কলকাতা, 29 নভেম্বর : ডিসেম্বর মাসেও রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খুলছে না । আগের মতো অনলাইনে চলবে ক্লাস । আজ রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নেন । এমনকী পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা অনলাইনে কী করে নেওয়া যায় তার জন্য পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে উপাচার্যদের ।
ডিসেম্বর থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের দরজা পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরে । সে প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, "উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।" সেই অনুযায়ী আজ রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । ওই বৈঠকে ডিসেম্বর মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি না খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । অর্থাৎ, এখন পড়ুয়াদের সশরীরে ক্লাস হবে না । তবে, অনলাইন মাধ্যমে যেভাবে ক্লাস চলছিল তা আগের মতোই চলবে । জানা গেছে, বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যে স্কুল খুললেও কোরোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ায় ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলি এখনই খুলছে না সেহেতু সাবধানতা অবলম্বন করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠকে প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা, পঠন-পাঠন ও পরীক্ষা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে । জানা গেছে, এখনই বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ না খোলার এবং অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষাও অনলাইন মাধ্যমে নেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে বলা হয়েছে । পরিস্থিতির পরিবর্তন না ঘটলে আগামী যা যা পরীক্ষা রয়েছে সেগুলি অনলাইনেই যাতে নেওয়া যায় সেই বিষয়ে পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে উপাচার্যদের । পাশাপাশি সব পড়ুয়াদের কাছে অনলাইন মাধ্যমে পৌঁছানো সম্ভব নয় । সে কথা স্বীকার করে পড়ুয়াদের স্বার্থে প্রথম সেমেস্টারের পাঠ্যক্রমে কাটছাঁট করার কথাও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে ।
পাঠ্যক্রম কতটা কমানো হবে সেবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে । অন্যদিকে, রাজ্যের অধিকাংশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের বহু আসন ফাঁকা রয়েছে । সেক্ষেত্রে আসন খালি থাকলে 15 দিন ভরতির প্রক্রিয়া বাড়ানো যাবে বলে এদিন উপাচার্যদের জানানো হয়েছে । জানা গেছে, যেখানে যে পরিমাণ ফাঁকা আসন রয়েছে সেই অনুযায়ী 15 দিন পর্যন্ত ভরতির প্রক্রিয়া চালানো যেতে পারে । যেহেতু, বহু পড়ুয়া কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতির পর সরকারি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করে থাকেন, তাই স্কলারশিপে আবেদনের সময়সীমাও বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে ।