ETV Bharat / city

TMC Position in Opposition Alliance: সমাবেশে মমতার জোটবার্তা, বিকেলেই জোটে ফাটল তৃণমূলের সিদ্ধান্তে - বিরোধী জোটে ফাটল তৃণমূলের সিদ্ধান্তে

উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ এই সিদ্ধান্ত বিরোধী জোটে ফাটল ধরাবে বলে মনে করা হচ্ছে (trouble in opposition Alliance due to the decision of TMC for vice president election) ৷

TMC Position in Opposition Alliance
বিরোধী জোটে ফাটল তৃণমূলের সিদ্ধান্তে
author img

By

Published : Jul 21, 2022, 11:00 PM IST

কলকাতা,21 জুলাই: বৃহস্পতিবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে জোটবার্তা দিয়েও দিনের শেষে বিজেপি বিরোধী দলগুলির নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবকেই এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস । আর তাতেই দিনের শেষে প্রশ্ন উঠে গেল সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে বাস্তবে কতটা সিরিয়াস এই রাজ্যের শাসক দল (trouble in opposition Alliance due to the decision of TMC for vice president election) ।

অতীতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি'কে হারাতে হলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির একজোট হওয়া জরুরি । ব্যক্তি স্বার্থ ছেড়ে বৃহত্তর স্বার্থে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেন তিনি । মূলত এই প্রশ্নে তার দলকে বারবার সরব হতেও দেখা গিয়েছে । সবচেয়ে বড় কথা, বৃহস্পতিবার 21 জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেও মমতা জানিয়েছিলেন, 2024 এর লোকসভা নির্বাচন কাউকে বেছে দেওয়ার নয়, 2024-এর নির্বাচন বিজেপিকে উত্‍খাত করার । তাঁর কথায়, "মনে রাখবেন 2024 এ ইলেকশন নয়, হবে রিজেকেশনের নির্বাচন ।" তৃণমূল সুপ্রিমো এইসব বলতে গিয়ে আরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন । এদিন তিনি জানান, 2024 সালে একার ক্ষমতায় সরকার গড়তে পারবে না বিজেপি । আর তাহলেই বাকিরা একজোট হবে । অর্থাৎ 2024 এ দিল্লিতে বিরোধীরাই হবে 'বিকল্প' সরকারের প্রাণকেন্দ্র । তিনি এও বলেন, যেভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের উদ্যোগে বিরোধীরা একজোট হয়েছে, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে হঠাতেও একই ছবি দেখা যাবে ।

আরও পড়ুন: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেবে না তৃণমূল, দলীয় বৈঠকের পর জানালেন অভিষেক

সমাবেশে উপস্থিত লাখ লাখ মানুষকে সাক্ষী রেখে তৃণমূল সুপ্রিমোর স্লোগান, "2024 এ বিজেপির কারাগার ভাঙো, মানুষের সরকার আনো ।" এই পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও বিকেলে সংসদীয় দলের বৈঠকের পর অবস্থান বদলে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের । বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, বিরোধীদের প্রার্থী হলেও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মার্গারেট আলভার পাশে থাকবে না তৃণমূল । এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনকড়কেও তৃণমূল সমর্থন করবে না ৷ তাই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকবে তৃণমূল ৷

আরও পড়ুন: তৃণমূল হোক একমাত্র আদর্শ রাজনৈতিক দল, একুশের মঞ্চ থেকে জানালেন মমতা

এক্ষেত্রে এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনকড়কে সমর্থন না-করলেও যেভাবে তৃণমূলকে এড়িয়ে বিরোধী প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে তা সমর্থনযোগ্য নয় বলেই যুক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ৷ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তৃণমূল কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর যে কাজ শুরু হয়েছিল তার জন্য বড় ধাক্কা । এবার অবশ্য বিজেপি বিরোধী জোটে ফাঁটলের পিছনে রয়েছে মমতার দলই, সমালোচকরা এমনটাই বলছেন । যদিও সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য মেনে নিতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।

তাঁর বক্তব্য, মার্গারেট আলভাকে সমর্থন না করার পরও বিরোধী ঐক্যে কোনও প্রভাব পড়বে না । যদিও এদিন এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস ও সিপিএম । এআইসিসির সদস্য শুভঙ্কর সরকার এই প্রসঙ্গে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে বিশ্বাস করা যায় না । এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যে জোটের কথা বলতেন তা কি এই রামধনু জোট? আপনারা যদি দেখেন ধারাবাহিকভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসই দেশের বিশ্বাসযোগ্য শক্তি । মমতার অবস্থান সেখানে কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টির মতো ।" অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "তৃণমূলের অতীত দেখলে এমনটাই হওয়ার ছিল । যা হওয়ার তাই হয়েছে ।"

কলকাতা,21 জুলাই: বৃহস্পতিবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে জোটবার্তা দিয়েও দিনের শেষে বিজেপি বিরোধী দলগুলির নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবকেই এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস । আর তাতেই দিনের শেষে প্রশ্ন উঠে গেল সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে বাস্তবে কতটা সিরিয়াস এই রাজ্যের শাসক দল (trouble in opposition Alliance due to the decision of TMC for vice president election) ।

অতীতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি'কে হারাতে হলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির একজোট হওয়া জরুরি । ব্যক্তি স্বার্থ ছেড়ে বৃহত্তর স্বার্থে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেন তিনি । মূলত এই প্রশ্নে তার দলকে বারবার সরব হতেও দেখা গিয়েছে । সবচেয়ে বড় কথা, বৃহস্পতিবার 21 জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেও মমতা জানিয়েছিলেন, 2024 এর লোকসভা নির্বাচন কাউকে বেছে দেওয়ার নয়, 2024-এর নির্বাচন বিজেপিকে উত্‍খাত করার । তাঁর কথায়, "মনে রাখবেন 2024 এ ইলেকশন নয়, হবে রিজেকেশনের নির্বাচন ।" তৃণমূল সুপ্রিমো এইসব বলতে গিয়ে আরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন । এদিন তিনি জানান, 2024 সালে একার ক্ষমতায় সরকার গড়তে পারবে না বিজেপি । আর তাহলেই বাকিরা একজোট হবে । অর্থাৎ 2024 এ দিল্লিতে বিরোধীরাই হবে 'বিকল্প' সরকারের প্রাণকেন্দ্র । তিনি এও বলেন, যেভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের উদ্যোগে বিরোধীরা একজোট হয়েছে, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে হঠাতেও একই ছবি দেখা যাবে ।

আরও পড়ুন: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেবে না তৃণমূল, দলীয় বৈঠকের পর জানালেন অভিষেক

সমাবেশে উপস্থিত লাখ লাখ মানুষকে সাক্ষী রেখে তৃণমূল সুপ্রিমোর স্লোগান, "2024 এ বিজেপির কারাগার ভাঙো, মানুষের সরকার আনো ।" এই পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও বিকেলে সংসদীয় দলের বৈঠকের পর অবস্থান বদলে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের । বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, বিরোধীদের প্রার্থী হলেও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মার্গারেট আলভার পাশে থাকবে না তৃণমূল । এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনকড়কেও তৃণমূল সমর্থন করবে না ৷ তাই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকবে তৃণমূল ৷

আরও পড়ুন: তৃণমূল হোক একমাত্র আদর্শ রাজনৈতিক দল, একুশের মঞ্চ থেকে জানালেন মমতা

এক্ষেত্রে এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনকড়কে সমর্থন না-করলেও যেভাবে তৃণমূলকে এড়িয়ে বিরোধী প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে তা সমর্থনযোগ্য নয় বলেই যুক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ৷ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তৃণমূল কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর যে কাজ শুরু হয়েছিল তার জন্য বড় ধাক্কা । এবার অবশ্য বিজেপি বিরোধী জোটে ফাঁটলের পিছনে রয়েছে মমতার দলই, সমালোচকরা এমনটাই বলছেন । যদিও সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য মেনে নিতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।

তাঁর বক্তব্য, মার্গারেট আলভাকে সমর্থন না করার পরও বিরোধী ঐক্যে কোনও প্রভাব পড়বে না । যদিও এদিন এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস ও সিপিএম । এআইসিসির সদস্য শুভঙ্কর সরকার এই প্রসঙ্গে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে বিশ্বাস করা যায় না । এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যে জোটের কথা বলতেন তা কি এই রামধনু জোট? আপনারা যদি দেখেন ধারাবাহিকভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসই দেশের বিশ্বাসযোগ্য শক্তি । মমতার অবস্থান সেখানে কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টির মতো ।" অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "তৃণমূলের অতীত দেখলে এমনটাই হওয়ার ছিল । যা হওয়ার তাই হয়েছে ।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.