কলকাতা, 8 জুলাই : আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস । শোকজ় করা হয়েছিল নন্দীগ্রামের 200 নেতাকে । সূত্রের খবর, দলীয় তদন্তের ভিত্তিতে এর মধ্যে 25 নেতাকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ।
আমফানের ত্রাণ নিয়ে রাজ্যের শাসকদল দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা । বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা । দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরে । বিষয়টি নজরে এলে কড়া পদক্ষেপ নেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কয়েকদিন আগে দলীয় বৈঠকে এই বিষয়টিকে নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তিনি । পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, "ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে কোনওরকম আপস করা হবে না । অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"
এই বার্তা যে শুধু মুখের কথা নয়, তা স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো । নন্দীগ্রামের 200 জন অভিযুক্ত নেতাকে শোকজ় করে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব । এবারে নন্দীগ্রাম 1 নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত প্রধান এবং কয়েকজন অঞ্চল সভাপতি সহ মোট 25 জনকে সাসপেন্ড করল দল। ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত "নন্দীগ্রাম" শব্দটি । নন্দীগ্রামকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনীতির ময়দান থেকে ক্ষমতার শীর্ষাসনে বসেছেন তিনি । দলের তরফ থেকে আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, "স্বজনপোষণের টাকা উদ্ধার করে তা ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে । না হলে অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে করা হবে FIR।" তৃণমূল নেত্রীর এই হুঁশিয়ারির পর নন্দীগ্রামের 200 নেতাকে শোকজ় করে দল । শুধু শোকজ় করেই বিরত থাকেনি, তদন্ত চালিয়ে এবার 25 জন নেতাকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল নেতৃত্ব ।
বিরোধীরা বলছে, আমফান নিয়ে শাসকদল যে দুর্নীতি করেছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যেই স্পষ্ট ৷ এবার বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাসকদল কী ব্যবস্থা নেয়, সেই প্রশ্ন উঠছে ৷