কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর : জহর সরকার (Jawahar Sircar) নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল । তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) নেতৃত্বের একে অপরের বিরুদ্ধে যেভাবে দোষারোপ পালটা দোষারোপ করছে, সবটাই নজরে এসেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) । তিনি এই বিষয় নিয়ে আর জল ঘোলা চান না । বরং গোটা বিষয়টির মধুরেণ সমাপয়েত চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস ।
এখনও পর্যন্ত যতটুকু খবর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জহর সরকারের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়টি একটা সমাধান চাইছে । এক্ষেত্রে তৃণমূল চলছে একটা সম্মানজনক সমাধান । যেভাবে জহর সরকার প্রকাশ্যে দল বিরোধী বক্তব্য রেখেছিলেন, সেটা অবশ্যই তৃণমূলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় । যেহেতু তিনি দলের মুখপাত্র নন, সে ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দল বলছে, ওই বক্তব্য একান্ত ভাবেই জহর সরকারের নিজের ।
রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদ জহর সরকার যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে তৃণমূল মনে করছে যে যদি তাঁর মমতার দলের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়, সেক্ষেত্রে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক । তবে সেক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হোক সম্মানজনক পথেই । নতুন করে কোনও বিতর্ক তৈরি না করে । জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায়কে এই বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । ইতিমধ্যেই যতদূর জানা গিয়েছে সুখেন্দুশেখর রায়, তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছেন । এরপর বল পুরোটাই যখন সরকারের কোর্টে ।
যদিও গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে অথবা জহর সরকার নিজে কিছুই বলেননি । এই নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি প্রতিক্রিয়া দেওয়া থেকে এড়িয়ে গিয়েছেন । তবে একটা জিনিস স্পষ্ট দলীয়ভাবেই তাঁর কাছে এই বার্তা যাওয়ার অর্থ, তাঁর বক্তব্যে তৃণমূল সুপ্রিমোও খুশি নন । যেহেতু তিনি বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে তিনি পদ ছেড়ে দিতেও প্রস্তুত । সেক্ষেত্রে তাঁকে সাংসদ পথ ছাড়ার জন্য জোর না দেওয়া হলেও তিনি চাইলেই যেকোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
অতএব এই অবস্থায় একটা জিনিস স্পষ্ট, আগামিদিনে জহর সরকারের তৃণমূল কংগ্রেসের থাকা অথবা না থাকা সম্পূর্ণভাবেই তাঁর উপর নির্ভর করছে । আর যদি তিনি থেকে যান, সেক্ষেত্রে আগামিদিনে দলের অনুশাসন মেনেই তাঁকে কাজ করতে হবে ।
আরও পড়ুন : দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তফাৎ কি থাকল, জহর সরকার প্রসঙ্গে মন্তব্য বাবুলের