতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।

6) কোভিশিল্ড, এই ভ্যাকসিনের ভায়ালের গায়ে ভি ভি এম (ভ্যাকসিন ভায়াল মনিটর) নেই । যার সাহায্য নিয়ে বোঝা যায় তাপমাত্রার হেরফেরে এই ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নষ্ট হচ্ছে কি না । দেশজুড়ে এই ভ্যাকসিনটির সরবরাহ হবে এবং বহু স্থানে যেখানে কোল্ড চেইন সিস্টেম সঠিক নেই, সেখানে তাপমাত্রার হেরফেরের কারণে ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে কি না, তা বোঝারও কোনও উপায় থাকছে না ।

7) ভ্যাকসিনেশনের ফলে মানুষের মধ্যে একটা আত্মসন্তুষ্টির ভাব আসবে । কম এফিকেসি সম্পন্ন ভ্যাকসিন যেখানে সুরক্ষা দিতে পারবে না, আবার কোভিড 19 অ্যাপ্রোপিয়েট বিহেভিয়ারও মেইনটেইন হবে না । এর ফলে কোভিড 19-এর সংক্রমণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে ।

সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "অধিক মুনাফার স্বার্থেই উপযুক্ত সময় দিয়ে গবেষণা না করে কর্পোরেট কোম্পানিগুলি তড়িঘড়ি ভ্যাকসিন বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে ৷ রাজনৈতিক স্বার্থে মুখে মানুষের কল‍্যাণের কথা বলে অমীমাংসিত ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে তড়িঘড়ি প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে মনে করছি আমরা ।" তিনি আরও বলেন, "16 জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিনের ইম্প্লিমেন্ট শুরু হবে, না কি কোভিশিল্ডের থার্ড ফেজ়ের ট্রায়াল শুরু হবে ? বুঝতে পারছি না । এই বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.