ETV Bharat / city

Jawahar Sircar : জহর সরকার ইস্যুর সম্মানজনক সমাধান চাইছে তৃণমূল, কথা বলেছেন সুখেন্দুশেখর রায়

তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, তা নিয়ে সম্প্রতি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার (Jawahar Sircar) ৷ যা নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল ৷ সূত্রের খবর, এই বিষয়টির সম্মানজনক সমাধান চাইছে ঘাসফুল শিবির ৷ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুখেন্দুশেখর রায়কে ৷

Trinamool Congress wants to Conclude Jawhar Sircar Episode sans Controversy
Jawahar Sircar : জহর সরকার ইস্যুর সম্মানজনক সমাধান চাইছে তৃণমূল, কথা বলেছেন সুখেন্দুশেখর রায়
author img

By

Published : Sep 2, 2022, 6:39 PM IST

কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর : জহর সরকার (Jawahar Sircar) নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল । তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) নেতৃত্বের একে অপরের বিরুদ্ধে যেভাবে দোষারোপ পালটা দোষারোপ করছে, সবটাই নজরে এসেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) । তিনি এই বিষয় নিয়ে আর জল ঘোলা চান না । বরং গোটা বিষয়টির মধুরেণ সমাপয়েত চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস ।

এখনও পর্যন্ত যতটুকু খবর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জহর সরকারের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়টি একটা সমাধান চাইছে । এক্ষেত্রে তৃণমূল চলছে একটা সম্মানজনক সমাধান । যেভাবে জহর সরকার প্রকাশ্যে দল বিরোধী বক্তব্য রেখেছিলেন, সেটা অবশ্যই তৃণমূলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় । যেহেতু তিনি দলের মুখপাত্র নন, সে ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দল বলছে, ওই বক্তব্য একান্ত ভাবেই জহর সরকারের নিজের ।

রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদ জহর সরকার যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে তৃণমূল মনে করছে যে যদি তাঁর মমতার দলের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়, সেক্ষেত্রে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক । তবে সেক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হোক সম্মানজনক পথেই । নতুন করে কোনও বিতর্ক তৈরি না করে । জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায়কে এই বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । ইতিমধ্যেই যতদূর জানা গিয়েছে সুখেন্দুশেখর রায়, তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছেন । এরপর বল পুরোটাই যখন সরকারের কোর্টে ।

যদিও গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে অথবা জহর সরকার নিজে কিছুই বলেননি । এই নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি প্রতিক্রিয়া দেওয়া থেকে এড়িয়ে গিয়েছেন । তবে একটা জিনিস স্পষ্ট দলীয়ভাবেই তাঁর কাছে এই বার্তা যাওয়ার অর্থ, তাঁর বক্তব্যে তৃণমূল সুপ্রিমোও খুশি নন । যেহেতু তিনি বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে তিনি পদ ছেড়ে দিতেও প্রস্তুত । সেক্ষেত্রে তাঁকে সাংসদ পথ ছাড়ার জন্য জোর না দেওয়া হলেও তিনি চাইলেই যেকোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

অতএব এই অবস্থায় একটা জিনিস স্পষ্ট, আগামিদিনে জহর সরকারের তৃণমূল কংগ্রেসের থাকা অথবা না থাকা সম্পূর্ণভাবেই তাঁর উপর নির্ভর করছে । আর যদি তিনি থেকে যান, সেক্ষেত্রে আগামিদিনে দলের অনুশাসন মেনেই তাঁকে কাজ করতে হবে ।

আরও পড়ুন : দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তফাৎ কি থাকল, জহর সরকার প্রসঙ্গে মন্তব্য বাবুলের

কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর : জহর সরকার (Jawahar Sircar) নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল । তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) নেতৃত্বের একে অপরের বিরুদ্ধে যেভাবে দোষারোপ পালটা দোষারোপ করছে, সবটাই নজরে এসেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) । তিনি এই বিষয় নিয়ে আর জল ঘোলা চান না । বরং গোটা বিষয়টির মধুরেণ সমাপয়েত চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস ।

এখনও পর্যন্ত যতটুকু খবর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জহর সরকারের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়টি একটা সমাধান চাইছে । এক্ষেত্রে তৃণমূল চলছে একটা সম্মানজনক সমাধান । যেভাবে জহর সরকার প্রকাশ্যে দল বিরোধী বক্তব্য রেখেছিলেন, সেটা অবশ্যই তৃণমূলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় । যেহেতু তিনি দলের মুখপাত্র নন, সে ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দল বলছে, ওই বক্তব্য একান্ত ভাবেই জহর সরকারের নিজের ।

রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদ জহর সরকার যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে তৃণমূল মনে করছে যে যদি তাঁর মমতার দলের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়, সেক্ষেত্রে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক । তবে সেক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হোক সম্মানজনক পথেই । নতুন করে কোনও বিতর্ক তৈরি না করে । জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায়কে এই বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । ইতিমধ্যেই যতদূর জানা গিয়েছে সুখেন্দুশেখর রায়, তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছেন । এরপর বল পুরোটাই যখন সরকারের কোর্টে ।

যদিও গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে অথবা জহর সরকার নিজে কিছুই বলেননি । এই নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি প্রতিক্রিয়া দেওয়া থেকে এড়িয়ে গিয়েছেন । তবে একটা জিনিস স্পষ্ট দলীয়ভাবেই তাঁর কাছে এই বার্তা যাওয়ার অর্থ, তাঁর বক্তব্যে তৃণমূল সুপ্রিমোও খুশি নন । যেহেতু তিনি বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে তিনি পদ ছেড়ে দিতেও প্রস্তুত । সেক্ষেত্রে তাঁকে সাংসদ পথ ছাড়ার জন্য জোর না দেওয়া হলেও তিনি চাইলেই যেকোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

অতএব এই অবস্থায় একটা জিনিস স্পষ্ট, আগামিদিনে জহর সরকারের তৃণমূল কংগ্রেসের থাকা অথবা না থাকা সম্পূর্ণভাবেই তাঁর উপর নির্ভর করছে । আর যদি তিনি থেকে যান, সেক্ষেত্রে আগামিদিনে দলের অনুশাসন মেনেই তাঁকে কাজ করতে হবে ।

আরও পড়ুন : দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তফাৎ কি থাকল, জহর সরকার প্রসঙ্গে মন্তব্য বাবুলের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.