ETV Bharat / city

গোডাউনে আলুর বস্তা লুকিয়ে রেখেছে তৃণমূল নেতারা : মান্নান - sujan chakrobarty

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বামপরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীর ৷ পাশাপাশি তাঁরা এই বিষয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন ৷

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Sep 4, 2020, 7:07 PM IST

কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর : এবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম-পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছেন, যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে মানুষ খাবে কী ?

লকডাউনে ঘরবন্দী মানুষ ৷ তার উপর মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া ৷ সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন দুই বিরোধী নেতা ৷ আবদুল মান্নান অভিযোগ জানিয়েছেন, পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস ওষুধ পত্র সহ নানাবিধ জরুরি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি মানুষের ওপর ভয়ানক চাপ সৃষ্টি করেছে । এর সঙ্গে গরীব মধ্যবিত্ত পরিবারের পরিবহনের খরচ, বিদ্যুতের দাম, চিকিৎসার খরচ, শিক্ষার ব্যয় ভারের মতো খরচ সব ধরনের সীমাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৷

শুধু রাজ্যই নয় পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তাঁরা ৷ দু'জনই অভিযোগ করে বলেছেন, কেন্দ্র এবং রাজ্যের উভয়ের সরকারের খাদ্য সরবরাহ সংক্রান্ত ঘোষণায় মানুষ খানিকটা আশ্বস্ত করলেও বাস্তবের সঙ্গে তা একেবারেই মিলছে না । রেশনে খাদ্যদ্রব্যের যথাযথ যোগান ও বণ্টন নেই । ভিন রাজ্যের অসংখ্য শ্রমিক ফিরে এসেছেন । কোরোনা সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত এবং রাজ্য সরকার আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত রাজ্যের মানুষকে খাদ্য দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা এখন গল্প কথা ৷ রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই তার ঘোষণা থেকে সরে এসেছে ৷ তারা কেউই প্রতিশ্রুতি মতো রেশনের খাদ্য দিচ্ছে না । মানুষকে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে ৷ তাঁদের আরও বক্তব্য, সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সন্ধানে বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন । মাছ-সবজি সহ প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আগুন । দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী । সরকারের ঘোষণা অথবা টাস্কফোর্সের দেখভালের নামে কার্যত প্রহসন হচ্ছে । সংশ্লিষ্ট তালিকার দিকে তাকালেই বোঝা যাবে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সময়কালে মূল্য বৃদ্ধির হার কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে । ক্রমবর্ধমান হারে এটা বেড়েই চলেছে ।

আবদুল মান্নানের বক্তব্য

যে কোনও জিনিসের দামই 2011 এর তুলনায় দ্বিগুণ, তিনগুণ, এমনকি চারগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে । বিরোধীদলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটি তালিকায় তুলনামূলক মূল্য তুলে ধরা হয়েছে । মিনিকেট চাল 2011 সালে প্রতি কেজির দাম ছিল কুড়ি টাকা । গতবছর একই চালের দাম দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে 40 টাকা । চলতি বছর সেই চালের দাম হয়েছে প্রতি কেজি 48 টাকা । আলুর দাম নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে । 2011 সালে 8 টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে । গত বছর সেই আলুর দাম প্রতিকেজি 22 টাকা দরে বাজারে পাওয়া গিয়েছে । এখন সেই আলুর দাম হয়েছে 34 থেকে 38 টাকা ।

বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, " তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী এবং পঞ্চায়েত প্রধানরা কালোবাজারি করছেন । কৃত্রিম উপায়ে আলুর দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে । গোডাউনে প্রচুর আলুর বস্তা লুকিয়ে রেখেছে তৃণমূলের নেতারা । সেই কারণে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে । "

কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর : এবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম-পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছেন, যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে মানুষ খাবে কী ?

লকডাউনে ঘরবন্দী মানুষ ৷ তার উপর মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া ৷ সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন দুই বিরোধী নেতা ৷ আবদুল মান্নান অভিযোগ জানিয়েছেন, পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস ওষুধ পত্র সহ নানাবিধ জরুরি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি মানুষের ওপর ভয়ানক চাপ সৃষ্টি করেছে । এর সঙ্গে গরীব মধ্যবিত্ত পরিবারের পরিবহনের খরচ, বিদ্যুতের দাম, চিকিৎসার খরচ, শিক্ষার ব্যয় ভারের মতো খরচ সব ধরনের সীমাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৷

শুধু রাজ্যই নয় পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তাঁরা ৷ দু'জনই অভিযোগ করে বলেছেন, কেন্দ্র এবং রাজ্যের উভয়ের সরকারের খাদ্য সরবরাহ সংক্রান্ত ঘোষণায় মানুষ খানিকটা আশ্বস্ত করলেও বাস্তবের সঙ্গে তা একেবারেই মিলছে না । রেশনে খাদ্যদ্রব্যের যথাযথ যোগান ও বণ্টন নেই । ভিন রাজ্যের অসংখ্য শ্রমিক ফিরে এসেছেন । কোরোনা সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত এবং রাজ্য সরকার আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত রাজ্যের মানুষকে খাদ্য দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা এখন গল্প কথা ৷ রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই তার ঘোষণা থেকে সরে এসেছে ৷ তারা কেউই প্রতিশ্রুতি মতো রেশনের খাদ্য দিচ্ছে না । মানুষকে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে ৷ তাঁদের আরও বক্তব্য, সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সন্ধানে বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন । মাছ-সবজি সহ প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আগুন । দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী । সরকারের ঘোষণা অথবা টাস্কফোর্সের দেখভালের নামে কার্যত প্রহসন হচ্ছে । সংশ্লিষ্ট তালিকার দিকে তাকালেই বোঝা যাবে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সময়কালে মূল্য বৃদ্ধির হার কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে । ক্রমবর্ধমান হারে এটা বেড়েই চলেছে ।

আবদুল মান্নানের বক্তব্য

যে কোনও জিনিসের দামই 2011 এর তুলনায় দ্বিগুণ, তিনগুণ, এমনকি চারগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে । বিরোধীদলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটি তালিকায় তুলনামূলক মূল্য তুলে ধরা হয়েছে । মিনিকেট চাল 2011 সালে প্রতি কেজির দাম ছিল কুড়ি টাকা । গতবছর একই চালের দাম দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে 40 টাকা । চলতি বছর সেই চালের দাম হয়েছে প্রতি কেজি 48 টাকা । আলুর দাম নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে । 2011 সালে 8 টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে । গত বছর সেই আলুর দাম প্রতিকেজি 22 টাকা দরে বাজারে পাওয়া গিয়েছে । এখন সেই আলুর দাম হয়েছে 34 থেকে 38 টাকা ।

বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, " তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী এবং পঞ্চায়েত প্রধানরা কালোবাজারি করছেন । কৃত্রিম উপায়ে আলুর দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে । গোডাউনে প্রচুর আলুর বস্তা লুকিয়ে রেখেছে তৃণমূলের নেতারা । সেই কারণে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে । "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.