কলকাতা, 9 মার্চ : রাজ্যপালের ভাষণের দিন অসংসদীয় আচরণের জন্য বাজেট অধিবেশনে থেকে সাসপেন্ড করা হল বিজেপির দুই বিধায়ককে (BJP MLA Suspend)। মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায় বিজেপির এই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা রাজ্যপালের ভাষণের দিন বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন এবং অসংসদীয় আচরণ করেছেন । বিধানসভায় রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং পুরুলিয়া সদরের বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন । এই ঘটনার জন্য দু'জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করেন ।
এদিন পার্থ দুই বিধায়কের উপর সাসপেনশনের একটি প্রস্তাব বিধানসভায় নিয়ে আসেন, যা ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে যায় । এই দুই বিধায়ককে চলতি অধিবেশনের বাকিটা সময় সাসপেন্ড করা হয় । 7 তারিখ বিধানসভায় রাজ্যপাল পৌঁছানোর পর প্রায় এক ঘণ্টা বিজেপি বিধায়করা যেভাবে হট্টগোল ও বিক্ষোভ দেখান তার কারণে রাজ্যপাল প্রায় 1 ঘণ্টা 6 মিনিট পর্যন্ত তাঁর বক্তব্য পেশ করতে পারেননি । এই ঘটনাকে রাজ্য রাজনীতিতে একটি নজিরবিহীন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে ।
সেদিনের ঘটনা উল্লেখ করে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভা কক্ষে বলেন, "ঐদিনের এই ঘটনাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায় । এক্ষেত্রে তারা যে আচরণ করেছিলেন তা বিধানসভার রীতিনীতি ও কার্যপ্রণালীর ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয় । এই ঘটনাকে যদি হালকাভাবে নেওয়া হয় পরবর্তীতে তা বিধানসভার গরিমার ক্ষেত্রে হানিকর হতে পারে ৷ আর সেই কারণেই তিনি এই দুই বিধায়কের ভূমিকার কড়া নিন্দা করেন ৷ একই সঙ্গে তাঁদের সাসপেনশনের পক্ষে সওয়াল করেন ।"
আরও পড়ুন: স্কুলের গাফিলতিতেই কৃত্তিকার মৃত্যু, দাবি করে মামলার আর্জি হাইকোর্টে
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই মুহূর্তে বিধানসভায় নেই । সরকারিভাবে তাই বিজেপি পরিষদীয় দল এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করছে না । তবে ব্যক্তিগতভাবে নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী জানিয়েছেন, মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে এই ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে । রাজ্যের সাধারণ মানুষ একে কখনই মেনে নেবে না । অন্যদিকে সুদীপ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সরকার যে আচরণ করছে তাকে যথাযোগ্য বলে দেখছেন না । এই ঘটনায় সরকারের একনায়কতন্ত্রের চেহারাই প্রকট হবে ।