কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর : পুজোর আগেই মহানগরে পা মহাগুরুর । শুক্রবার দুপুরে তিনদিনের সফরে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) ৷ একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে তিনি । এদিন কলকাতায় থাকার পর শনিবারই জেলা সফরে বেরোনো কথা তাঁর ।
বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, জেলাস্তরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর । মহাগুরুর থেকে নতুন পরামর্শও মিলতে পারে পদ্ম শিবিরের কর্মীদের । পাশাপাশি পুজোর মধ্যে দলীয় কর্মসূচি কী হবে, তা নিয়েও নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবেন মিঠুন । তবে তিনি মহানগরে পা দিতেই সরব শাসক শিবির । সরাসরি মিঠুন চক্রবর্তীকে সুবিধাবাদী বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ।
তাঁর কথায়, "মিঠুন চক্রবর্তী একজন সফল অভিনেতা, বড় মাপের অভিনেতা । আমার সঙ্গেও তাঁর যথেষ্ট সুসম্পর্ক ছিল । তবে রাজনৈতিক মিঠুন চক্রবর্তী তিনি সম্পূর্ণভাবে অকৃতজ্ঞ, সুবিধাবাদী ও বিশ্বাসঘাতক ।" নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কুণালের সংযোজন, ‘‘প্রথমে উনি নকশাল করতেন । তারপর সিপিএমের আমলে জ্যোতি আঙ্কেল (জ্যোতি বসু), বুদ্ধদা (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) । তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন মুখ্যমন্ত্রী, তখন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুপারিশে রাজ্যসভায় গেলেন । সেখানে তিনি বললেন যতদিন বাঁচব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থাৎ আমার বোনের দেওয়া এই সম্মান আমি মাথায় করে রাখব ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সেসব ছেড়ে মাঝপথে বিজেপি যোগ দিলেন ৷ আর তারপরে সেই বোনকে পিঠে ছুরি মারার রাজনীতি করতে দেখা গেল তাঁকে । আমজনতার কাছে ইতিমধ্যেই মিঠুন চক্রবর্তী রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ । আমি বলব, উনি একজন জলঢোঁড়া ।’’
এখানেই শেষ নয়, তুমি দাবি তুলেছেন আমজনতার যখন দরকার তখন মিঠুন চক্রবর্তীকে পাওয়া যায় না । বিজেপি এই ধরনের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সামনে রেখে রাজনীতি করছে কারণ তাদের দলে । তিনি বলেন, "যখন রাজ্য কেন্দ্র থেকে এতগুলো টাকা পাওনা বাকি, তখন কোথায় মিঠুন চক্রবর্তী । বিজেপির কোনও নেতা নেই ৷ তাই তারা এঁদেরকে সামনে রাখছে । তবে বোঝা উচিত এই অকৃতজ্ঞ, সুবিধাবাদী রাজনৈতিক মিঠুন চক্রবর্তীকে বাংলার মানুষ মেনে নেবে না ।"
আরও পড়ুন : গঙ্গার ঘাটে কুণাল গাইলেন, দাম কমিয়ে দেয়ে রে উমা...