কলকাতা, 19 নভেম্বর: কোরোনায় সংক্রমিত হওয়ার পরবর্তী সময় অর্থাৎ পোস্ট কোভিডে তিন দিনে অল্প বয়সি দুই চিকিৎসকের মৃত্যু হল কলকাতায়। যার জেরে চিকিৎসকদের মধ্যে বেড়ে গিয়েছে উদ্বেগ, আতঙ্ক। কোরোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার পরও আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই দুই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে ৷
কোরোনার সংক্রমণের কারণে হার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শুধুমাত্র তাই নয়। কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠলে অর্থাৎ রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার পরও হার্ট অ্যাটাক-ও হতে পারে। তবে, এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে 69 জন চিকিৎসকের মৃত্যু হলেও গত তিন দিনে পোস্ট কোভিডে দুই চিকিৎসকের মৃত্যু হল কলকাতায়। এই দুই চিকিৎসকের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে গত সোমবার। আর, অন্য জনের মৃত্যু হয়েছে বুধবার। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম (WBDF)-এর তরফে জানানো হয়েছে, কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বছর 38-এর এক চিকিৎসক। মেডিসিনের এই চিকিৎসক লেক গার্ডেন্স এলাকায় প্র্যাকটিস করতেন। টালিগঞ্জে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। কোরোনা নেগেটিভ হওয়ার পর ফের কাজে ফিরেছিলেন তিনি। বুধবার সকালে তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য সুযোগ পাওয়া যায়নি। বাড়িতেই মৃত্যু হয় ওই চিকিৎসকের।
WBDF-এর তরফে জানানো হয়েছে, 16 নভেম্বর বছর 50-এর যে চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে, তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ছিলেন। কোরোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর তিনিও কাজে ফিরেছিলেন। তবে গত সোমবার সকালে এই চিকিৎসকেরও হার্ট অ্যাটাক হয়। তিনি তখন বাড়িতে একা ছিলেন। এই চিকিৎসকের ক্ষেত্রেও চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায়নি। বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। পোস্ট কোভিডে হার্ট অ্যাটাকের কারণে মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। তবে এখনও পর্যন্ত কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এ রাজ্যে যত জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এই প্রথম পোস্ট কোভিডে দুই চিকিৎসকের মৃত্যু হল বলে জানতে পেরেছে WBDF।
পোস্ট-কোভিডে এভাবে দুই চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশে উদ্বেগ-আতঙ্ক বেড়ে গিয়েছে ৷ WBDF-এর যুগ্ম সম্পাদক চিকিৎসক রাজীব পান্ডে বলেন, গত তিন দিনে পোস্ট কোভিডে এই দুই চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁরা চিন্তায় রয়েছেন।